বৃহস্পতিবার, ১ নভেম্বর, ২০১২

ধারাবাহিক উপন্যাস- অলোকপর্ণা

অলোকপর্ণা


“পাগল হইয়ে বন্ধু পাগল বানাইলে পাগল
আগে ভালোবাসি দিয়ে মুখের হাসি
যত দোষের দুষি আমায় বানাইলে পাগল।।”

দ্বৈপায়নের ভাগ্যদেবী আজ যেন প্রসন্ন। তিন দিন পরে সে ভরপেটা খেতে পারবে। মাইনের টাকায় ফুল হাতা জামার নোংরা বুক পকেটটা খসখস করছে। ট্যাক্সি চালকও মেজাজের সাথে তাল মিলিয়ে মহঃ রফি গাইতে গাইতে বাইপাস থেকে বিধান নগর স্টেশানের দিকে ফেরে। আজকের মেন্যু চাইনিজ। ড্রাইভার দাদা চাইলে তাকেও খাওয়ানো যেতেই পারে, কারণ বিহারী ট্যাক্সি চালকের পছন্দের চাইনিজ রেস্তোরাঁতেই যাচ্ছে দ্বৈপায়ন। খাওয়া শেষ হলে দিদির ডেরায় উঁকি মারতে হবে। কি কারণে ইংরিজী দিদিমণির তলব পড়েছে জানতে হবে। গত তিন দিন শহরের নানা প্রান্ত তাকে রিজেক্ট করেছে, কখনো বাস থেকে, কখনো ট্রাম থেকে টিকিটহীণতার সুযোগে গলা ধাক্কা দিয়ে ত্যাগ করেছে। কিছু একটা কারণে লোকজন তাকে এড়িয়েও গেছে। এটা নিশ্চিত যে তার মুখে, মাথায়, গায়ে গত তিন চার দিনের স্নান, ঘুম ও আশ্রয়ের অভাব প্রকট হয়েছে। কিন্তু তাতে এড়িয়ে যাওয়ার মতো কি আছে? মেস থেকে এই উপেক্ষা করাটা শুরু হয়েছে। তার নির্বোধ মাথায় হয়তো কারণটা স্পষ্ট হচ্ছেনা। সে ঠিক করে যে দিদির সাথে আজ কথা বলে ব্যাপারটা বুঝে নেবে।

