সোমবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১২

পুণ্যশ্লোক দাশগুপ্ত

সামনের দিকে শিশি বোতল আছড়ে পড়ছে



সামনের দিকে শিশি বোতল আছড়ে পড়লো ধ্বংসকালীন মাথার বালিশ
ছুঁড়ে মারলাম হেডলাইটের হাংরি স্কুটার উষ্ণ আবেগ
আড়াল থেকে তুলকালাম শাপশাপান্ত হেয়ার স্টাইল
ফুটে উঠলো রোবো সিটির অষ্টাদশী মুখের ওপর
যুগে যুগে ইন্দ্রপ্রস্থ সেই ঘরানার ছায়ামূর্তি
মোহময়ীর বেডরুমে ঝাঁপ মুখ লুকোল ছবির নেটিভ
দোকান থেকে আলোর নদী প্রেমের নদী ভ্যাটিকানে
কনসার্ট নেই বাউল গানের প্রাইভেসি নেই বেডরুমে তার মেদ ঝরাতে
লেজার এলো মুখের কালো ছোপ হটাতে লোমের পালক মনস্তাত্ত্বিক
দেয়াল জুড়ে ফুলের সাজি বুকের ব্যথা পুরোনো প্রেম বেশ রোমাঞ্চ
আমার টাকা আসতে পারে কুম্ভ রাশি রান্না ঘরে
বাঁশির পুলক প্রেম দিয়েছি রাসায়নিক স্বর্ণচাঁপা
আমার ছবি তুলছ তুমি স্বপ্ন দেখি বিলাসিতার
নতুন ট্রিপে আর যাবনা
সুইচ অন করলে কেন সূর্য ওঠার স্বপ্ন দেখি
জানলাগুলো বাতাস খুলে দিচ্ছে বুঝি ও ডানা তুই মুক্তি দিবি
মাথার উপর চাঁদের বিউটি লাইট মেকআপ
মেঝের রঙে সিট্রোনেলা গন্ধ ছড়ায় লেমনগ্রাস
কাজের কাজ হয় না কিছু প্রেমকাহিনি পার্কে পার্কে নেমে পড়ল গড়িয়াহাট
টুক করে প্রেম টোকা মারল আঁচড়ে কামড়ে উত্তেজনায়
শিশি বোতল আছড়ে পড়লো কঠিন শরীর খুলে ফেললো জাঁতাকলের অনন্তকাল

দূরে যাও মেঘ প্রিয় সমাচার
পাতালে জটিল জমাট আধার
আমি খুলে খাই অতিসাধারণ
খয়েরি আকাশ উপন্যাসে
রূপারোপ দাও মধ্যবিন্দু
উপশম নেই চেয়ে বসে থাকি
মরশুমি মেঘ সীমানা ছাড়িয়ে
তাঁত বুনে যায় শত শত বুটি
মুখোমুখি সব অস্থিরতার
সারি সারি গাছে নেমে আসে চাঁদ
জীবন ছড়িয়ে পড়লো আকাশে
বিষাদ বদলে নিয়েছি আমোদ
সাদা ঘোড়াগুলো আমার কবিতা
চুম্বন খুলে দিয়েছি অনেক
উড়ে যেতে চাই শেষ কুয়াশায়




মধ্য-রাতের বাতাস
মৃদু শব্দ তুলে বলে চলেছে
কেন তোমার স্বপ্ন দেখা শেষ হয় না
চাঁদ আর ফেরেশতা
তারারা আর নীল আকাশ
রূপালি চাঁদের পাশে সর্বশক্তিমান
বেহেশত আর কাকে বলে
ঘরে যা কিছু বিচ্ছেদের কারণ
সে সব তুচ্ছ
অমৃতের পরিবর্তে ওগো রাত
আমাকে এক পিপে মদ দেবে


গরমাগরম কত্তা-গিন্নি
ম্যারেজ সারর্টিফিকেট নেই
লিভটুগেদার লিভটুগেদার
কপিরাইট থাকছেনা আর
কি করব এখন স্থগিতাদেশ দিচ্ছেনা বর
বউ মানেনা ক্ষতিপূরণ
কেউ জানেনা
হচ্ছেটা কি এই সিনেমায়
কেবল দেখ বাসনপত্র টুকরো টুকরো
বাড়াবাড়ির কম্পজিশন মেঘ জমলো বসার ঘরে
ছোট ছোট অভিমানের স্নায়ু যুদ্ধ পাটকিলে চাঁদ
বলতে পারো জ্যোতিপুঞ্জ নিভছে তুলির রঙ শুকিয়ে যাচ্ছে দেখো

আলো-বাতাস খেলবে কেমন করে দৈরথ চলছে যে
ইমেলে ম্যাগাজিনের পাতায় এক দুর্দান্ত ট্রাভেল এজেন্ট
স্ট্রবেরির ছন্দে দারুণ এফেক্ট দিতে লাগলেন
অন্তহীন মুক্তির গন্ধ তাকে নিয়ে চললো
একটি মন্দ্রিত পানশালায়

আমি চলে যাবো
আমি আর থাকব না
ভাঙচুর আর প্রবোধ বাক্যের মন্দিত স্নানে
আমি আর থাকব না

শরীরের কোথাও প্রসন্নতার ভাষা নেই
টুক করে খসে পড়ল অলিভঅয়েল
বিজ্ঞাপনের পাতায় পাতায় জেগে উঠলো ময়েশ্চারাইজার
হেলদি স্কিনের টনিক লাগবে লেবুর রসে আপেলগুড়ো
লাগবে ঘুমের আরামপাচক
ইলিউশনের স্বচ্ছ্ব ডানা
জাগিয়ে তুলবে কল্পনা-স্ট্রোক ডিজাইনারের সুয্যিমামা
স্নানের টাবে চম্পাকলি গাইবে গানের প্রথম কলি

ক্লাইমেক্স বদলে যাচ্ছে
বিগড়ে যাচ্ছে রিঙমাস্টার
নিঝুমরাতের শিউলিমাখা প্রেমের পদ্য
হারিয়ে যাচ্ছে পাতলা ঠোঁটের ব্রাউন লেয়ার
খুঁতখুঁতুনি আসছে যেন বয়ঃসন্ধি শিথিল শরীর
ব্রা আনতা একটু জটিল শুকনো নিপিল
আশানুরুপ ধনতেরাসে জুটছেনা খই
বিধিনিষেধ মানছিনা আর ক্লায়েন্ট আছে ইনফিনিটি
ভবিষ্যতের আর কি বাকি একমুঠো চাঁদ শুকনো নিপল
হজম করে কিউব উধাও ফস্টিনস্টির নয়া জার্নি হলো

অপার্থিব যা কিছু ফেরেস্তার জন্য ।
নানা রঙের বাসনায় চুল আঁচড়ালাম
পূর্নিমার ওমে মদ্যপান করছেন
দূরে দেখা যায় কবরখানার রূপসী ফুলের স্তবক

চাঁদ অনেকটা গোল হয়েছে
সম্পূর্ণ গোল না হওয়া পর্যন্ত আমার মুক্তি নেই
এক টুকরো নদী দরগার ঠিক পাশেই তার মতই
অস্থির অন্বেষ্ণণ আমার কবিতার চরণে চরণে

এই অলৌকিক আলোর কথা
আমি কিছুতেই গোপন করতে পারবো না
বিবির গাল বেয়ে যা নেমে এসেছিল আমার কবিতায়

চিত্রনাট্যের প্রেক্ষিত আর যাই হোক
ইনসমনিয়ার গান আমি গাইবোই
সাজিয়ে ফেলবো দম্পতি ফ্ল্যাট বাতি আবহ নস্টালজিকে
সাজিয়ে ফেলবো স্বপ্নপূরণ ট্যাবলয়েড হুঁশ ফেরাতে
তাকিয়ে থাকো তলিয়ে যাবার হু হু বাতাস দেখবে রাতে
পরীর মতো পদ্মপাতা লিপলাইনার পাতলা ঠোঁটে

অলংকরণ –কৌশিক বিশ্বাস

3 comments:

অপরাজিতা বলেছেন...

দুর্দান্ত!

অপরাজিতা বলেছেন...

দুর্দান্ত!

Akashkobita বলেছেন...

এই কবিতার সবটাই সত্যি,চূড়ান্ত বাস্তব।লিখে আমি খুব আনন্দ পেয়েছিলাম।