মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৪

গুচ্ছ কবিতা- রাণা বসু

ঝরাপাতা দিন

তুমি বলেছিলে, দেখো। একদিন ঠিক হবে সব,
দেখো। হবেই ঠিক একদিন।

বলেছিলে, এ আলো আঁধারেই
ঠিকরে বেরবে, এছাড়া যে পথ নেই কোনো

এখনো কি হয়নি সকাল? ভোর হয়ে
বেলা পড়ে এল? তবু আলো কেন আঁধারে প্রকট

এইবেলা কাজ সেরে নাও, বলেছিলে,
বিশ্বাস কোরো না কাউকে। এও তবে
শেষ হবে। হবে কি! যদি শুরুই না হয় কখনও!

আজ শুধু ঝরা পাতা দিন ফিরে ফিরে এলে
তুমি এসে যাও কথার ভিতর, শুধু মনের কি
শেষ নেই কোনো।


স্মৃতি

তোমায় ছুঁয়ে দিলে
ঈশ্বরও যুবতী হয়ে যায়
সারা পৃথিবী উঠে দাঁড়িয়ে
প্রেম নিবেদন করে তোমায়

তোমার স্তনাগ্র স্পর্শ করে
আমি অমৃত আহরণ করি

তোমার যোনিতে মুখ রেখে
পৃথিবীর অষ্টম হিসেবে বাজি রাখি
আমার যৌনাঙ্গ

ধীরে ধীরে অবশ হয়ে আসে
দুই প্রজন্ম
আমরা আবারও স্মৃতি হয়ে যাই।



ফসিল

আমার মৃত্যু হোক
তোমারই মত জীবন্ত
আর ফসিল রাখা হোক
তোমার হৃদয়ের চোরা কুঠুরিতে
যার স্পর্শে প্রত্যেক বৃত্তের কেন্দ্র
নড়ে উঠুক
সারা পৃথিবীর ডাকে তুমি
বলে ওঠো --
আমার ভিতরে যে ফসিল আছে
আমি তার আমৃত্যু যত্ন নেব।



আলো


আমার বুকে সদ্য ফোটা বারুদ
বয়ে নিয়ে উপত্যকায় চষে বেড়াচ্ছি
দুর্লভ হীরে-রত্ন খেলায়

তোমার চোখের দিকে তাকালেই
এক সূর্য আলো ; আমার
চারপাশ আলোকিত হয়ে উঠল।



ভীষন রোদ, শীতকালে



ভীষন রোদ উঠেছিল
আজ সকাল থেকে
যেন শীত বলে মনে হচ্ছিল
না একটুও

ভীষন রোদে
আমার সারা গা পুড়ে যাচ্ছিল
আর আমি তাও রোদে
হাঁটছিলাম

ভীষন রোদে চশমা
লাগিয়ে আমি মরিচীকা
দেখার আশায় সারা মাঠ জুড়ে বালি ছড়িয়েছি

ভীষন রোদে
আমি পা ফেলতে পারিনি
রাস্তায়

শীতকাল এলে এসব মনে থাকার কথা নয়
তবু যেন শীত বলে কিছু মনেই হচ্ছে না।