গতকাল রাতে দ্বৈপায়নের খেয়াল হয় আজ যাদবপুর যাওয়ার দিন। সে তখন এসপ্ল্যানেড চত্তরে গ্র্যান্ড হোটেলের সামনে দিয়ে একবার আসছে আর যাচ্ছে। গ্র্যান্ডের হাওয়াটা কি ঠান্ডা, সমুদ্রের মতো। সামুদ্রিক গন্ধও যেন ভেসে আসছে ভিতর থেকে। এক একটা দমকায় পেটের খিদেও হজম হয়ে যাচ্ছে। কিছুক্ষন বাদে ভিতর থেকে সিকিউরিটি গোত্রের কেউ বেরিয়ে এসে তাকে আপাদমস্তক দেখে নির্ভয়ে ফিরে যায়। আর যাই হোক দ্বৈপায়নকে তখন কারোরই আতঙ্কবাদী বলে মনে হচ্ছিল না। আতঙ্কবাদী কথাটার উৎস খুঁজতে খুঁজতে তার সংস্কৃত পড়াবার কথা মনে পড়ে। সে ঠিক করেছিল এক একটা দিনে এন্টালী থেকে বালিগঞ্জ যাত্রার পথটা ভেঙে নেবে। এবং এর ফলে একটা রাত বাদে সে মোটামুটি একটা নিরাপদ আস্তানা খুঁজে পেয়েছিল পার্কস্ট্রীটে, ব্রীজের তলায়। কিন্তু সেটার মায়া ত্যাগ করে তাকে হাঁটা শুরু করতে হয়, নাহলে সকালের আগে সেন বাড়ি পৌঁছানো যাবে না। সকল ভারতবাসীরই শিক্ষা মৌলিক অধিকার। তার নিজের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান নাই থাকতে পারে, কিন্তু তার জন্য ক্লাস এইটের বাচ্চা ছেলেটা কেন বঞ্চিত হবে সে অধিকার থেকে? তাই জোর কদমে সে ময়দান মেট্রো ছাড়িয়ে থিয়েটার রোডে পা ফেলে। আর তখনই সামনের জেব্রা ক্রসিং দিয়ে একতারা হাতে রবীন্দ্রনাথকে সে রাতের কোলকাতার নির্জন পথ পার হয়ে যেতে দেখে। এতো নির্জন রাস্তায় সিগনাল মেনে জেব্রা ক্রসিং ধরার কি মানে?! কে জানে হয়তো সে ধরতে পারছে না। ভাবতে গিয়ে চিন্তাগুলো ঘেঁটে যায় তার, পিছু নেবে কিনা সে মনস্থির করে উঠতে পারে না। অগত্যা অপরিবর্তিত পথে এগিয়ে চলে। নিজের নির্বুদ্ধিতার কাছে বাক্‌হীণ হয়ে পড়ে দ্বৈপায়ন এক এক সময়। শিয়ালদহ স্টেশানে সত্যিই সে বাড়াবাড়ি রকমের বোকামো করেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সে কিনা বলেছে,”আপনাকে চেনা চেনা লাগছে...” ভাবা যায়! যে কোনো বাঙালীই এটা শুনলে মূর্ছা যাবে। হতে পারে এই বোকামির শাস্তি হিসেবেই সেদিন রবি বাউলের স্বপ্নটা কনস্টেবলের লাথি খেয়ে ভেঙে গিয়েছিল। খালি পেটে আবার সেই এক ভুল সে হতে দেবে না সে। রাস্তার পাশে পুরনো ড্রামে এসি ঝরা জল জমে আছে। এক আজলা তুলে নিয়ে চোখে ছুড়ে দিল সে। শান্তি। জীবন! স্ট্রীট লাইটের ছায়ায় জলের মধ্যে প্রতিবিম্ব তৈরী হয় তার। ভয়ে সরে যেতে যেতে সে এক ঝলক নিজের মুখটা দেখে ফেলে। দীর্ঘ পাঁচ ছয় বছর পর! খুব সাদা দেখালো মুখটাকে, কে জানে চাঁদের আলো পড়েছিল বলে হয়তো! কোলকাতার ঘন আকাশে অনেক কষ্টে এককোণে একটা চাঁদ খুঁজে পাওয়া গেলেও আর একবার জলে নিজের মুখ দেখতে যাওয়ার সাহস হোলো না দ্বৈপায়নের। আবার যখন রাস্তায় নেমে এলো সে, তখন রবীন্দ্রনাথ এক্সাইডের মোড়ে দাঁড়িয়ে দুর্বল দৃষ্টিতে শহরের আকাশে চাঁদ খুঁজে চলেছেন একতারা হাতে, একদম একা।

