বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

ব্যক্তিগত গদ্য - সুপ্রভাত রায়

আনটাইটেল্‌ড
সুপ্রভাত রায়



সহজ পাঠে আঙিনা প্রসঙ্গটা অনেকবার এসেছে দেখেছি বড় হয়ে। আঙিনা মানে যে উঠোন সেটা আমায় কে প্রথম বলে দিয়েছিল কে জানে। ক্লাস টু এর রুমু পড়া নিতে এসে বলল স্যার তোমাদের বাড়িতে উঠোন আছে ? উত্তরে আমাদের বাড়ির উঠোনটার সাইজে যেটুকু ছোট্ট করে হ্যাঁ বলা যায়; বললাম। আর পড়াতে গিয়ে ওকে আমাদের স্কুলের ডবল এক্সএল উঠোনটা দেখিয়ে উদাহরণ টেনেছিলাম। ও বলল ওদের বাড়িতেও আছে। যেন সেই সময়ের কালার টিভি, তোমাদের বাড়িতে আছে ? আমাদের বাড়িতেও আছে। উঠোন শব্দটা হয়ত আমাদের বেঁচেটেঁচে থাকতে থাকতেই টেঁশে যাবে। আর স্টিফেন স্পিলবার্গ যদি উঠোন নিয়ে কোনো ছবি না বানান তা হলে তো আর পরের বাকিরা চোখে চেখে দেখতেও পাবে না টেকনিক্যালি উঠোন জিনিসটা ঠিক কি রকম দেখতেটেখতে ছিল। একটা হেব্বি উঠোন ছিল আমাদের সেই পুরনো মাটির বাড়িটায়। ঝড়ের পূর্বাভাসে আতঙ্ক ভেসে উঠত যখন আমাদের সব্বার মনের স্ক্রিনে, বা ঝড়টা যখন নেট প্র্যাক্টিস করত—ঠিক সেই রকম সময়ে জেমা (জেঠিমা) আমাকে একটা পিঁড়ে দিয়ে মন্ত্র শিখিয়ে দিত ‘পবনদেব শান্ত হও পবনদেব শান্ত হও পবনদেব শান্ত হও’। মাঝ উঠোনে এই মন্ত্রটা বলে পিঁড়েটা পেতে আসতাম আমি। পবনদেব শান্ত হয়ে খুব একটা বসতেন না পিঁড়েতে। উনার বোধ হয় পিঁড়ে পছন্দ ছিল না, ঘোরানো চেয়ার পছন্দ ছিল।