সোমবার, ১৬ জুন, ২০১৪

দুটি কবিতা - গোপাল লাহিড়ী

আলোর পাখি






বাঁচার আশায় চুল্লিতে উঠে বসে আলোর পাখি 

প্রতিহত, একা, পুড়ে পুড়ে ছাই পালক শরীর,

মসৃন ত্বক, নাভি, পুরুষের লোভের আঁচড়।

পাখির আর গোপন কিছু থাকে না ঠোঁটে 

প্রতিটি রঙের কাছে গিয়েছিল সুন্দর হতে

জেনে নিতে কোথায় আপন ঘর.

লুকোনো দরজা খুলে যায় নিজস্ব সীমায় 

একটি দুটি মুখ কী দূরের থেকে মনে পড়ে?

পাখি তুমিও আমার নও, ছিলে না কখনো।

আজ পাখি হয়ে গেছে বৃষ্টি, সারাদিন ঝিরঝির

গাছের পাতায় কালো মেঘের দীর্ঘ রূপটান,

জ্বলে উঠে বারবার নিভে যাওয়া।

বড়মানুষের পাপ কী অনায়াসে ধূয়ে যায়-

মুছে মুছে দিতে চায় রক্তমাখা একমাত্র সম্বলও,

হয়ত প্রকৃত আলো জন্ম নেবে এবার। 







আত্মঘাতী খেলা



অপেক্ষায় থেকেছি যদি সুযোগ পেয়ে যাই কখনো 

কোনও লুপ্ত গৌরব প্রত্যক্ষ করার অবকাশ। 

ক্ষতচিহ্নে ভরে গিয়েছে চারপাশ। 

জীবন সম্পর্কে অনেক কিছু

মনে হবে মধ্যরাতের নিষ্ঠুর বিদ্রূপ।

ছিল হলুদ মেশানো ফুল, পাখির ঠোঁটের রঙে

অলৌকিক মুগ্ধতা, ছিল না অনুশাসন,

ঘটিয়েছে সুখ ও স্বপ্নের ভয়ানক বিপর্যয়।

একাকী, নিঃসঙ্গ, অস্তিত্ব ছড়িয়েছে বটগাছ,

শেখেনি এতটুকু নিয়ম, যাত্রার সীমারেখা,

এই আত্মঘাতী খেলা ঘুমে জাগরণে।


অলিন্দ তুমি, ভোরের মেঘলা আকাশ তুমি,

অন্যমনে দেখে নিয়ো মহান পৃথিবী,

একদিন ঠিক খুঁজে নেব জীবনের বিকল্প।