ছেলেটা খচখচ করে ছবি তুলেই যাচ্ছে। হোটেলে উপস্থিত কারোর ছবি তোলাই আর বাদ রইলো না। হাবুল গদগদ হয়ে আছে ব্যক্তিগত অপরাধবোধ নিয়ে। তার দুঃখ, সে নয়- দশ বছরেও এই দাদার আসল পরিচয় জানতো না। অনুতাপ করতে করতে সে হাসিমুখে একবার তীর্থঙ্করের ডানদিকে একবার বাঁদিকে পোজ দিয়ে চলেছে। রেজ্জাককে বার দুই ডেকেও সাড়া পাওয়া যায়নি। বেচারা ভীড় ঠেলে আসতে পারছে না নিশ্চয়ই, কি সুযোগ হারাচ্ছে বাচ্চাটা তা সে নিজেও জানেনা। রেজ্জাক ভীড় ঠেলে সত্যিই আসতে পারছিল না। তিন চার বার ব্যর্থ হওয়ার পর সে উদ্যম হারিয়ে চাইনিজ হোটেলের বাইরে এসে দাঁড়ায়। কি বিরাট শহরটা! এক এক দিন এক একটা সিনেমার মতো, রোজ নতুন নতুন ঘটনা। ওই দাদা যে এত বড়ো মানুষ, আন্দাজ করা গিয়েছিল! হোটেলে যারা ছিল তারা তো বেরই হয়নি, বরং আরো যারা এসেছে তারাও আটকে গেছে, তার ওপর আশপাশের দোকান থেকে লোকমুখে খবর ছড়াচ্ছে। হাবুলদার গলা শুনে সে জানতে পেরেছে একটু পরেই পুলিশ এসে ওই দাদাকে নিয়ে যাবে উদ্ধার করে। রেজ্জাককে আরো অবাক করে একটা ট্যাক্সি এসে দাঁড়ায় হোটেলের সামনে। একটা পাগল দরজা খুলে নামে। তিন মাসে রেজ্জাক অনেক কিছুই দেখেছে, কিন্তু কোনো পাগলকে কখনো ট্যাক্সি চড়ে হোটেলে আসতে দেখেনি। বিশ্রী গন্ধ বেরোচ্ছে পাগলটার গা থেকে। মুখে সাদা সাদা ছোপ। নোংরা জামার পকেট থেকে কড়কড়ে নোট বের করে সে ড্রাইভারকে দেয়, ড্রাইভার তাকে হাসি মুখে কি সব বলে গাড়ি ঘুরিয়ে নেয়। রেজ্জাককে আরো অবাক করে দিয়ে পাগলটা এবার ফুলের দোকানগুলোর দিকে হেঁটে যায়। খুব যত্ন করে গন্ধ শোঁকে। এক গুচ্ছ লাল গোলাপ কেনে। মেপে মেপে হেঁটে সে চাইনিজ হোটেলটার সামনে, রেজ্জাকের এক্কেবারে সামনে এসে দাঁড়ায়। ছোট থেকে পাগলদের ভয় করে চলে রেজ্জাক, কিন্তু আজ আর পালানোর সুযোগ পায়না। পাগলটা তার দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে বলে, “কিরে মাকোড়ে! কি করছিস এখানে?”

রেজ্জাক ভয়ে কাঁপতে থাকে।

“শীত করছে তোর? চল তাহলে ভিতরে বসে গরমা গরম মোমো চিবাই!”

কোনো উত্তর না পেয়ে পাগলটা দুটো হাত তুলে গোল গোল করে দেখায়, “ডিমসাম ডিমসাম! চিনিস না! এঃ কি যে করিস!”

ভয় পেতে গিয়েও রেজ্জাকের চোখ পাগলটার বুক পকেটে স্থির হয়ে যায়, হলোদে সবুজ পাঁচশো টাকার নোটটা তার উপস্থিতি জানান দিচ্ছে।

“ওই, কি দেখছিস? তুই কি করছিস এখানে এই সাত সকালে? পড়াশোনা নেই তোর? কোনো ক্লাস?”

টাকার গন্ধে আপনা থেকেই সাহস জোগাড় হয়, রেজ্জাক নির্ভয়ে পকেট থেকে দৃষ্টি না সরিয়েই বলে, “আমি কাজ করি এখানে।”

শিশুশ্রম! হঠাৎ প্রচন্ড আহত হয় দ্বৈপায়ন। আহা, বেচারা, দিদিটা বদমেজাজী না হলে এই ছেলেটা আজ তার ভাগ্নে হতেই পারতো, দিদির বাড়ি বসে একে অঙ্ক, সংস্কৃত পড়ানো যেত আরামসে। “তোর নাম কি?” গলাটা নরম হয়ে বুজে আসে দ্বৈপায়নের।

