সোমবার, ১ জুলাই, ২০১৩

গুচ্ছ কবিতা - অরবিন্দ চক্রবর্তী

গুচ্ছ কবিতা
অরবিন্দ চক্রবর্তী


ঘুড়িপত্র : ০১

সারারাত জেগে আছি কেন? উত্তরপত্রে জবাব না লিখে
পাল্টাপ্রশ্নের হালুম জারি করব।
নাচতে নাচতে কিছু চোখ শিল্পকলা করে
বলেই ফেলবে, সময় শেষ।
#
জানি তো, দৌড়বিদের হাতে ঘড়ি নিপ্রয়োজন।
দিগন্তে কেবল ঘুড়ি ঘুড়ি আকাশ।
এবার প্রশ্ন, ঘড়ি ও ঘুড়িগণের পরীক্ষাকেন্দ্র কোথায়?
দশ মিনিটের এই তুখোড় তর্কের কোনো
মিমাংশা ফলবে না।
#
তাহলে ও পালববংশের জাতক, তুমিই বল
আগুনের ধারণা নিয়ে যারা আলোচর্চা করে
তাদের লেজে কি খেলছে না মমিকাঠের উপহাস?



ঘুড়িপত্র : ০2


ভুলে যাওয়ার আগে অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে রেখেছিলাম
ভুলে যাওয়ার পরেও দেবো।
#
ভুল এই একটি মাত্র শব্দ, কান মলে দিলেও
লজ্জার মাথা খেয়ে সে আরেকবার ঢুকে যাবে
সাপের গর্তে- খোলস পাল্টিয়ে এসে
গ্রামের মহিলার মতো
আমাকে ধমকে যাবে।
#
চোখে চোখ রাখার আগে আহা হুলস্থুল
মেঘ তোমাকে নমঃ নমঃ করি
ভয়কে ডানে রেখে
বামের কলোনি গেট দিয়ে
পালিয়ে পালাতে যাই।
#
উহু ভুল, আমার জিন্স জিপার নেই তাহলে
ক্লীব বলবে পিরিয়ডকালীন ঋতুপর্ণ?
#
দরজা দিয়ে ঢুকে পড়েছি বলে- আমারও অনেক
আঁচলের গিঁট খুলে জিজ্ঞাসাবাদের
অ্যাসাইনমেন্ট আছে।
#
সরে দাঁড়াও পিতৃভক্তি পরায়ন স্ট্যাচু সম্প্রদায়।


বরফসম্প্রদায়

আমার একটি নাম দিন হিস্ট্রি মহাশয়, বরফসম্প্রদায় থেকে এসেছি বলে কি আমাকে ডাকা হবে না অতল? দারুণ ইচিকদানা-সকাল দৈনিক পাতায় সুসমাচার ছাপা হলেও আপনি আমাকে তুমি বলে আর তুই আমাকে সরলরেখা ডাকে। ভ্রুকুটি টের পেলেও হজমস্বার্থে তাকে দিই রঙসমৃদ্ধ ঘুমের প্রেসক্রিপশন। গাছের ডালেই বেকুব দোলে হাওয়া হাওয়া আদর। আমি বলি চিকিৎসা, কেউ কয় ব্যান্ডেজ। অথচ সিলমোহর নিয়ে ঘোরে আমার যত মায়াখুনি রোদ। তবে যদি ছায়ার অ্যাকুরিয়ামে ডুবিয়ে দিই শীতঝালাই চাকু-মাছ চরিত্র যাদের, অ্যামিবা ঝাঁকে যান। আমি বাপু বানরপুত্র-সমুদ্র তলদেশে গড়ি আগুন-ইন্ডাস্ট্রি।


শহরের বৃষ্টি ও শিল্পকলার নাচ

স্বপ্নবিভাগের ঘুম,পরামর্শ দিয়েছে কে মাথায় মেঘ ঘষলেই সুস্হ থাকা যায়?
#
যে জানেনা সুস্হতা এক উত্তরাব্যাংকের পাশ ঘেষে ঘন্টি বাজিয়ে উধাও হওয়া
খোসপাচরা ও অচ্ছুতমার্গের ছোঁয়াচের নাম
#
তাকে আজ মাথায় তুলে দেবো আসছে দিনের রোদ-হিংসুটে হলে কী এসে যায়
বরং তুই আজ ভোম্বলের পায়ে নাচ।
#
দ্যাখ জন্মের পরে পথ কত নদী দেখেছে-অথচ সমুদ্র শোনেনি রিকশার টুং টাং
এবার যদি কেঁদেই ফেলেস বলব,শহরে শিল্পকলার বৃষ্টিরা তুখোড় নাচছে।