বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০১৩

কবিতা - নির্মাল্য বন্দ্যোপাধ্যায়

নির্মাল্য বন্দ্যোপাধ্যায়


জোছনা করেছে আড়ি শুনতে শুনতেই হৈ হৈ করে বেসামাল করলো রংরুট ফৌজ। আড়াল মানেই তেমন কোনো দাঁড়ানোর পালা নেই। চাঁদ জোড়া বেসাতিও নেই। উহ থেকে আহা পর্যন্ত লালিত সীমানা... দুয়ারভাঙ্গা অভিজ্ঞান। অগম্য সে ফিরোজামিনার। পরিমিতি লিখবে নান্দনিকে, সেরকম জোরালো একক বিস্ময়ভ্রমনে। মহাবিশ্বে মহাকাশে নেতি নেতি নেতি।অণু থেকে পরমাণু ঘুরে আবার যদি ইচ্ছে করা জীবনমাদকে এক্কাদোক্কা মোক্ষসমান। এই বেশ ভালো ও ধারালো।



দুর্গরহস্য-৬



বন্ধু বন্দুকে দলমাদল
তীরের বাঘনখে যে আন্দাজ
সে সব ইতিহাস আলতোভুল
ছেলেটি ছুঁতে চায় উল্কাজল

দুর্গজোড়া সেই পাগলপন
দেখেও পরিচিত হিসেবঘর
ফিরেছে সৈনিক, টার্গেটে
অবোধ ছেলেটির হৃদখনন

ছেলেটি তখন এক ভুলবোঝায়
ছেলেটি ক্রুশকাঠ, কান্নাঝড়
রিক্ত, নীরক্ত, শ্বাসরহিত
ছায়াটি অস্থিতে বদলে যায়

আকাশ কালো হয়, বাতাস নীল
ছায়াটি অস্থিতে বদলে যায়
নিঝুম, একঘরে, ঘুমবিহীন
পাগল শুয়ে থাকে, দুয়ারে খিল

দুর্গরক্ষক প্রতীক্ষায়
পরিখাজোড়া এক রসিক বিল
পেরিয়ে আয়, ছেলে, জিদ্দি দিল
উল্কাক্ষত ভরা ভালবাসায়...



মায়াদাস


আধোলীন অগ্নিগোলক
মায়াদাস, কাছেই থাকি
বারোমাস এই পেয়েছি
শরীরের দিনখোরাকি

উপবাসে সন্ধ্যেসকাল
যায় যাক, লা পরোয়া
সোনামন, রাতউনুনে
মাড়ভাত অস্তিছোঁয়া

জড়িবুটি আধকপালে
ছত্রাকে শৈবালে ঝড়
জাদুকরী, চাঁদের বুড়ি
মিলেমিশে আত্মসফর

চরকায় নৈশনূপুর
গোলকের দিন বুঝি শেষ
মায়াদাস, মধ্যযামে

এই তোর গৃহপ্রবেশ।