“রেজ্জাক।” তখনও তার চোখ বুক পকেটেই ঝুলে আছে।

দ্বৈপায়ন দেখে ছেলেটা লোলুপ দৃষ্টিতে মাইনের শেষ নোটটার দিকে তাকিয়ে আছে। যেন প্রথম প্রেমিকাকে দেখছে আর প্রেমটা অবশ্যই লাভ ইন ফার্স্ট সাইট। মায়া হয় খুব, শহর জুড়ে মায়া হয় দ্বৈপায়নের। এক হাতে গোলাপ ফুলের বোকেটা ধরে বুক পকেট থেকে নোটটা বের করে সে রেজ্জাকের হাতে তুলে দেয়। রেজ্জাক আজ তার প্রায় দশ বছরের জীবনে সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছে। মাকে হারানোর পর এই প্রথম কান্না পেল তার। পাগলটা সত্যিই একদম পাগল!

একই সাথে আকাশ ফাটা শব্দে পুলিশের তিনটে গাড়ি এসে দাঁড়ায় পাঁচ মাথার মোড়ে। রেজ্জাক ভয়ে হোটেলের সামনে থেকে সরে আসে। পাগলটাও মনে হয় অবাক হয়ে গেছে।

“ওই, কি হয়েছে তোদের হোটেলে?”

“সেলেরবিটি এসেছে।” রাস্তার দিকে তাকিয়েই জবাব দেয় রেজ্জাক।

“কার বিটি?”

উত্তর দেওয়া হয়না, ভিতর থেকে অনুরাগী পরিবৃত হয়ে তীর্থঙ্কর চ্যাটার্জী বেরিয়ে আসেন। দ্বৈপায়ন তাকে দেখে চেঁচিয়ে ওঠে, “জাম্বাবু! ও জাম্বাবু!”

রেজ্জাক দয়া মাখা দৃষ্টিতে পাগলটার দিকে তাকায়,ও ওই দাদাকে নিজের চেনা কেউ ভেবেছে। দ্বৈপায়ন তীর্থর চোখেও অপার দয়া দেখতে পায়। জাম্বাবু খুব আনন্দ পেয়েছেন বোঝা যাচ্ছে। তাঁকে নিয়ে হইচই হলে জাম্বাবু আনন্দ পান, তখন তিনি জগতের সুখীতম মানুষ। ক্যামেরাওয়ালা ছেলেটা তখনও খচখচ করে ছবি তুলে যাচ্ছে, তীর্থঙ্কর গাড়িতে ওঠা পর্যন্ত সে ছবি তুলেই চলে। দ্বৈপায়ন তীর্থর গাড়ির কাছে যেতেই পুলিশের লাঠির খোঁচা খেয়ে ছিটকে যায়। আবার সে পরিত্যক্ত হয়েছে। খুব দুঃখ হয় দ্বৈপায়নের, নিজের জন্যই। কোলকাতা ঝাপ্সা করে বৃষ্টি আসবে একটু পরেই। নিজের মনে পুরনো থিয়েটার পাড়ার দিকে হেঁটে যায় সে। কনভয় করে গাড়িগুলো চলে যাওয়ার পর রেজ্জাকের পাগলটার কথা মনে পড়ে। কিন্তু চারদিকে তাকিয়েও সে তাকে আর কোথাও দেখতে পায়না। গেঞ্জির পকেটে হলোদে সবুজ নোটটা সযত্নে ভরে খানিক পরে রেজ্জাক হোটেলে ফিরে আসে।

“চ্যাটার্জী!”

“হ্যাঁ বলুন! খোঁজ পেলেন?”

“না তবে ট্রেস পেয়েছি।”

“যাক, আপনার মেয়ে শান্ত হয়েছে?”

“কি করে হবে বলো! তুমি, পিকু কেউ কি কখনো শান্তি দিয়েছো ওকে?”

কথা ঘুরিয়ে নেয় তীর্থ, “তাহলে কি অ্যাড দেওয়া বন্ধ করে দেবো?”

“না না, একদম না!” অধৈর্য হয়ে ওঠেন ডঃ ঘোষ, “পিকু দীপার কাছে না পৌঁছানো পর্যন্ত খোঁজ চালিয়ে যেতে হবে। সম্ভব হলে কালকের কাগজের প্রথম পাতাতেই ওর সব ডিটেলস দিয়ে নিরুদ্দেশ সম্পর্কে ঘোষণা করতে হবে।” বিরতি নেন তিনি।

“আর কিছু?”

“ভাবছিলাম ‘খোঁজ দিলে পুরস্কার আছে’ জানানো হলে কেমন হয়?”

“খুব ভালো হয়। অনেকে ইন্টারেস্ট পাবে।”

“হুম, তাহলে এক লাখ টাকা বলে দাও, গর্দভটার জন্য এর চেয়ে বেশি আমি আর দিতে পারবো না।” নিজের অমূল্য সময় নষ্ট না করে ডঃ ঘোষ ফোন রেখে দেন।

কনভয়ের মাঝে রাজকীয় ভঙ্গীতে কোলকাতার রাস্তা শাসন করতে করতে তীর্থঙ্কর দক্ষিণের পথে যান। ফোন বের করে শ্বশুর মশাইয়ের ফরমায়েস মতো কাজ সারতে থাকেন। পরের দিন সকালের খবর কাগজের প্রথম পাতায় শ্যালকের নিখোঁজ সংবাদের পাশে তাঁর হোটেল বন্দী হওয়ার খবর ছবি সহ বের হবে। ভীষণ মজা লাগতে লাগল তাঁর।

রাত দশটার সময়ে ফোনের আওয়াজে তীর্থঙ্করের চমৎকার ঘুমের প্রস্তুতিটা ভোকাট্টা হয়ে উড়ে গেল। নিউজ এডিটার ফোন করেছে, এতো রাতে!

“হুম বলুন...”

“দাদা, আপনার ব্রাদার ইন ল’র যে ছবিটা কাল বেরোতে চলেছে, সেটা আপনার আজকের মবড হওয়ার ছবির একজনের সাথে হুবহু মিলে যাচ্ছে।”

তীর্থ নড়েচড়ে বসেন, “ঠিক দেখেছেন তো আপনি?”

“হেঁ হেঁ, আজ অবধি তো কখনো ভুল দেখিনি দাদা।”

“মবড হওয়ার ছবিটা চেঞ্জ করুন এখনই!”

“এহ, কি করে করবো দাদা! চেষ্টা করেছিলাম অন্য ছবি দেওয়ার, কিন্তু প্রতিটা পারফেক্ট ছবিতেই উনি এসে পড়েছেন।”

“ছবি ছাড়া খবরটা বের করুন। কোনো ছবি দেবেন না। না, দাঁড়ান! আমার পুরনো কোনো ছবি বসিয়ে দিন!”

“তা কি করে হবে! প্রেসে চলে গেছে তো মালটা!”

“আপনি জানবেন কি করে হবে” মেজাজ হারিয়ে ফেলেন তীর্থঙ্কর।

“দাদা, একটা কথা,”

“বলুন!”

“ওই এক লাখ টাকাটা তাহলে আমিই পাচ্ছি তো!”

তীর্থঙ্কর ফোন কেটে দেন।

বহুদিন বাদে দয়া বা মজার বদলে রাগ হতে থাকে তাঁর। বলদ পিকুটার জন্য কালকের অতো সুন্দর শিরোনামটা নষ্ট হয়ে গেল। ছবি ছাড়া নিউজে তীর্থঙ্কর নিজেকে ভাবতেই পারেননা। নাহ, হতচ্ছাড়াকে খুঁজে বের করতেই হবে। ঈশ্বরের সমান উচ্চতা থেকে নেমে রাতের শহরে গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে আসেন তীর্থঙ্কর চ্যাটার্জী, সমগ্র বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক, হারিয়ে যাওয়া শ্যালককে খুঁজে বের করার জন্য।

“ওরে পাগল আমিনে কয় বন্ধুরে

যদি তোমার মনে লয়

দেখিয়া যাইয়ো বন্ধু মরণকালে।”