সোমবার, ১৬ জুন, ২০১৪

গুচ্ছ কবিতা – সুমন বাল্মীকি

টাকা ও কুয়াশা





টাকা গোনার ডাইনে কুয়াশা

         রেখেছি

সকালে রাস্তা ডাকে, বিকেলে

         বিছানা

  আহা, আমার ফুল-ফুল

       বেডকভার !

        এদিকে

    দু’হাতে টাকা গুনি...

        ওদিকে

    কী সুন্দর পড়েছ

      তাঁতের শাড়ি

        দেখিনি

    টাকা গুনতে গুনতে

    ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।

       স্বপ্নে দেখি

   টাকায় তৈরি হাওয়া

        ভাসমান

   সত্যজিতের ‘নায়ক’ ...

   দু’হাতে টাকা গুনি...

        ওদিকে

    কী সুন্দর পড়েছে

      তাঁতের শাড়ি

        দেখিনি






হাতের দোলন


পড়ে গেল ছুরি হাত থেকে

কাটেনি তো গলা ব্যবসায়ী

কী করে কাটবে ? হাত থেকে

পড়ে গেল ভাঁড়, টাকাকড়ি




ভাঙাটালি থেকে টু্‌প টুপ

ফোঁটা ফোঁটা চাঁদ---জল পড়ে

বাঁ-দিক চোখের পাতা নড়ে

জল পড়ে আর পাতা নড়ে




হাত কেঁপে ওঠে। ফোন বাজে।

ফোন বাজে, তাও ধরিনি তো

কে ডাকে এখন ? কার গলা ?

পড়ে যাই বুঝি কার প্রেমে...




পড়ে গেলে রাগ, ফিরে এসো






এ জীবনে


এ-জীবনে অল্পই আছে স্যালাড।

শিখিয়েছিলে রান্নাবাটি খেলা ---

কীভাবে সেই মাটন-চিকেন রাঁধে...

কীভাবে সেই শেকলে ফুল বাঁধে...




A-ফর অ্যাপেল ফলানো এ-শরীর

সেজেগুজে তুমিও কমলাপরী

আঙুর ছুঁয়ে ভেবেছি আঙুল ধরা 

রাতের কোলে টুক করে ফল পড়া...



এ-জীবনে অল্পই আছে স্যালাড।

শিখিয়েছিলে রান্নাবাটি খেলা ---

কীভাবে এ-জীবনে ভাত রাঁধে...




অনুরাগে ফ্যান উথলে ওঠে




ক্ষেপচুরিয়াস


গোপনে নেশা ছাড়াও।

কবিতা লেখার নেশা।

আজই। চলে এসো

এত কবির বাইপাস ধরে...

      কিছুটা এঁকেবেঁকে...





বেড নং- ১৩  


বাস থেকে নেমেই দেখা যায় ---

নরকের দিকে যেতে বাঁ-দিকে

একটু বেঁকে যাই, (এমনই রাস্তা)

সটান গেট দিয়ে ঢুকে --- দাদা, সিঁড়ি

কোনদিকে ? ফোর্থ ফ্লোরে যাব...

লিফট ? একটা রুগী নিয়ে গেল

সিঁড়িই সই---ছ’টা পাক, একান্নটা পদম ---

আরে, এখানেও চিৎকার ! নার্সকে

রাগিয়ে দিয়েছ ! ... দিদি, ওর হ’য়ে সরি...

আচ্ছা, দু’নম্বর ওয়ার্ডটা কোথায় ?

ফিমেল ? ... ওই তো ওইদিকে---


#

নীচু স্কেলে যাই, এই তো সামনে

                  
      বেড নং - ১৩








প্রেমযোগ



ভালোবাসা এসেছিল একদিন

সুযোগের মতো? ডেকেছে বিছানা?

ভালোবাসায় ভালোবাসা লাগে

বিশ্বাস করো, এটুকুই জানতাম


তাও কাম দেখে ঝাঁপিয়ে পড়ে মদ্‌না

কামসূত্রেও আমার নাম ওঠে?

ফুলের আগুন ছিটকে এল, এসে

ফেটে পড়ল, পুড়ে মরল ঠোঁটে





মাংস-রক্ত, ঝোলঝাল... যাও

            বার্থরুম ওদিকে





চুষে-চেটে বিষ-আঠা আর

            ভিজে অঠা বিষাদ

গুণ্ডাদের মতো

ভালোবাসা এতকিছু পারে?

জানতাম? মনে মনে জানতাম?




ভালোবাসা শুয়েছিল একদিন 

সুযোগের মতো?

                একবার ডেকেছিলে