সম্পাদকীয়
বইমেলা। এখন চারিদিকে রৈ রৈ হৈ হৈ মেলা মেলা বই বই... এসবের মধ্যেও ক্ষেপচুরিয়ানরা চলেছে তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে! নির্দিষ্ট লক্ষ্যে; কবিতার লক্ষ্যে। অজস্র নতুন নতুন কবিতা ভাবনা, কবিতার নির্মাণ আবার তা নিয়ে বিশদে আলোচনার নিরন্তর প্রবাহ প্রবাহিত হয়ে যাচ্ছে “ক্ষেপচুরিয়াস”এর শিরায় শিরায় (শাখাগ্রুপগুলিতেও)। আর এভাবেই যেন কবিতা পাচ্ছে পূর্ণতা। কবিতা পাচ্ছে নবকলেবর। প্রকাশিত হচ্ছে কবিতার বই। কবিতা-বিষয়ক বই। প্রকাশ পাচ্ছে গ্রুপের প্রিন্টেড ম্যাগাজিনও। সব মিলিয়ে মেলাপ্রাঙ্গণের লিট্ল ম্যাগের পাভিলিয়ন থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকাশনার স্টলে স্টলে সর্বত্রই ক্ষেপচুরিয়ানদের সহজ, সাবলীল ও অবাধ বিচরণ লক্ষ্যণীয়। গ্রুপের সদস্যেরা আজ আর শুধু আন্তর্জালেই আটকে নেই বরং তাঁরা ভীষণভাবে ছড়িয়ে পড়ছে মিলনমেলা, আকাদেমি চত্বর কিংবা বইপাড়ার অন্ধি-সন্ধিগুলোতে। ছড়িয়ে পড়েছে ওপার বাংলাতেও। বাংলাদেশের কবিবন্ধুদের মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, আজ একথায় জোরের সাথেই বলা যায় যে, পৃথিবীর যেখানেই বাংলাভাষী আছেন সেখানেই আছে এই “ক্ষেপচুরিয়াস” । সুতরাং, ভারত-বাংলার কাঁটাতারই নয় বিশ্বের কোনো কাঁটাতারের বেড়াই মানে না ক্ষেপচুরিয়ানরা। আর তাই আমাদের প্রাথমিক প্রচেষ্টা এই ব্লগজিন এগিয়ে চলেছে তার স্বচ্ছ্বন্দ গতিতেই।
আশা রাখি, আপনাদের সকলের পূর্ণ সহযোগিতায় আগামীদিনে এই “ক্ষেপচুরিয়াস” শুধু কবিতা নয়, শুধু সাহিত্য নয়, বাংলাভাষার জন্য আরো বিরাট কর্মযজ্ঞের কাণ্ডারী হবে! আসুন বন্ধুরা, আমরা সকলে মিলে সাহিত্যনির্মাণের মাধুর্যে প্রতিবাদী বাংলাভাষার স্নিগ্ধসৌষ্ঠব বজায় রাখি।
“ক্ষেপচুরিয়াস”এর পক্ষে বাণীব্রত কুণ্ডু।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন