দু'টি কবিতা
১.
সমস্ত আগুন নিছক পোড়ানোর কথা ভেবে নয়
উঠে এসেছে ধাতু
হাতুড়ি
তারপর আঘাত
ক্রমাগত, সারারাত্রি কলকাতায় কোন রাত নামেনি
আর ভোরের দিকে হাসপাতালে এক প্রসূতি মরে গ্যালো যখন
আমি রক্তের গ্যালনের ভিতর দেখলাম শিশুটি সাঁতার শিখছে
আমাকে ডেকে নিচ্ছে তারও ভিতর, তার ভিতরেও কোন রাত্রি
নেই, উঁচু উঁচু বাড়িঘর শুধু শক্তিশালী নিউক্লিয়াসের মত
দাঁড়িয়ে
আছে, কোন অঙ্গ অনঙ্গ ছায়া নেই - শুধু ভেসে আছে বাবার
অপরিপক্ক ধাতু, তার কোন আঘাত কিংবা হাতিয়ার নেই
২.
১০ গোনার আগেই ছাদ নেমে এলো মাথার ওপর
কোনো সতর্কযন্ত্র যদি মৃত্যু অথবা দারিদ্র ঠ্যাকাতে পারতো, আমি নিয়ন্ত্রণ শূন্য অবস্থায় লাশগাড়ি ছেড়ে এগিয়ে যেতাম প্রসূতি বিভাগে
মা শুয়ে আছে যেখানে -
অমরা ভক্ষণ হেতু আমার জন্ম সম্ভাবনা ০
আমার সমস্ত সর্বনাশ কাঁধে তুলে নিয়ে তাও বন্ধুরা চলেছে শ্মশানে
অমরা-রাক্ষস আমার হাতে মন্ত্রপুত হাড় ধরিয়ে দ্যায়; অযুত ভার, হাত ভেঙে পড়ে
যেন রেলব্রিজ থেকে ছিটকে যাওয়া এক
মা ও
বুনো শিশু
হাঁ-মুখ থেকে কড়ি ভাঙে
নাড়ির রক্ত স্পর্শ হতেই আসুরিক বোধ নিয়ে ঘুরে দাঁড়ায়
আমার অভয়পেশি ও
মুদ্রা
কথা হয় গাছের সাথে
এই জন্মে তার শিকড় গেঁথে আছে
- অপাপবিদ্ধ,
নিরালঙ্কার ছায়া
আমাকে তবু আশ্বস্ত করে না
১০ গোনার আগেই পৃথিবী ১ থেকে ২ হয়ে ওঠে; দেবলোক নিষ্প্রভ
ভাল লেখা। একদম অন্য ফ্লেভার।
উত্তরমুছুন