রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৩

কবিতা - সাজ্জাদ সাঈফ

তিনটি কবিতা
সাজ্জাদ সাঈফ


আল্পনা

তোমাকে বলা হয়নি পিঠ বেঁকে বেঁকে এই সমুদ্র অন্ধকারেই ডোবে-

খাঁজ কাটা কাটা প্রবাল পাথর ঢালু সৈকত,ধীর দ্রুতালাপে সান্ধ্য বাতাস আড্ডামুখর!

কড়া নেড়ে এইমাত্র যে ঘরে ঢুকবে বলে দাঁড়িয়ে আছো,এই ঘর থেকে গীতা পাঠে রোজ ডাকি সমুদ্রঝড়,উপাসনায়,অগ্নিমদে!

তুচ্ছ ব্যাথায় কাতর তো নই-

অক্ষরে ঘাস রাত্রি বিলাস বিদগ্ধ ঘুম;নামতা গোলাপ ভ্রুণ পাপড়ি স্বেচ্ছা দহন!

ফিরতি ক্ষতের ফুলদানী আজ তোমার শেমিজে আল্পনা।



মেঘ

পথের ধূলোরা এই মাঝরাত্রে মেঘ মাদলের গান শোনে
আর বহুদূর থেকে ভেসে আসা মহাসড়কের হল্লা
পৃথিবীর গল্পকে জাগিয়ে রাখে,জাগতিক রাখে নিঃশ্বাসে...

হাতের তেলোয় শেষ ঘুটি-
নরমুন্ডু,খুন তালিকা,রক্তচামচ;
ছায়াঘুমে মশাল মিছিল,দুঃস্বপ্নের বায়ান্ন তাস;

মজ্জা মদে আকন্ঠ গান একটু ফাঁকায় সেতার সাজায়
ঠিক তার রুদ্ধশ্বাস দানেই আকাশ উড়ালসেতু,নামমাত্র ইচ্ছেযাপন,চিরকুট হয়ে বৃষ্টিজলও বিতরণ করে মেঘের জীবন!



জাহাজ

ভেতর থেকে বন্ধ জানালায় নক করেছি বহুবার ,সাড়া না পেয়ে অতৃপ্ত মন ফিরেছে একা,লাউঝোপে কাদা জল মাখা মিথ্যে প্রতীক্ষা,তোপধ্বনি বুকে অস্থির ঘাম,ছাই ওড়া শ্মশাণের কাঁদাকাটি ওঠে প্রাণের পল্লবে-

ঝড় জাত পাত কৌলিন্যের খাঁড়া সমুখে দেয়াল কাঁটার,পত্রপাঠে শ্যাওলা ঢাকা বৈঠায় এসে থমকে গেছে রাত,থমথমে রাত,ব্যান্ডেজ করা জ্যোছনা যেন পাততাড়ি তোলা, কুয়াশাবাতিক!

তোমাকে সুদূরে সৈকত লাগোয়া বাতিঘর জানি,অস্তিত্ব,গোপন তিলক,কিছু অপারগ অভিধায় নিকট জাহাজ!