শুক্রবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

এই সংখ্যার কবি - তন্ময় ধর

তন্ময় ধর

গোধুলির স্লাইডিং

১।
অস্নানের একটু বার্নট সায়ানা
কুহকের
এই অস্পৃশ্য কোণে
লিখলাম বা বৃষ্টির স্বরে এগোলাম

২।
সদ্য মৃতের ত্বক
ব্লেড, কুয়াশা,দুধ, শিলালিপি ও ধাতুযুগ
গল্পের শিকড়ে সব
‘স্থলকমলগঞ্জনং মম হৃদয়রঞ্জনং জনিতরতিরঙ্গপরভাগম
ভণ মসৃণবাণি করবাণি চরণদ্বয়ং সরসলসদলক্তকরাগম’
স্বচ্ছ করে দিচ্ছো তোমার কান্নার ইনফ্রা-রেড

৩।
এক রহস্যময় ডুবসাঁতার আমার সামনে এসে দাঁড়াচ্ছে
পিছনে
আর এক অন্ধ জলস্তর
স্মৃতিহীন শাদা মথ ও রক্তবস্ত্রের উপকথা-
‘ঝালটা কি একটু বেশি হয়ে গেছে?’
উত্তর এসে
ভাসিয়ে রাখে খড়-মাটির কঙ্কাল


অপরাহ্নের স্লাইডিং

১।
কঙ্কালের উপসর্গ আসার আগে
ওই নাভিবিন্দু থেকে উড়ে গেছে
আহত সরাল

২।
মাছের খাবারের ছায়ায় আরেকটু জলরঙ
পূর্বমাতৃকার উচ্চারণ থেকে সরতে থাকে
মাছের আঁশ ও ট্রমা

৩।
‘অধরসুধারসমুপনর ভামিনি জীবয় মৃতমিব দাসম’
একটি প্রাচীন উভচর
স্বপ্নের বিপরীতে
খুঁজে চলে সীমানার অন্ধতা


দ্বিপ্রাহরিক স্লাইডিং

১।
ডুবলে আর একটু কোয়ার‌্যান্টিন
অলোকসামান্যে
যত বৃথামাংসের কুসুম কুসুম
ভাঙলেও
অতিচার
জন্মান্ধ আঙুলের ইমেজ

২।

না-ভাষায়
এইভাবে স্বচ্ছ সন্তানের মৃতদেহ ভেসে আসে;
ওর চুল থেকে মৃত ঝিনুক ছাড়িয়ে নেয় পূর্বমাতৃকা
নীল রঙের এক একটা পচন

দূর থেকে
আমাকে দেখে পক্ষীমাধ্যমের ধুলিখেলায়

৩।
স্বাদের হালকা ক্যালকুলেশন থেকে
টুপ
নির্দেশতল ছাড়াই উড়ছে নীলশির হাঁস

মীনপংক্তির সহজিয়ায়
জলের বিম্ব ফিরছে
চুপচাপে