সোমবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৩

দীর্ঘ কবিতা - সৌমনা দে

জন্ম সৌমনা দে

ও মরে গিয়ে একটা পাখির জীবন পেয়েছে।
আমার জানলার কাছে এসে রোজ -
আমায় একলা পেলে
কিচির-মিচির গল্প করে যায়ে ।
ও এখন আগের থেকেও বেশি খবর রাখে
তোমার- আমার।
পার্লামেন্ট অথবা গোপন বৈঠকের .........
আগের চেয়ে অনেক স্বাধীন যে এখন
নীল আকাশে ডানা মেলে উড়ছে ।
লোকের ঘরে দিব্যি উঁকি দিচ্ছে ।
মানুষ-জন্মের মেকি লাজ যে নেই এখন।


ওকে বলেছিলাম,
এমন উশৃঙ্খল কাজ
কেবল বিপদ বয়ে আনে।
পাখির জীবন পাখির মতই
সরল কাজে-
ওড়া, ঘোরা আর ঘর বোনায়
কাটুক ।
মাঝে-মাঝে আকাশ বেড়িয়ে বাঊল হবার সুযোগ তো রইলই ।


শুনলোনা।
 

একদিন ...... আর আসে না। আসে না।
খবর পেলাম, কোন এক দরদির হাতে নাকি খুন হয়েছে।
সকালের ময়লা তোলার গাড়িতে নাকি
body মর্গে গেছে।


পাখিদের মরণের তদন্ত হয় না...
মানুষ জন্মের সব কথা কি ওর মনে ছিল??
সেই যেবার রাত করে ফেরার পথে
অন্ধকারের বুক চিরে
কয়েকটা মানুষ-জন্তুর উল্লাস,
খাওয়া-খায়ি।
আর তারপর দু'দিন বাদে
গঙ্গার বুকে একটা ঠাণ্ডা শরীর ।
সেবার তো কোন প্রশ্ন ওঠেনি ।
তদন্ত , উঁহু , হয়েনি।
 

আমি চাই
পরেরবার ও পিঁপড়ের জন্ম পাক।
যেন , মরার আগে একটা কামড় দিতে পারে ।
তদন্ত - খুনির প্রতি
শোধ নিজের হুলে ।
 

একটা পিঁপড়ের অপেক্ষায় আছি ।