শনিবার, ১৫ জুন, ২০১৩

গুচ্ছ কবিতা - প্রসেনজিৎ দত্ত

যন্ত্রী চাষীর চতুর্দশী

প্রসেনজিৎ দত্ত



নিত্যনিধি আশিস হতে বিমুখ কেন পরম।
বঙ্গ অঙ্গে মূর্ছা লেগে রসের তলে চরম।।
রটিল কুষ্মাণ্ড কথা যন্ত্র কথার ভ্রম।
যন্ত্রবুদ্ধি ত্রাসের দোসর দুঃখে কহে মরম।।
মৌনবিদ্যা শ্রেষ্ঠ রীতি নিত্য চলাচলে।
শাস্ত্রনীতি মিথ্যা কথা সর্ব বচন বলে।।
মধুবিদ্যায় সাজিল বিঘা চাষের চাষের পরিধিতে।
অবিদ্যায় আসিল ছেদক কাস্তে করাত হাতে।।
সর্ববলে ছেদন গানে বিঘায় ব্রহ্মা কাতর।
শিল্পে মেতে উপরমহল স্বপ্নলোকে বিভোর।।
ছাইল আঁধার এপার ওপার জীবন ধিকি ধিকি।
দুঃস্বপ্নে থামিল ঘড়ি নিধির টিক্-টিকি।
সর্বমতের বৈপরীতে বচন মুখে খনা।
কৈল সে, উঠন্তি মূলা পত্তনে যায় চেনা।।


এমন বচন কলির খেয়াল কলির খনা হাসে।
খনার বচন ধন্বন্তরি নিধির পরিহাসে।।
কী কহিল হালের কথা চৌদ্দশত ষোলো।
খনার কথাই লাখের একক সর্বমতে ব’লো।।
সর্বমতে বিমত ঘটে শিল্প প্রশ্নবাণে।
যন্ত্র জাগে শিল্প মতে বিঘার মাঝখানে।।
নিত্যনিধি পরম জানে শিল্প-যন্ত্র-সাধন।
মিথ্যা সবই, সবই সত্য – কৈল দেবারীগণ।।
বাঁধল দ্বন্দ্ব আঁটোসাঁটো বিবাদধর্ম সারে।
রজতন্ত্রে প্রশ্নচিহ্ন ব্যর্থ প্রতীক ভারে।।
বঙ্গবিভাগ সম্ভাবনা কলির শেষে এসে।
বঙ্গনামে কৃষ্ণবর্ণ ভাগ্য সর্বনেশে।।
এরূপ পয়ার তর্কে মিশে ত্রাসের সঙ্গ করে।
খনার বচন ফলল তবে! দীনের ভাগ্য মরে।।


ফরমায়িসের পয়ারগাথা ছাঁদের গণ্ডী পেরোয়।
স্বপ্নভাগ্যে কাব্যদেবী আশিস সর্বময়।।
হরিৎ বিঘায় কাটল আঁধার ফললো ফসল নানা।
স্বর্ণ বিঘা আল পেরালো জীবন কারখানা।।
রজতন্ত্রে আইলো ভাটার মাতন শেষে।
স্বপ্নে মেতে আশায় চাষা সুখের প্রদেশে।।
প্রবাদ কহে গর্ব করে আশায় মরে চাষা।
গল্পগরু বৃক্ষে যখম ক্লীব অধ্যাবসা।।
স্বপন শেষের দুঃস্বপনে গল্পদাদু কাঁদে।
দুখ নিদ্রায় স্বপন প্রসার বঙ্গ-নিধি ফাঁদে।।
ভনই প্রসেন অহম্মকে প্রণাম বঙ্গ ভিটে।
যন্ত্র যন্ত্রী চাষীর কথা বিষয় পরিধিতে।।
বিষয়ভারে কাব্য লেখা কবির জীবন ত্রাসে।
সন্ত্রস্তভার কাব্যকলাপ নানান শর্ত বিষে।।