মূর্ত-বিমূর্ত
পুণ্যশ্লোক দাশগুপ্ত
১
ভেতরে ছড়িয়ে আছে সব,মর্গের শান্তি,লালন ফকির,নিপুণ আকাশ,
বিমূর্ত ক্যানভাসে লিখলাম অস্তিত্বযাপন।ওহে চার দিগন্তের
জীবনকাহিনি প্রচ্ছন্ন জাদুর মধ্যে জম্পেস মিউজিয়াম,চলছি তো চলছি।
একজন কবির সাত টুকরো মাইক্রোফোন,ঠোঁটের কোণে এই তো ছোট্ট হাসি,
নিছক বসতে চেয়েছি তোমার পাশে,তুমি ফুটিয়ে তুলতে চাইলে ভিন্নমাত্রায়
সৃষ্টির গৌরব।উঠে যাচ্ছে ঘুড়ির ল্যাজচেরা লাল ঠোঁট ইস্কুলমাস্টার।
আহা,পাঁচ ফুট চার ইঞ্চির সন্ধ্যা,আমাকে শিল্পপ্রেমিকের তকমা দিওনা।
গ্যালারির পৃষ্ঠপোষক আমি নই,চার পাতা কবিতা লিখেছি মাত্র।
সাড়ম্বরে লিখিনা কবিতা,লিখিনা লালপেড়ে শাড়ি কপালের টিপ।
২
নজর কাড়বে এমন কবিতা আমি লিখতে পারিনি।
ক্যাজুয়াল মুকুটমণিপুর ভাড়ার গাড়িতে।
কার্নিভালের নাচগান নিয়ে এসেছি যেন ফুল ফোটে মুক্তির টবে।
কাজ করেই বাঁচতে চায় মন,সে কাজটিও কেউ দেয় না।
শুধু ভাবনার ওপর জীবনলাভ, মানুষপাখিটিকে উড়ান দিতে চাইলাম,
সে বললো,সম্পর্কের ১৪আনা রাজনীতি,দ্বন্দের পথ সম্পূর্ণ মূর্ত হয়েছে
আমি দেখলাম মৃত্যুর খাদ উপভোগ করবার মতোই
খেলাটা সৃষ্টির গৌরব,গভীর তরঙ্গিত।
৩
চোখ বুঁজলাম ইজিচেয়ারের শান্তি
অনিবার্য কিছু নেই অরণ্য মাঠ নদী শিশিরবিন্দু
আমার জীবনকালেই অলীক আয়োজন যা যা আমি দেখতে পেলাম
অথৈ উদ্বাস্তু,শ্লোক কাঁদবে না, একবিন্দুও না,
নিয়ন্ত্রকের চিঠি এলো শেষ রাতে,রঙ্গনা লিখেছে ‘আরে না না
স্কচ নয় দুরন্ত স্কটিশ,যতই কর্কের মুখে রাংতা লাগাও,
এ সবই নিয়তির বিবর্ণ হাত’।
৪
তুমি কি যেন বলতে চাইলে মার্কেস,জগৎ-জার্নালিজম!
জীবন গুরুত্বপূর্ণ
মানুষের গল্প মৃত্যুর ভবিষ্যৎ আর প্রেতাত্মার চোখ
আমি দেখলাম বন্ধুত্ব অটুট থাকেনা
চিত্রায়নের পর চিত্রায়ন মুক্তি আসেনা
উপভোগের দুর্লভ পাখি জৈবিকভাবেই উড়তে শিখেছে
৫
চমৎকার ব্যঙ্গরসাত্মক এই কার্নিভালে আমি মেতে উঠলাম হে উদ্বেল কবি
সর্বোপরি তোমার অধ্যবসায়
মোটেই দু’ফোটা অশ্রুর বিনিময়ে নয়
নগরের পিপাসার্ত প্রাণ লাজুক চেহারার বেশি আর কি আছে তোমার?
