বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০১৩

কবিতা - অমলেন্দু চন্দ

কাকে ছাড়ি - কাকে ধরি
অমলেন্দু চন্দ


বৃত্ত কাকে বলে—
বৃত্তের বলয় থাকে – যেমন সুগোল হয় শাঁখা পলা নোয়ার বলয়
জীবন সীমান্ত ঘিরে যে বলয় ছায়া দেয় মায়া দিয়ে
বাঁধন বন্ধনী হয় –

বেশ বেশ সেতো হল – বন্ধনী না থাকলে প্যান্টুল খুলে যাবে সেটা খুব সত্যি কথা,

বৃত্তের সত্যি হল অন্ন বস্ত্র বাসস্থান এবং উদ্বৃত্ত এইসব হিসেব নিকেশ টুকু বুঝে পেতে
ঠিক ঠাক করে নিতে সকলেই কাজ করি, অকাজও যে করিনা তা নয়,
তারস্বরে ঝগড়া করি, সন্ধিও হয়।

যথার্থ বলেছ – কখনো বা সাথে সাথে, কখনো কাজের ফাঁকে, নতুবা দিনান্তে এসে,
আমাদের ইরাক ইরান, বার্লিন বেনাপোল, কিম্বা নয় এগারোতে,
বিস্ফোরণ থাকে কিন্তু ধ্বংসের তাণ্ডব নয়, তাই মিটে যায়।

সত্যি কি মিটে যায়?
তাহলে এমন মাঝে মাঝে ভারাক্লান্ত কেন লাগে?
অবুঝ শূন্যতার মেঘ কেন জমে মাথার ভেতর?
ভয় লাগে এই বুঝি সবকিছু গোলমাল হয়ে যাবে!

দুত্তরি শুরু হল প্যাঁচার পাঁচালি…

বেশবেশ অন্য কথা বলি…
স্মৃতির পাথার ছেনে ভিন্ন কোন কথা—-।
স্মৃতি সত্ত্বা ভবিষ্যৎ –

এবারে ঝোলাবে তুমি অকারণ বক্ বক্ করে–

আরে না না — শোনোই না… স্মৃতি নিয়ে দূটো কথা বলি…
কখনো যখন মবি ডিকের সেই বোকা ক্যাপ্টেনের মত
সমুদ্রে বঁড়শী নিয়ে ধাই অবেলায়, কিম্বা প্রান্তরে খাঁচা –
তখন সেখানে সেই একা একা একান্ত সময়ে অনুসারী আমার পেছনে চুপি চুপি গুঁড়ি মেরে
ধেয়ে আসে কুড়ি কুড়ি বছরের পার হতে
ফেলে আসা কথা হাঁসি গান,
মনে পড়ে দাপটে উল্লাসে মেশা মিথ্যে অহংকারী নেশা,
এলাচগন্ধের মতো মনে পড়ে যায় মায়ের আদর করা…

ওয়াহ গুরু ভালই বলেছ কবিতার ঠেলায় ফেলে স্মৃতি কি বোঝানো–

শোনোই না — আরও আছে–

এই ড়ে মরেচে — কখন থামতে হয় সেটাই শেখনি !!

আরে না না – শোনই না বেশি নয়,
তারপর বর্ণহীন অন্তরের বাঁশবনে রব তোলে বিপন্ন শেয়াল,
অস্পষ্টতায় বহু স্মৃতি অসমাপ্ত থেকে যায়।।

থাম থাম, আবার ছায়ার কথা, আবার বিষণ্ণতা
ছোঁয়াচে রোগের মত – আস্ত পেসিমিস্ট কোথাকার।।

সেটাই সিদ্ধান্ত হলে এটাই সাব্যস্ত হয়, আর কোন কথা নয়!
এভাবেই গিলোটিনে তুলেছ তোমরা – আমাদের

ভাটিও না, এতটা বিরাট কিছু কবিরা হয় না কোনদিন
ভালবাসি তাই তো পারিনি নিতে সহজ সিদ্ধান্ত”টুকু
কাকে রাখি কাকে মারি …

গিলোটিন না তোমাদের!