সোমবার, ১৬ জুন, ২০১৪

গুচ্ছ কবিতা - প্রীতম ভট্টাচর্য্য


নিছক কিছু সময়গুলো





বালিশের কাঁধ থেকে সরে গিয়ে

সঙ্গীহীন পড়ে থাকে মাথা

আবছা কানে আসে বাসি হাওয়া

আর সাদা কাগজের

নিচুস্বরে ফিস্ ফিস্

খাতার কিনারে পড়ে থাকে

মরা মথ ছেঁড়া মথ ধুসর গুঁড়ো মথ

আর বুকের বোতাম খোলা সবুজ কলম





নদী বিষয়ক



সব নদী মহাকর্ষ মানে

নইলে নিউটন মিথ্যা হয়

নদীগুলোকে সংস্কার করো নাসরিন

তুমি তো নদী ভালোবাসো।






সঙ্গীত



বুকের কাপর সরিয়ে নারী তুমি এস

আলাপ শুরু করা যাক




ও হ্যাঁ তার আগে ঠোঁটের লিপস্টিক ধুয়ে এস।





প্রলাপ  ১  


    


ভালো আছি অমল

বেশ ভালোই আছি

যেমন মৃত্যু হয় না বলে

অনেকের বেঁচে থাকা।





আমি ফেরী করে ফিরি




আমি ফেরী করে ফিরি করে রাত বিরেতে

-আমি ফেরী করি সব

প্রগতির বই- বিজ্ঞজনের মগজ

ইংরাজী নাজানা কিম্বা কমজানা

শিক্ষিত সমাজের জন্য

একশ পঞ্চাশ দরখাস্ত- মাত্র পাঁচ টাকায়,

চপ্-কাটলেট তৈরির আদ্য প্রান্ত

থেকে শিশু শিক্ষা-

অজগর আসছে তেড়ে।

একবিংশ শতাব্দীর ভবিষ্যৎ

ধর্মভীরু জাতক জাতিকার রাশিফল থেকে

শিল্পীর আঁকা

নগ্ন নিতম্বের ছবি।।

ঘামে ভেজা নোনা শরীরে

গোপন শারীরিক গল্প

উদাসীন ভাবে বলে যাই~

কানে আসে খুনসুটি

-বিকৃত গলার স্বর

নিজেরই অচেনা ঠ্যাকে

ভয় পাই মাঝে মাঝে।।

পুরোনো বইয়ে নতুন মলাট চাপিয়ে

চালিয়ে যাচ্ছি সাত সাতটা বছর

নাবালক থেকে সাবালক

ফেরী করে উত্তরণ

অনন্য উত্তরণ~

শুধু অসম্ভব ভিড়ে

সাপের মতো এঁকেবেঁকে

ঘামে ভেজা দেহটাকে চালিয়ে

নোনা জলে অনুভব করি

-আমায় নিয়ে কবির কাব্যি

বাজারে কাটতি খুব

-আমি ফেরী করে ফিরি রাত বিরেতে


সেই সব কাব্যিক সুর।