শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১২

সতীনাথ মাইতি


কয়েকদফা নির্বাচন

কালকে রাতে যারা গান করছিল
ব্যাণ্ডের ন্যায় বাজাচ্ছিল গিটার
যে লোকটা মুদীখানার চামচে
গীতার ব্যাস বরাবর টানে বিশাল একটা হাই
কারা যেন লোপাটের মুদ্রায় করে গেছে ব্যবসা
তাদের হা-হুতাশ মাখা এই গাছের নদীসমীপে জল
ঘাসের ওজনদরকে তারা তোয়াক্কা করে না
তারা ভিজিয়ে দেয় গাছের মইচামড়া
...
নির্বাচিত স্তূপ
কালির কালোতে মিশে থাকা আকাঙ্খার সেইসব ধূপ

রাতের মতো কোনো বাদ্যযন্ত্র নেই
নেই কোনো ছড়ি
আছে জাদুআঁচে ঢাল
এক নির্ভার ব্যবহার
অলস দোকানদার

কাল রাতে কারা কারা মুখোশ খুলেছিল
ওই সে চাঁদ আসছে মধুবন খেলবে
ওই যে ফতুয়া আসছে ন্যাকড়া বানাবে

আমরাও তো কতদিন তাতে লাথি মারিনি
জীবদ্দশায় চোখ তুলে তাকাইনি

আজ লাথি মারার দিন
আজ তাকানোর দিন
আজ মুখোশ ফিরিয়ে দেওয়ার দিন
আজ অতিকায় বিপ্লবী হয়ে শব্দ ফিরিয়ে দেওয়ার দিন ছিল
সবকিছুর শেষে আজ চাঁটির মধ্যে করতাল ভাঁটা জমাচ্ছিল
গান কিছু পেস্ট্রির টুকরোর খদ্দের ভজানো মতলবে তান বুনে যায়
নির্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের তলায় তারা গামছা পেতে শোয়
তাদের মণিমুক্তোয় আজ জমজমাট রহস্য-কাহিনী



আমাকে আর মাটি আর আকাশের মধ্যে ঝুলিয়ো না
বাতাস সে যে কাটে তলোয়ার


শব্দ ছড়িয়ে দেওয়া গুনিনের মতো এস্রাজ বাজা এই রাতে
কেমন করে বলো তো আমি সেঁকতে চাই শীতল রক্ত
ভূতগ্রস্ত দেয়াল যেমন কাঁপছে
দুলছে যেমন প্রাগৈতিহাসিক মৌমাছি
তেমন করেই তো গানের ভেতর শব্দ শুষে নেওয়া যায়
পাটিগণিত চৌচির করে ফেলা মাথার পিছনে কেন ছুটছে চৌকিদার?

রাতের আঁধার কুড়িয়ে কি বুনে নেওয়া যায় বোলতা, বলতো ?
নিশ্চুপ থেকো না , তোমার অবহেলায়-অক্লেশে যে আমার জন্ম!