রুহুচণ্ডালের বায়স্কোপ
বিধান সাহা
এসো। এসো এইখানে। এইখানে তুমুল বিষাদ। এইখানে নীল আগুনের ফুলকি ওড়ায় যে অনুরাগী, সে-ই ছিলো আজ্ঞাবহ তোমার যুবক। তার প্রার্থনা ও প্রতীকের আড়ালে, দেখ ঐ, নিদারুণ ভেসে যাচ্ছে রূপোর বুদ্বুদ। কিছুটা বেড়াল স্বভাব আর প্রতিবন্ধুর মগজের ব্ল-প্রিন্ট, এর বাইরে, আর কোন সত্য জেনেছিলে? পরিযায়ী পাখিরা এসেছে আজ। চলেও যাবে। তোমার কাজল চোখে তবু থেকে যাবে যুগপৎ ঘুণ ও ঘুমের কোলাজ। থেকে যাবে ছদ্মবেশ, রস ও রূপকে আড়াল।
তোমার সিথানে রাখা আছে স্বেচ্ছাতুর কাঠি, পৈথানে কাচের কলস আর প্রহরায় সুচতুর কাব্য-প্রতারক। ডালিমকুমার আজ নগরের প্রিয় পরিহাস !
**
মৃতের বুকের উপর চালায় যে বুলডোজার, তার চোখের কাজল দীর্ঘস্থায়ী হোক।
**
নিঃসঙ্গ ঐ প্রুফরিডারকেই বেশি ভালো লাগে- দরজার আড়ালে বসে যে কেটে কেটে ফেলে দেয় অক্ষরের বিষ!
**
রজনীভর আমাকে আপাদমস্তক আলোকিত করে রাখে যে দৈবজ্যোতি, তার নামই শশী। যমুনার নৈঋতে তার বাড়ি। গঙ্গাফড়িং তার প্রিয়। আর প্রিয় হলুদ শৈবাল। কাঙ্ক্ষামোচনের জন্য তাকে ডাকি, বলি- এই-যে, সমস্ত অযুহাত নিয়ে এসেছি। তীর্যক ভঙ্গিতে যতই দাড়াঁও আজ। সবুজ নাভিতে আজই দেখা যাবে রুহুচণ্ডালের বায়স্কোপ।
কার্নিশে আজ এতো সতেজ পাপড়ি কেন? কোনদিকে কোন অষ্টভুজ ভেঙ্গে গেল? কোন নিভৃতে গুটিয়ে গেল ডাকু সুজন আর তার লোভী স্বজনের দল?
আমার কোন প্রযত্ন নাই। অনামী প্রান্তর থেকে তাই আলোকিত আকাশ দেখলেই ডেকে বলি- শশী... ওগো শশধর...
**
একা একা একটি বটগাছ দীর্ঘ-জন্মের শাপ নিয়ে একাডেমী চত্তরে নিঃসঙ্গ কেঁদে যাচ্ছে। হাওয়ার ঘুর্নিতে ফেঁসে যাচ্ছে রমনার শুকনো পাতা, আর একটি আর্ত বিড়াল আশ্রয়হীন ঘুরে বেড়াচ্ছে কুয়াশা-মোড়ানো নগরের পথে পথে।
এইসব দৃশ্যের শেষে, আয়নাতে দেখি আমার মুখটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না !
**
নরকের চারপাশে জল-বৈঠক। নরকের চারপাশে সুপ্তসুধা। নরকের চারপাশেই তোমার মৌন ইশারা আর স্বর্গীয় অন্ধকার। একদিন এখান থেকেই দেখা যাবে- মীনচৈতন্যের রাঙা শশী। আর তোমার ঐ বক্ষ-ভূগোল, যেভাবে ফুলে উঠে নরকের পথ স্পষ্ট করে তুলছে, অন্ধ আমি, বিশ্বাসী আমি সে পথে ছুটেই নিশ্চিত পেয়ে যাবো জিয়ন কুয়ো, চণ্ডালের আনন্দধাম। সুতরাং, তাহাদের নমস্য মানি। অন্তরে যাপন করি। তাহাদের নামে একা একা রেখে আসি সন্ধ্যাপ্রনাম। এই দেখে, কদমতলায় সহস্র চন্দ্রবিন্দু সহ বাঁশি বাজিয়ে চলে স্বর্গীয় পিতামহ! কাণ্ড!!
জানো কী-না, তোমার গোপন সংকেতে যে কদমপাতা হেসে-ভেসে ওঠে, সেই ভাসমান পাতার উপরে লেখা আছে পিতামহের আত্মজীবনী আর আমার সেক্স-স্ক্যাণ্ডাল!
