শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১২

রুদ্র হক


আগন্তুক ভূত


নদীতে বিষ ঢেলে দাও

বিষে নীল হয়ে গেলে নদী, স্নানে যাব সূর্যোমন্ত্রে শরীর ভাসাব জলে হেসে খেলে মরে যাব তারপর.. হলুদাভ বিকেলের সোনালু ফুল হয়ে যাব অথবা সামর্থবান গাছ- অর্জুন নয় গর্জন হবো তার কাঠে নৌকো বানিয়ে আমাকে নদীতে নিয়ে যাবে মাঝি ফের জলের ভেতর প্রাণ মিশে যাবে একবার নদী হয়ে গেলে পর স্নানরত নারীদের সাথে তীরে তীরে মিশে যাব যোনিমূলে ছলকে দেবো ঘা.. জোনাকির টিমটিমে আলো নিয়ে শিকারীর চোখ-দস্যুর চোখ তাড়িয়ে ফিরবে মাছ - ধনীদের গাঁ ! তাদের হাত ধরে একদিন নদী ছেড়ে চলে যাব..ধরো, কিশোরীর নাক থেকে স্বর্ণের ফুল কেড়ে নিতে গেলে কি হবে মিলালে আর কিশোরীর দেহে মন নিয়ে যাব তার পাটক্ষেতে- যুবকের সাথে- যুবকে মেলাবো যুবকের হাত ধরে একে একে তারপর কিশোরীর চোখ শহরে কি গ্রামে- প্লাবনে কি ঝড়ে মিশে যাবে ধরো, যুবকের হাত ধরে সিমান্ত ঘুঁচে গেল পৃথিবীর বুকে পরিব্রাজক পা প্রসারিত হলো ফুলে ফুলে ঘ্রাণ গাঢ় হলো আরো রাজা-রানি হয়ে গেল যুবক কিশোরী..!

গর্জন কাঠে ফের ভেসে গেল তরী..