শুক্রবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

কবিতা - ধ্রুব

আমি যুদ্ধে যাবো
ধ্রুব

আমার খুব ইচ্ছে আমি তরুণ হবো,
আমার খুব ইচ্ছে আমি যুদ্ধে যাবো,
অজেয় বোধে ধারালো কিছু ক্ষোভ আনবো,
আমার খুব ইচ্ছে আমি যুদ্ধে যাবো।

গায়ে থাকবে আসাদের রক্তে রাঙা সার্ট,
হৃদয়ে থাকবে নূর হোসেনের গগনবিদারী চিৎকার,
উপারম্ভে অবরুদের রক্ত চুষে খাবো,
আমার খুব ইচ্ছে আমি যুদ্ধে যাবো।

উড্ডীয়মান স্বপ্নগুলো আরক্ত হওয়ার আগে,
বন্ধ কপাট ভেঙ্গে স্বপ্নের আরতি করবো,
অদৃশ্য রজ্জু ছিঁড়ে বিজয়ের মালা গাঁথবো,
আমার খুব ইচ্ছে আমি যুদ্ধে যাবো।

ক্ষয়িষ্ণু গনতন্ত্র চক্ষুশূল হওয়ার আগে,
কনীনিকার দুয়ার চিরতরে খুলবো,
ক্লীব নামক অপবাদের গলা টিপে মারবো,
আমার খুব ইচ্ছে আমি যুদ্ধে যাবো।

অ্যামবুশে অ্যামবুশে আমি ফেলবো মানব বোমা,
চিরতরে হারিয়ে যাবে মাংসাশী শকুনেরা,
বর্ষাত্যয়ে অন্তরীক্ষে সূর্যের আরাধনা করবো
আমার খুব ইচ্ছে আমি যুদ্ধে যাবো।

সাম্প্রদায়িকতার নামে স্বার্থ চরিতার্থ,
সারশূন্য গনতন্ত্রের বিষদাঁতে অন্তরাত্মা দগ্ধ,
ভিখিরির মুখে বুটের আঘাত চিরাচরিত দৃশ্য,
হরতাল মানে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত,
বোনের বুকের বসন আজ দুর্বৃত্তদের হাতে বন্দী,
প্রত্যর্থী মানুষগুলোর এখন হিংসার সাথে সন্ধি,
কালবেলার এই সময়টা খুব পরিচিত,
এটা আর কিছুই নয় পরাধীনতার চিত্র,
ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মা অপমান আর গ্লানিতে ভরা,
এসব দেখে জন্ম হয় মনে যুদ্ধে যাওয়ার বাসনা।

তিমির রাতের করাল গ্রাস হতে প্রভাতফেরী ছিনিয়ে আনবো,
বীরাঙ্গনা মায়ের অশ্রু প্রকৃতির চাদরে মুছবো,
মুক্তি সেনাদের স্বর্গের পথে কাঞ্চন মালা ছড়াবো,
আমার খুব ইচ্ছে আমি যুদ্ধে যাবো।

জীর্ণ শরীরে আজন্ম এক অনিরুদ্ধ বাসনা,
স্বাধীন দেশে অরাজকতার শাসন আমি মানবো না,

গনমিছিলে মশাল জ্বালাবো বিচ্ছেদ ব্যাথা ভুলে,
বেলা অবেলার শেষে আঁকবো স্বাধীন মানচিত্র বুক জুড়ে,

সব বাঁধন ছিন্ন করে আমি বিদ্রোহী হবো,
আমার খুব ইচ্ছে আমি যুদ্ধে যাবো।