এসো। এসো এইখানে। এইখানে তুমুল বিষাদ। এইখানে নীল আগুনের ফুলকি ওড়ায় যে অনুরাগী, সে-ই ছিলো আজ্ঞাবহ তোমার যুবক। তার প্রার্থনা ও প্রতীকের আড়ালে, দেখ ঐ, নিদারুণ ভেসে যাচ্ছে রূপোর বুদ্বুদ। কিছুটা বেড়াল স্বভাব আর প্রতিবন্ধুর মগজের ব্ল-প্রিন্ট, এর বাইরে, আর কোন সত্য জেনেছিলে? পরিযায়ী পাখিরা এসেছে আজ। চলেও যাবে। তোমার কাজল চোখে তবু থেকে যাবে যুগপৎ ঘুণ ও ঘুমের কোলাজ। থেকে যাবে ছদ্মবেশ, রস ও রূপকে আড়াল।
তোমার সিথানে রাখা আছে স্বেচ্ছাতুর কাঠি, পৈথানে কাচের কলস আর প্রহরায় সুচতুর কাব্য-প্রতারক। ডালিমকুমার আজ নগরের প্রিয় পরিহাস !
**
মৃতের বুকের উপর চালায় যে বুলডোজার, তার চোখের কাজল দীর্ঘস্থায়ী হোক।
**
নিঃসঙ্গ ঐ প্রুফরিডারকেই বেশি ভালো লাগে- দরজার আড়ালে বসে যে কেটে কেটে ফেলে দেয় অক্ষরের বিষ!
**
রজনীভর আমাকে আপাদমস্তক আলোকিত করে রাখে যে দৈবজ্যোতি, তার নামই শশী। যমুনার নৈঋতে তার বাড়ি। গঙ্গাফড়িং তার প্রিয়। আর প্রিয় হলুদ শৈবাল। কাঙ্ক্ষামোচনের জন্য তাকে ডাকি, বলি- এই-যে, সমস্ত অযুহাত নিয়ে এসেছি। তীর্যক ভঙ্গিতে যতই দাড়াঁও আজ। সবুজ নাভিতে আজই দেখা যাবে রুহুচণ্ডালের বায়স্কোপ।
কার্নিশে আজ এতো সতেজ পাপড়ি কেন? কোনদিকে কোন অষ্টভুজ ভেঙ্গে গেল? কোন নিভৃতে গুটিয়ে গেল ডাকু সুজন আর তার লোভী স্বজনের দল?
আমার কোন প্রযত্ন নাই। অনামী প্রান্তর থেকে তাই আলোকিত আকাশ দেখলেই ডেকে বলি- শশী... ওগো শশধর...
**
একা একা একটি বটগাছ দীর্ঘ-জন্মের শাপ নিয়ে একাডেমী চত্তরে নিঃসঙ্গ কেঁদে যাচ্ছে। হাওয়ার ঘুর্নিতে ফেঁসে যাচ্ছে রমনার শুকনো পাতা, আর একটি আর্ত বিড়াল আশ্রয়হীন ঘুরে বেড়াচ্ছে কুয়াশা-মোড়ানো নগরের পথে পথে।
এইসব দৃশ্যের শেষে, আয়নাতে দেখি আমার মুখটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না !
**
নরকের চারপাশে জল-বৈঠক। নরকের চারপাশে সুপ্তসুধা। নরকের চারপাশেই তোমার মৌন ইশারা আর স্বর্গীয় অন্ধকার। একদিন এখান থেকেই দেখা যাবে- মীনচৈতন্যের রাঙা শশী। আর তোমার ঐ বক্ষ-ভূগোল, যেভাবে ফুলে উঠে নরকের পথ স্পষ্ট করে তুলছে, অন্ধ আমি, বিশ্বাসী আমি সে পথে ছুটেই নিশ্চিত পেয়ে যাবো জিয়ন কুয়ো, চণ্ডালের আনন্দধাম। সুতরাং, তাহাদের নমস্য মানি। অন্তরে যাপন করি। তাহাদের নামে একা একা রেখে আসি সন্ধ্যাপ্রনাম। এই দেখে, কদমতলায় সহস্র চন্দ্রবিন্দু সহ বাঁশি বাজিয়ে চলে স্বর্গীয় পিতামহ! কাণ্ড!!
জানো কী-না, তোমার গোপন সংকেতে যে কদমপাতা হেসে-ভেসে ওঠে, সেই ভাসমান পাতার উপরে লেখা আছে পিতামহের আত্মজীবনী আর আমার সেক্স-স্ক্যাণ্ডাল!
4 comments:
নাইস ...
ভালো লাগল
অসাধারণ!
সময়ের প্রতিচ্ছবি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন