দূর থেকে দেখা কাছের মানুষ
বিদিশা সরকার
প্রেমিক মানেই যেন অরফ্যান। রোদ ঝড় জলে সহনশীল অপেক্ষা।আরেকটু গভীরভাবে ভাবলে, এই রোদ ঝড় জলই ভাসিয়ে দিচ্ছে তার আত্মার শরীর। নিবেদনের এই বহুমাত্রিক শিল্পিত অজস্র পঙক্তিমালায় কবি শঙ্খ ঘোষ কবিতা প্রেমিকের ঘরে বার বার আসেন,শিক্ষিত করেন।তিনি পরিপূর্ণতার কথা বলেন।আমরা তৃপ্ত হই,ঋদ্ধ এবং প্রণতও।ব্যক্তিগত অনুভবের নিরিখে আমি শুধু আমার মুগ্ধতাই দিতে পারি কবিকে।
এই মুহূর্তে যে বইটি আমার সামনে খোলা রয়েছে,আমি তার ১১ পৃষ্ঠায়। কাব্যগ্রন্থের নাম "ছন্দের ভিতরে এত অন্ধকার"।কবিতাটির শিরোনাম "বিষণ্ণকরণী"।যেন পুরিয়া ধানেশ্রীর আলাপপর্ব।
"রাত্রির ভিতরে এসে আরো রাত্রি মিশে যায় যদি
অন্ধকার থেকে যদি জেগে ওঠে আরো অন্ধকার".........
অন্ধকারের পরতের পর পরত উন্মোচনের কি নিমগ্নতা ! সত্যিই তো অন্ধকারে অভ্যস্ত হলে আরও অন্ধকার ও যে দৃশ্যমান ! অবশ্যই কবির নজর থাকলে । আমরা যা ভেবেছি, বলতে ব্যাকুল হয়েছি-- তিনি তা কতো সহজে বলে দিলেন।
"কথা যদি থেমে যায় কথা যদি দৃষ্টি হয়ে যায়
প্রত্যেক শরীর যদি শরীর উত্তর কথা বলে "
আমরা যেন আলাপপর্ব অতিক্রম করে বন্দিসে এলাম এবং অন্তরায়।
প্রেম কি নির্মোহ,প্রেম কি অভিমান অথবা নিমগ্নতা ? বিষণ্ণতা অতিক্রম করতে না পারার অক্ষমতায় কেন ফিরে যাই সেই অন্ধকারে,যেখানে ছন্দ'র অন্য নাম 'পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ"।
কবিতাটির শেষ লাইন "শিরোনামে নয়,তুমি নেমে এসো পঙক্তির ভিতরে"..................মহিমান্বিত প্রেম।
আমার ব্যক্তিগত ভাবনায় শঙ্খ ঘোষ আসেন।আমি তার কবিতা সংকলনে বুঁদ হয়ে থাকি।তাকে পড়া মানে কিছুদিন কবিতা না লেখা। সঙ্গীত সম্মেলনের পরের কয়েকদিন আমার মধ্যে পরের কয়েকদিন এরকম একটা ঘোর থাকে।আমি তাকে অতিক্রম করতে পারিনা,করতে চাই ও না।
আমার ভালোলাগার আরেকটি কবিতার কয়েকটা লাইন--
কিছু শব্দ কটা দিন উচ্ছলতা পায় মুখে মুখে
তার পরে মরে যায় আমরা তার শব নিয়ে ঘুরি
দুহাতে তাকেই তুমি সাজাও যে রাগে অনুরাগে
ছন্দের ভিতরে এতো অন্ধকার জেনেছ কি আগে
নির্জন সংলাপ,মুখোমুখি কিছু বিনিময়।বাকি কথা কবিতা বিষয়।
তার নির্বাচিত প্রেমের কবিতার মুখবন্ধে লিখেছেন
"মাটিতে বসান জালা,ঠাণ্ডা বুক ভরে আছে জলে
এখনও বুঝিনি ভালো কাকে ঠিক ভালোবাসা বলে"
শঙ্খ ঘোষের আরেকটি কবিতার অংশ,কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তকে চূড়ান্ত ভাবে ঘনিয়ে আসা নিবিড় অধিকারবোধের এক ঝলক
"দুপুরে-রুক্ষ গাছের পাতায়
কোমলতাগুলো হারালে
তোমাকে বক্ব,ভীষণ বক্ব
আড়ালে।.........
মেঘের কোমল করুণ-দুপুর
সূর্যে আঙুল বাড়ালে
তোমাকে বক্ব,ভীষণ বক্ব
আড়ালে ।
নানা অনুষ্ঠানে অথবা সাহিত্য একাডেমিতে বহুবার তাকে দূর থেকে দেখেছি---- এগিয়ে গিয়ে কথা বলতে পারিনি ।ভেবেছি যে মানুষটা পুরোটাই একটা কবিতার আর্কাইভ---- হয়তো তখনও তিনি কবিতামগ্ন। দূর থেকেই প্রনাম ।
প্রেমিক মানেই যেন অরফ্যান। রোদ ঝড় জলে সহনশীল অপেক্ষা।আরেকটু গভীরভাবে ভাবলে, এই রোদ ঝড় জলই ভাসিয়ে দিচ্ছে তার আত্মার শরীর। নিবেদনের এই বহুমাত্রিক শিল্পিত অজস্র পঙক্তিমালায় কবি শঙ্খ ঘোষ কবিতা প্রেমিকের ঘরে বার বার আসেন,শিক্ষিত করেন।তিনি পরিপূর্ণতার কথা বলেন।আমরা তৃপ্ত হই,ঋদ্ধ এবং প্রণতও।ব্যক্তিগত অনুভবের নিরিখে আমি শুধু আমার মুগ্ধতাই দিতে পারি কবিকে।
এই মুহূর্তে যে বইটি আমার সামনে খোলা রয়েছে,আমি তার ১১ পৃষ্ঠায়। কাব্যগ্রন্থের নাম "ছন্দের ভিতরে এত অন্ধকার"।কবিতাটির শিরোনাম "বিষণ্ণকরণী"।যেন পুরিয়া ধানেশ্রীর আলাপপর্ব।
"রাত্রির ভিতরে এসে আরো রাত্রি মিশে যায় যদি
অন্ধকার থেকে যদি জেগে ওঠে আরো অন্ধকার".........
অন্ধকারের পরতের পর পরত উন্মোচনের কি নিমগ্নতা ! সত্যিই তো অন্ধকারে অভ্যস্ত হলে আরও অন্ধকার ও যে দৃশ্যমান ! অবশ্যই কবির নজর থাকলে । আমরা যা ভেবেছি, বলতে ব্যাকুল হয়েছি-- তিনি তা কতো সহজে বলে দিলেন।
"কথা যদি থেমে যায় কথা যদি দৃষ্টি হয়ে যায়
প্রত্যেক শরীর যদি শরীর উত্তর কথা বলে "
আমরা যেন আলাপপর্ব অতিক্রম করে বন্দিসে এলাম এবং অন্তরায়।
প্রেম কি নির্মোহ,প্রেম কি অভিমান অথবা নিমগ্নতা ? বিষণ্ণতা অতিক্রম করতে না পারার অক্ষমতায় কেন ফিরে যাই সেই অন্ধকারে,যেখানে ছন্দ'র অন্য নাম 'পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ"।
কবিতাটির শেষ লাইন "শিরোনামে নয়,তুমি নেমে এসো পঙক্তির ভিতরে"..................মহিমান্বিত প্রেম।
আমার ব্যক্তিগত ভাবনায় শঙ্খ ঘোষ আসেন।আমি তার কবিতা সংকলনে বুঁদ হয়ে থাকি।তাকে পড়া মানে কিছুদিন কবিতা না লেখা। সঙ্গীত সম্মেলনের পরের কয়েকদিন আমার মধ্যে পরের কয়েকদিন এরকম একটা ঘোর থাকে।আমি তাকে অতিক্রম করতে পারিনা,করতে চাই ও না।
আমার ভালোলাগার আরেকটি কবিতার কয়েকটা লাইন--
কিছু শব্দ কটা দিন উচ্ছলতা পায় মুখে মুখে
তার পরে মরে যায় আমরা তার শব নিয়ে ঘুরি
দুহাতে তাকেই তুমি সাজাও যে রাগে অনুরাগে
ছন্দের ভিতরে এতো অন্ধকার জেনেছ কি আগে
নির্জন সংলাপ,মুখোমুখি কিছু বিনিময়।বাকি কথা কবিতা বিষয়।
তার নির্বাচিত প্রেমের কবিতার মুখবন্ধে লিখেছেন
"মাটিতে বসান জালা,ঠাণ্ডা বুক ভরে আছে জলে
এখনও বুঝিনি ভালো কাকে ঠিক ভালোবাসা বলে"
শঙ্খ ঘোষের আরেকটি কবিতার অংশ,কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তকে চূড়ান্ত ভাবে ঘনিয়ে আসা নিবিড় অধিকারবোধের এক ঝলক
"দুপুরে-রুক্ষ গাছের পাতায়
কোমলতাগুলো হারালে
তোমাকে বক্ব,ভীষণ বক্ব
আড়ালে।.........
মেঘের কোমল করুণ-দুপুর
সূর্যে আঙুল বাড়ালে
তোমাকে বক্ব,ভীষণ বক্ব
আড়ালে ।
নানা অনুষ্ঠানে অথবা সাহিত্য একাডেমিতে বহুবার তাকে দূর থেকে দেখেছি---- এগিয়ে গিয়ে কথা বলতে পারিনি ।ভেবেছি যে মানুষটা পুরোটাই একটা কবিতার আর্কাইভ---- হয়তো তখনও তিনি কবিতামগ্ন। দূর থেকেই প্রনাম ।
2 comments:
Milan Chatterjee thanks.
Sankha Sengupta Dhanyobad..........
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন