অস্তিত্ব
মারতে পারি এমন এক ছায়ার ভেতর শুয়ে পড়ছি
আলতার মতো আলো এখন গড়িয়ে গড়িয়ে লাল
যে বিষয় নিয়ে এখানে কথা বলা হচ্ছে
তার আধুলির মধ্যে আটকে গেছে অচল জীবন
আসলে সন্ন্যাস নেবার সময় আমাদের কোন কিছুই স্মরণে থাকে না
প্রিয় নাম, প্রিয়
ফুল বা
পরিচিত গন্ধ
পিপাসা নিয়ে যে
যুবক ঘর
ছেড়েছে তাকে জিজ্ঞেস করো জল
কাকে বলে
জলের মতো সুযোগ পেয়েও যারা এখনো তৃষ্ণার্ত
তাদের পিপাসার পাশে করুণা হয়ে আছি
অথচ বাঁচার মতো আলো, নিঃশ্বাসের মতো বাতাস
গুছিয়ে রেখেছি, মেখে রেখেছি সাংসারিক ধুলো ও রোদের আদর
সামান্য গহনার ভেতর যেটুকু খাদ ঠিক ততটাই মিথ্যে নিয়ে
এখন তোমার সামনে দাড়িয়ে
জানিও কিভাবে আলোর আড়ালে তুমি অন্ধকার লুকিয়ে রেখেছ
কাজল পরার আগের যেটুকু অন্যমনস্কতা
আমাকে ঋণী করে তুলেছে
তেমন চোখের মতো দৃশ্যের অছিলায়
আমিও তো গর্ত খুঁড়েছি নিজস্ব সমাধির
শেষ বেলায় এটুকু মাটি তো দিতেই পারো
যদি সত্যিই আমাকে ছায়া ভেবে থাকো
আহা! স্যররিয়েলিজম যে কবিতার হৃৎপিণ্ড, তার কাছে অলৌকিকের প্রত্যাশা থাকেই। প্রত্যাশা পূরণের পরও যে তৃপ্তির আকাঙ্খা জেগে থাকে, তাকেই লিখে পৃষ্ঠা বাধিত করা শ্লোক, সুখ...শুভদীপ, বড় ভালোলাগল। সম্পন্ন এ লেখায় সবচেয়ে অআাক করেছে ভারসাম্য বজায় রাখার সংযম।
উত্তরমুছুনচমৎকার
উত্তরমুছুনখুব ভালো শুভদীপদা। দারুণ চলন হয়েছে লেখাটার।
উত্তরমুছুনবেশ পরিণত।
উত্তরমুছুনখুব ভালো লাগল লেখাটি... অস্তিত্ব সুস্পষ্ট হে উত্তুরেবালক
উত্তরমুছুন