রবিবার, ২ মার্চ, ২০১৪

গুচ্ছ কবিতা - কিঙ্কিণী বন্দ্যোপাধ্যায়



এসো


এরকম ভয় নিয়ে
বাঁচা যায়
বলো?
এরকম পাপ?
সারা দেহে লীন হয়ে আছে
কালো পাঁক
তার মধ্যে তোমার আসন
রাতের ট্যাক্সিভাড়ার মতো
জটিল কুটিল অঙ্ক
মেলাতে পারে না যে,
সে তোমাকে মেলাবে?
এত স্পর্ধা কার?
কেন এই আবছা শীতলতা
আধো চোখে?
দেখবে তো স্পষ্ট তাকাও।



আবাহণ


বহু প্রসব করতে করতে
তোমার যোনীদ্বার ক্লান্ত হয়েছিল মা?
কিন্তু দেখো বহু রমণের পরেও
অক্লান্ত তোমার স্বৈরিণী মেয়ে।
সবই কেমন সরল মনে হয়
প্রথম প্রেমস্পর্শের মতো –
অথচ জানো গত তিনদিন বৃষ্টি নেই
এমন সময় তোমার পুরনো চিঠি খুলতেই
ঝরঝর করে ঝরে পড়ল শুকনো পরাগরেণু –
কলকে আর জবার
দোপাটি আর টগরের

--আর আমার একটাও মন্ত্র মনে পড়ছেনা!



অভিনয়

দোমড়ানো মোচড়ানো ব্যাথার পরে
কবিতার খাতাটা খুঁজে পাচ্ছিনা আর
সেই যে তুমি এলে
ওমাসের পাঁচ তারিখে-তার পর থেকেই—

ডায়াজিপাম খেয়ে ঘুমোনোর মত
নিত্যনৈমিত্তিকতা পানসে হয়ে গেছে –
চলো কিছু উত্তেজনা যোগ করি –
যেমন – আজকের জন্য মনেই করো না
আমরা অচেনা
একে অপরের।

তারপরে যদি বৃষ্টি নামে?

3 comments:

Unknown বলেছেন...

protiti lekhai osadharoN

Unknown বলেছেন...

"এসো" টা দারুণ লাগলো। বাকিগুলোও ভালো লেগেছে।

আবাহন বানানটা - আবাহন না আবাহণ , কোনটা ঠিক?

নামহীন বলেছেন...

Darun Likhechen.