সোমবার, ১৬ জুন, ২০১৪

গুচ্ছ কবিতা - সাহাব আহমেদ

ফরমালিন মার্কা





ফরমালিন মার্কা শরীর

ফরমালিন রক্তের শরীর নিয়ে 

ফরমালিনের বিরুদ্ধে আন্দোলন
, হাস্যকর




যখন আকাশ পড়ে আকাশে...

চাঁদ চাঁদনী হতে আলাদা হতে থাকে,

হয় শব্দার্থ অর্থ হারায় শব্দের আর

মনুষ্যত্বকে চুষে বেড়ায় মানবিকতা

মানুষ যে বড় অসহায়




এক চোখা বাজারি ফেসবুকিস্ত 


 

ফেসবুকে আমার উপস্থিতি থোড়াই কেউ কেয়ার করে

নিজের চিন্তা নিজের মধ্যেই ফসল তুলুক ;

অন্ধ নগরী' এত্ত আয়না পছন্দ হবার না ।




বাজারি ফেসবুকস্থ তালাক দিয়ে বোবা-বৈরাগ্য হয়ে শ্রেষ্ঠত্ব যাচাই ।

আমি স্বয়ং স্ব-শব

ঢাকা এক অন্ধ বাজার ও বাজারি নগর 

১০  ১২ এখন পেরুচ্ছি ২০১৩




নমঃ নমঃ নামতা : তুই যদি চাস থেমে যাবে সব চাকা






পুনশ্চঃ সব নষ্টের মূল



এই চ্যানেলে এটাও আছে... হ্যাঁ ওটাও আছে 

মাঝরাতে "ফক্স" এর ল্যাটিন অ্যাঞ্জেলও আছে 

যদিও বেহুদা হয়" সবি চলে নিশ্চিন্তে যেন বেহুলা সুন্দরী । 

গ্রেফতার আতঙ্কে এক্স-প্রেসিডেন্ট সহ সারাদেশ এমনকি সরকারি শুয়াপোকা 

এমনকি ছারপোকাও ; ওঁম পোহাচ্ছে ।  

কী হইবো আমাগো; এক ফেসবুক আসিল 

তাও এখন সরকারের এর মুখপাত্র ও পাত্রী
'ইনু আর মতিয়া'র দখলে 

এক আছিল চামড়ার জুতাওয়ালা ও আরেক ডুগডুগিওয়ালী ।
 
পুনশ্চ বললে সব নষ্টের মুল ঐ বেটা "ফরহাদ মাযহার"-- 

"
ফরহাদ" কি আর আল্লাহ্‌ মানে, সে তো এক পাঁড় কমিউনিস্ট "এবাদতনামা লেখা শেষ” 

ঘুণেধরা কুষ্ঠরোগ সম্বলিত এক দেশ---আমরি বাংলাদেশ

এবার "বাঙাল আর বাঙালির ফয়সালা হইবে ঢাকা'

ক্যালকাটা কোন হালায় চ্যাঁনে, হুনি 

বেঙ্গল থিংকস্টুডে "গোপাল গোখলে নাকি কইসিল

হে কেডা কইবার , আমরার কমু ।

বাঙ্গাল" নাকি "বোকা" না আর বাঙালি হইল "বুদ্ধিমান, কেডা কইসে?”

জিবলা ছিরা লামু; গায়ের জোরে অ্যাঁরা অয়লাম বাঙালি

স্যার, উনারা আরও কয় "আজ্ঞে , তুমি বাঙালি না মুসলমান" 

একটু চন্দ্রবিন্দু ব্যবহার কইররা "আমরা বাঁঙ্গাল নই"

বাংলা এই দেশের বুলি---নাকি ঐ কর্তা-বাবু কেন্দিক স্বয়ংকৃত ঝারিঝুরি---







কোনো জমাট লাল ফুটুক আপনার দীর্ঘ-মরুতে


মেম, আমি জানতাম না, আপুনি লালণ করেন এক ভীতরকার

"লালনমাঝে মধ্যে কিছু পোস্ট দেখে মন খারাপ হয়,

মন্তব্য পড়ে তা আরও বহু-গুন মাত্রিকতা পায়

কিছু ব্যাপার হয় একান্ত নিজস্ব, তা শেয়ার না করলেও হয় নিজেকে

এতো হালকা না করলেও জীবন মর্যাদা নিয়ে এগিয়ে চলে

রাস্তার নই, এসিড ছুঁড়তে মারবো না কোনো দিন ;

মেম, আপুনি তবে জান্নাম ছুঁড়েছেন জেনে বা না জেনে

এতো তাপে আমার কোল্ড ব্লাস্টিং  হচ্ছে

মেম, আপনার আর আমার মাঝে যৎ সামান্য ছিল দূরত্ব যা প্রেম পর্যন্ত আপাতত পৌছায় না;

তবে মনে নিষিক্তএ পর্যন্ত আমাকে আপোনার দূরে কি কখনও পেয়েছেন?





এক দীর্ঘ প্রশ্বাস মিশে গেলো সিলিং ফ্যানের তাতানো বাতাসে আশপাশের কিছু ঠুনকো শব্দ

একাত্তর গড়ছে অহরহকি আমি বলতে চাই আর কোনো দিন বলা হয়তো হবে না...

এক শব্দগুচ্ছ কবরস্থ করে আমার প্রস্থান হবে আপনার অজান্তে

শুকনো তোড়া আমি হয়েই রইল মসজিদের পাশে





কোনো লাল ফুটুক আপনার দীর্ঘ-মরুতে








ব্যবস্থা পত্র নাও অঞ্জলি, গীতা 




দেশে আজ কবিতার প্রয়োজন, বিদেশেও বড় চাহিদা 

আমি হাটবাজারে ঘুরে ঘুরে, অনেক সড়ক ও শ্রমিক দেখি 

কিছু একটা খুঁজি তন্নতন্ন করে, ব্লাড ব্যাংকসহ 

কবিরা আজকাল বিদেশি সম্মেলনে বেশির ভাগ কীসের যেন হিসেব কষেন






কবিয়ালদের কবর ঘষে গড়ে উঠেছে অসংখ্য শিল্প কারখানা আর শপিং মল

এর বাইরেভেতরে লাশের কারবার চলে জান্নাত যখন খন ফ্রি ।







ন্যাতারা আজ ধান্ধার কথা শুনতে মন্ত্রমগ্ন, কারবারিরা বাজারি হয়েছেন ৯০পরে পরে

শিল্পী নামক প্রাণরা মালমালীদা সেরে জায়নামাজে তসব ত

চুল ছেঁড়াছেড়িতে কে কাকে টপকাবে মার্কিনিরা সেই আদলে চিড়া ভাঁজছেন

আমার মতো নেংটিরা ফেশবুক  এ কিছু ভাদ্রতম পোস্ট করেই লাপাট্টা। 





ওদিকে জুবিন ব্যাটা অর্ডার নিয়ে বসে আছে আর্জেন্ট শিপমেন্ট চাই ,

পাগলী মা আবার টাকা কর্জ করে ঢাকা এসেছে আজ ৩ মাস; মানত করে একটা পর একটা, 





সে দৌড়ে গেছে খুঁজতে, হাউমাঊ করে একটাই তার বুকের ধন, ঐ তাঁর নাড়ির টান কবিতা 

1 comments:

Unknown বলেছেন...

That written by I really astonished as on today. Its great writing , few spelling are mistaken typographically.