তিনটি কবিতা
দেবাশিস কোনার
পাঁচালি
তোমাকে বলা হয় নি অন্ধকারই জানে নিশ্চয়তার অর্থ
গাড় বিলাপের সুর শেকড় ছেঁড়া অভিমান আর হম্বিতম্বি
যেটুকু সান্ধ্য-বাতাস অবিকৃত ছিল তাও মন্দভাগ্য
বৃষ্টির ধরবিতে গুমট বাতাবরণ খুলে ফেলে
ভাসে আপন খেয়ালে আড্ডা-মুখর পাঁচালি পাঠে
ব্যস্ত দেরাজের এক কোনে পরে থাকা কালবৈশাখী
উপাসনার জতুগৃহে নির্মম সত্য অনাবিল আনন্দ ।
অবিকৃত চুরানো ঝটিকা পাহাড়ে খেয়ালি-পনা
ভক্তি উতলে ওঠা বাসি হেঁসেলের গন্ধ
ঘুম পাপড়ি ডানা মেলে ওড়ে আকাশে
তোমার স্বেচ্ছা-দহন ব্যথা ক্লিষ্ট ক্ষতের চিত্রাঙ্কন ।
দিগম্বরী
কবে তোমাকে জাপটে ধরে নগ্ন হয়ে ঘুমিয়েছিলাম
মনে পরে না এবং আমাদের ভঙ্গুর শরীরের ঘাম
ঠাণ্ডা হয়ে আসছিল ।আমরা পূর্বাবস্থায় ফিরে এলাম
আমার হাত তোমার মুখাবয়ব স্পর্শ করল
আর তুমি আমার চোখে হাত রেখেছিলে
ওষ্ঠে চুম্বন এঁকেছিলে দীর্ঘক্ষণ ।
আমাদের রাত্রিবাস খোলা-ছিল আলনায়
তুমি বিছানায় হাঁটু গেঁড়ে বসেছিলে বন্যতা নিয়ে
আমাকে জাগাচ্ছিলে পেটে কাতুকুতু দিয়ে
তোমার মুখনিঃসৃত লালা আমার শরীরে
ফ্যাকাসে নীল ছায়ার ভিতর আমি তখন নৌকা যাত্রী
আমার পশ্চাৎ-দেশ ধনুকের মতো বাঁকা ।
গুমোট ওই পরিমণ্ডল ভেদ করে পিচ্ছিল জল
আমার মুঠোয় । আমি পরিষ্কার মনে করতে পারছি
কোনও দূরবর্তী গ্রামে রাত পাহারাদারের হৈ ডাক
আমার চিৎকারের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল
এমনকি আমি যখন ভয় পেয়ে নীরব হতে চাইছিলাম
তখন তোমার হাতের আঙুলগুলি যেন নাচছিল ।
বাঁচার নির্ঘণ্ট
দাঁড়িয়ে আছি বাসস্টপে একা শুনশান কেউ কোথাও নেই
নিশ্চুপে নিরুপদ্রুপে যেন খাঁচায় বন্দী পাখি
দূর থেকে তাক করে আছে কেউ । লক্ষ্যভেদ করলেই
আমার মাথা থেকে ধর বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে ।
আমার জীবন এক সুতোর ওপর নির্ভর করে আছে
একটু এদিক সেদিক হলেই তাল কেটে যাবে
জবাবদিহি করবার কোনও অধিকার নেই আমার
মৃত্যু পরোয়ানা লেখা চিঠিতে শুধু সময় সংক্ষেপ
আমি তবুও দমতে পারি না , মনে হয় ঘুরে দাঁড়াই
জানি জীবনে একবার মরতে হবে । তবে কেন মরার আগে মরব ?
বৃষ্টি এসে আমাকে ভেজায় প্রবল ভাবে
এখন আমি বাঁচা মরার সন্ধিক্ষণে অপেক্ষারত
আমার এতদিনের জীবনের সব হিসেব-নিকেশ
চুকিয়ে দিতে হবে । কোনও গড়মিল খুঁজে পেলেই
জারি হবে আদেশনামা । সভ্য সমাজের আমি এখন কলঙ্ক
আমার চারপাশে এখন শকুনের দল ছিঁড়ে খাবে বলে অপেক্ষা করে আছে ।
জীবন বাজি রেখে আমি এখন ডুব সাঁতার দিতে প্রস্তুত
চোরা অভিমানে আমার দেহ থেকে খসে পড়ছে বিদ্যুৎ
লড়াই করতে করতে আমি এখন ক্লান্ত
আমাকে গ্রাস করে নষ্ট চাঁদ
পরিযায়ী ক্ষোভে জর্জরিত আমি
মাদক সেবনের উপকারিতার বিজ্ঞাপন দিলেই মুক্তি ।
দেবাশিস কোনার
পাঁচালি
তোমাকে বলা হয় নি অন্ধকারই জানে নিশ্চয়তার অর্থ
গাড় বিলাপের সুর শেকড় ছেঁড়া অভিমান আর হম্বিতম্বি
যেটুকু সান্ধ্য-বাতাস অবিকৃত ছিল তাও মন্দভাগ্য
বৃষ্টির ধরবিতে গুমট বাতাবরণ খুলে ফেলে
ভাসে আপন খেয়ালে আড্ডা-মুখর পাঁচালি পাঠে
ব্যস্ত দেরাজের এক কোনে পরে থাকা কালবৈশাখী
উপাসনার জতুগৃহে নির্মম সত্য অনাবিল আনন্দ ।
অবিকৃত চুরানো ঝটিকা পাহাড়ে খেয়ালি-পনা
ভক্তি উতলে ওঠা বাসি হেঁসেলের গন্ধ
ঘুম পাপড়ি ডানা মেলে ওড়ে আকাশে
তোমার স্বেচ্ছা-দহন ব্যথা ক্লিষ্ট ক্ষতের চিত্রাঙ্কন ।
দিগম্বরী
কবে তোমাকে জাপটে ধরে নগ্ন হয়ে ঘুমিয়েছিলাম
মনে পরে না এবং আমাদের ভঙ্গুর শরীরের ঘাম
ঠাণ্ডা হয়ে আসছিল ।আমরা পূর্বাবস্থায় ফিরে এলাম
আমার হাত তোমার মুখাবয়ব স্পর্শ করল
আর তুমি আমার চোখে হাত রেখেছিলে
ওষ্ঠে চুম্বন এঁকেছিলে দীর্ঘক্ষণ ।
আমাদের রাত্রিবাস খোলা-ছিল আলনায়
তুমি বিছানায় হাঁটু গেঁড়ে বসেছিলে বন্যতা নিয়ে
আমাকে জাগাচ্ছিলে পেটে কাতুকুতু দিয়ে
তোমার মুখনিঃসৃত লালা আমার শরীরে
ফ্যাকাসে নীল ছায়ার ভিতর আমি তখন নৌকা যাত্রী
আমার পশ্চাৎ-দেশ ধনুকের মতো বাঁকা ।
গুমোট ওই পরিমণ্ডল ভেদ করে পিচ্ছিল জল
আমার মুঠোয় । আমি পরিষ্কার মনে করতে পারছি
কোনও দূরবর্তী গ্রামে রাত পাহারাদারের হৈ ডাক
আমার চিৎকারের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল
এমনকি আমি যখন ভয় পেয়ে নীরব হতে চাইছিলাম
তখন তোমার হাতের আঙুলগুলি যেন নাচছিল ।
বাঁচার নির্ঘণ্ট
দাঁড়িয়ে আছি বাসস্টপে একা শুনশান কেউ কোথাও নেই
নিশ্চুপে নিরুপদ্রুপে যেন খাঁচায় বন্দী পাখি
দূর থেকে তাক করে আছে কেউ । লক্ষ্যভেদ করলেই
আমার মাথা থেকে ধর বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে ।
আমার জীবন এক সুতোর ওপর নির্ভর করে আছে
একটু এদিক সেদিক হলেই তাল কেটে যাবে
জবাবদিহি করবার কোনও অধিকার নেই আমার
মৃত্যু পরোয়ানা লেখা চিঠিতে শুধু সময় সংক্ষেপ
আমি তবুও দমতে পারি না , মনে হয় ঘুরে দাঁড়াই
জানি জীবনে একবার মরতে হবে । তবে কেন মরার আগে মরব ?
বৃষ্টি এসে আমাকে ভেজায় প্রবল ভাবে
এখন আমি বাঁচা মরার সন্ধিক্ষণে অপেক্ষারত
আমার এতদিনের জীবনের সব হিসেব-নিকেশ
চুকিয়ে দিতে হবে । কোনও গড়মিল খুঁজে পেলেই
জারি হবে আদেশনামা । সভ্য সমাজের আমি এখন কলঙ্ক
আমার চারপাশে এখন শকুনের দল ছিঁড়ে খাবে বলে অপেক্ষা করে আছে ।
জীবন বাজি রেখে আমি এখন ডুব সাঁতার দিতে প্রস্তুত
চোরা অভিমানে আমার দেহ থেকে খসে পড়ছে বিদ্যুৎ
লড়াই করতে করতে আমি এখন ক্লান্ত
আমাকে গ্রাস করে নষ্ট চাঁদ
পরিযায়ী ক্ষোভে জর্জরিত আমি
মাদক সেবনের উপকারিতার বিজ্ঞাপন দিলেই মুক্তি ।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন