সোমবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১২

সতিনাথ মাইতি

অমনিবাস

কাঁচের বিছানা
ফলা ঠোঁট নিয়ে রক্ত ওঠানো সিঁদুর
বেতবোনা খুপীতে চালের সেই তীক্ষ্ণ প্রান্ত, সেই ডোগা
এক সে হাওয়া বাকীটা সূর্যাস্তের চেরা ঢিল জল সরসর
শোওয়ামাত্রই দাগে চৌচির ফাটল
চৌচির ঘনসিঁথিচুল
হলকা রং, বাঁধাই বন
বনছুঁই পাতারাস্তার চৌফাঁক
কাঁচের বিছানায় ছিটকানো রোদ্দুর

কোনো এক গোপনবেগে হাওয়া বয়
কারণঃ ওই যে লেজ। ওই যে ঝাপটা
ঠিকঠাক হলুদে ঐ তো সেই কোনো এক খানা
ছাপাতে কোন গাছের ছাল?
ডোরাকাটা দাগে হাওয়ামোরগ ওই যে হাওয়ামোরগ
কোনদিকে চাও? দিক খোলা প্রাঙ্গনে বায়ু বয়, বয়ে যাক
কারবারী স্রোতে মেশিন-বোঝাই রঙে ওই যে অক্ষর

যন্ত্র বিমূর্ত কবিতা
পাড়েই দেখ মূর্ত মানুষ

ঠিকঠাক বিবাহ নেই
রমণ নেই যুতসইতে আজও
জোড়াতালিতে দু’পায়ে ঠেঙাও কেন কুর্নিশ?

যারা বিদ্রোহে তীর ছুড়ে দেয়
জান্তবে ঘি ফেলে আওড়ায়
মানুষের সেই বিবাহে আর এক আয়োজন
কার দরকারে?

কেন কলাপাতায় ভেসেই যাচ্ছে তো তেল
তেলের স্বেদে হারিয়ে কী গেল অগাধা আঁকা জেদ!

অপর নয়ন ভারী হল, জুটল নাকি ক্ষেদ?
অলংকরণ –কৌশিক বিশ্বাস