৬
আস্তে আস্তে আমি গ্যালারির পারফিউম
দেখতে দেখতে আমি রেস্তোরাঁর চিনেমাটি
জানালা খুলে মেলে ধরলাম উপাদেয় ইন্ধনসামগ্রী
তাকিয়ে দেখছি কেউ ইতস্তত আমাকে দেখছে না তো
অস্তিত্ব আঁকতে আঁকতে আমি মডেলের টাটু হয়ে গেলাম
ফুল পাতায় মাসেলে মাসেলে রান্নাঘরের পিঠে
আমি জানি মাতালের দরজায় আর কোনো মাতাল আসেনা
অবিশ্বাস্য রেখার টান লতানো আধিপত্যের বিস্তার
৭
দীর্ঘকায় ভিন্তেজ-ড্রিংকস ক্রমশ ফুরিয়ে এলো,টের পাচ্ছি জোনাকির রেশ
বেপরোয়া একটি চুমুক দিলাম টেলিস্কোপে
প্রতিটি আক্ষেপের রঙ বেদানার হৃৎপিন্ড নয় যে ছবিতে মিশিয়ে নেবো
দানা,আমি আস্তিত্বের অনুপুঙ্খ রেখেছি দর্পণে
১
ভেতরে ছড়িয়ে আছে সব,মর্গের শান্তি,লালন ফকির,নিপুণ আকাশ,
বিমূর্ত ক্যানভাসে লিখলাম অস্তিত্বযাপন।ওহে চার দিগন্তের
জীবনকাহিনি প্রচ্ছন্ন জাদুর মধ্যে জম্পেস মিউজিয়াম,চলছি তো চলছি।
একজন কবির সাত টুকরো মাইক্রোফোন,ঠোঁটের কোণে এই তো ছোট্ট হাসি,
নিছক বসতে চেয়েছি তোমার পাশে,তুমি ফুটিয়ে তুলতে চাইলে ভিন্নমাত্রায়
সৃষ্টির গৌরব।উঠে যাচ্ছে ঘুড়ির ল্যাজচেরা লাল ঠোঁট ইস্কুলমাস্টার।
আহা,পাঁচ ফুট চার ইঞ্চির সন্ধ্যা,আমাকে শিল্পপ্রেমিকের তকমা দিওনা।
গ্যালারির পৃষ্ঠপোষক আমি নই,চার পাতা কবিতা লিখেছি মাত্র।
সাড়ম্বরে লিখিনা কবিতা,লিখিনা লালপেড়ে শাড়ি কপালের টিপ।
২
নজর কাড়বে এমন কবিতা আমি লিখতে পারিনি।
ক্যাজুয়াল মুকুটমণিপুর ভাড়ার গাড়িতে।
কার্নিভালের নাচগান নিয়ে এসেছি যেন ফুল ফোটে মুক্তির টবে।
কাজ করেই বাঁচতে চায় মন,সে কাজটিও কেউ দেয় না।
শুধু ভাবনার ওপর জীবনলাভ, মানুষপাখিটিকে উড়ান দিতে চাইলাম,
সে বললো,সম্পর্কের ১৪আনা রাজনীতি,দ্বন্দের পথ সম্পূর্ণ মূর্ত হয়েছে
আমি দেখলাম মৃত্যুর খাদ উপভোগ করবার মতোই
খেলাটা সৃষ্টির গৌরব,গভীর তরঙ্গিত।
৩
চোখ বুঁজলাম ইজিচেয়ারের শান্তি
অনিবার্য কিছু নেই অরণ্য মাঠ নদী শিশিরবিন্দু
আমার জীবনকালেই অলীক আয়োজন যা যা আমি দেখতে পেলাম
অথৈ উদ্বাস্তু,শ্লোক কাঁদবে না, একবিন্দুও না,
নিয়ন্ত্রকের চিঠি এলো শেষ রাতে,রঙ্গনা লিখেছে ‘আরে না না
স্কচ নয় দুরন্ত স্কটিশ,যতই কর্কের মুখে রাংতা লাগাও,
এ সবই নিয়তির বিবর্ণ হাত’।
৪
তুমি কি যেন বলতে চাইলে মার্কেস,জগৎ-জার্নালিজম!
জীবন গুরুত্বপূর্ণ
মানুষের গল্প মৃত্যুর ভবিষ্যৎ আর প্রেতাত্মার চোখ
আমি দেখলাম বন্ধুত্ব অটুট থাকেনা
চিত্রায়নের পর চিত্রায়ন মুক্তি আসেনা
উপভোগের দুর্লভ পাখি জৈবিকভাবেই উড়তে শিখেছে
৫
চমৎকার ব্যঙ্গরসাত্মক এই কার্নিভালে আমি মেতে উঠলাম হে উদ্বেল কবি
সর্বোপরি তোমার অধ্যবসায়
মোটেই দু’ফোটা অশ্রুর বিনিময়ে নয়
নগরের পিপাসার্ত প্রাণ লাজুক চেহারার বেশি আর কি আছে তোমার?
৬
আস্তে আস্তে আমি গ্যালারির পারফিউম
দেখতে দেখতে আমি রেস্তোরাঁর চিনেমাটি
জানালা খুলে মেলে ধরলাম উপাদেয় ইন্ধনসামগ্রী
তাকিয়ে দেখছি কেউ ইতস্তত আমাকে দেখছে না তো
অস্তিত্ব আঁকতে আঁকতে আমি মডেলের টাটু হয়ে গেলাম
ফুল পাতায় মাসেলে মাসেলে রান্নাঘরের পিঠে
আমি জানি মাতালের দরজায় আর কোনো মাতাল আসেনা
অবিশ্বাস্য রেখার টান লতানো আধিপত্যের বিস্তার
৭
দীর্ঘকায় ভিন্তেজ-ড্রিংকস ক্রমশ ফুরিয়ে এলো,টের পাচ্ছি জোনাকির রেশ
বেপরোয়া একটি চুমুক দিলাম টেলিস্কোপে
প্রতিটি আক্ষেপের রঙ বেদানার হৃৎপিন্ড নয় যে ছবিতে মিশিয়ে নেবো
দানা,আমি আস্তিত্বের অনুপুঙ্খ রেখেছি দর্পণে
1 comments:
ক্ষেপচুরিয়ানস্ ব্লগজিন এখন দারুণ ব্যাপার। আমি চাই সঙ্কোচহীন সবাই পড়ুক ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন