মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০১৩

কবিতা - ঊষসী ভট্টাচার্য

সময়ের একটি কোলাজ
ঊষসী ভট্টাচার্য



১.
এই তো রোদ্দুর, হাতের মুঠোয় আগুন নিয়ে উত্তাপ পোহাচ্ছি। কত রোদ চশমা ছুটে আসছে তোমার চোখে, কি নিঃসঙ্গ উষ্ণতা! সূর্যের মত লাভা পিণ্ড না হয়েও এক ঐতিহাসিক দহন উপহার দিলে, চেটোয় আজ সূর্যোদয়ের স্নান । মেলানকলি বৃষ্টির বাঁশি আজ তারা খসাবে না। চোখে শুধুই কাঠফাটা রোদ্দুর... এই তো দিনের শুরু।

২.
বৃষ্টি কোন এক সন্ধ্যায় শার্টের বোতাম আটকানো সভ্যতায় ধরা দিয়েছিল । খড় বিচালি লাফানো আবেগে বুকের মাঝের সিন্ড্রম মাস মানেনি। শুধুই নিতান্ত দাবানলের খেলা। মাস বৃষ্টির নয়, ঋতু তবু শরীরে শ্রাবণী।

৩.
আমাদের বাড়িতে কোনদিন কোন হিটার ছিলনা। সারাবছর ধরেই পাতা ঝরা খসখসানি। দাম্পত্যের শীতলতা,সম্পর্কের শীতলতা ... আর বাড়ির পুরনো ইট খসে যাওয়ায় ভাঙা সংসারের নিথর, পাথর শৈত্যপ্রবাহ। তাই রোজই আমরা পালন করেছি পৌষ পার্বন। পিঠে পুলি নয়, শীতল লোহিত কণিকার পৌষ পার্বণ ।

৪.
আজ পলাশ কুড়োতে এসেছিল পাড়ার মেয়েরা।বসন্ত উৎসব।কোন পলাশ নীল, কারোর পাঞ্জাবী আবার হলদেটে, কেউ আবার সদ্য কুঁড়ি- ক্লাস ইলেভেন। নোট দেওয়ার মাঝেই চিরকুট গলি।কুমারি কৃষ্ণচূড়ার মুখে তখন রঙমশালের চাকচিক্য। আজই তো বসন্ত উৎসব।

শেষ পর্ব ...

আমার শহরে কনক্রিটের দাগ ইট চেনায়, ধুলো শোঁকায় । ঋতু পাল্টায় শরীরে । কখনো শীত, কখনো গ্রীষ্ম ...এই তো , এই রকমই ... শিকড় প্রোথিত গভীরে, পাতা যাওয়া আসা এত স্পষ্ট তাই। চোখের সামনে ও নেপথ্যে রঙ নিয়ে পাল্টায় ঋতু, আমাদের ঘর ও দল বদলের মতো ।।