বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১২

কবিতা - পুণ্যশ্লোক দাশগুপ্ত

পাত্রভরা প্রেম
পুণ্যশ্লোক দাশগুপ্ত


-১
-


আমার সোনালি প্রেম প্রথমদৃষ্টিতে চমকপ্রদ আল্লাকে পুনরায় গোলাপ
সুপুরুষ কবির কাছে গোপনকথার মধ্যপর্বে প্রেমাতুর এই দুষ্টুমি,
চিঠির ভাঁজে ঘুমিয়ে থাকলো রিনির ঈর্ষা রিনির নৌকো
সাহসীকল্প মেঘের মুদ্রা।আমি তোমাকে ছেড়ে কোথাও কখনো যাবো না।
ক্রমে চিহ্ন দিলাম দেয়ালে টাঙানো হলো ছবি একটার পর একটা
রিনির উনুন, রাত্রির অভিপ্রেত, বেশি বাস্তব প্রতিশ্রুতি আর প্রথম ফটোগ্রাফ।
আল্লার কি শক্তি খুঁজে পেয়েছি খুঁজে পেয়েছি এক মহাদেশ দৌড়ে এলাম
পিয়ানো গোলাপজল দীর্ঘসন্ধ্যা পূর্ণতার অদম্য স্পৃহা
দুই ভিন্ন বয়সের টানাপোড়েন নেই ছবিগুলোর বিশেষ ভঙ্গি লটকে আছে
একটুকরো আমার ছবি আর কিছু নেই রিনির হাতে বৈধ আমি প্রথম শরীর
অপ্রতিরোধ্য আমি সবুজ হৃদয় অসীম সম্ভাবনার কবি
স্রোত মিশে যায় আমার বুকে আল্লা-কসম মুখ লুকিয়ে থাকবো না আর,
রোমাঞ্চ রং চাঁদিনী রাত মন্ত্রমুগ্ধ আবেগ ঘেঁষে পুণ্যশ্লোকের হচ্ছেটা কী
দ্রুতগতির এই যে প্রেম রিনির নিরাময় তো হলো
ও শ্লোক ও শ্লোক ভ্রমণে চলো অসীম উৎসস্থলের দিকে
যাই ঘটুক না এই জীবনে আমার রিনি ক্লেশ জানে না আধ্যাত্মিকে
জাগিয়ে তুলছে কবির দেহ মনের বাষ্প শীতের জীর্ণ তাৎক্ষণিকে
এটা অ্যাবসার্ড এটা অ্যাবসার্ড হচ্ছেটা কি ট্রাফিক পুলিশ অতিপ্রাকৃত

আমার সোনালি প্রেম প্রথমদৃষ্টিতে চমকপ্রদ আল্লাকে পুনরায় গোলাপ


-২-


লেখার প্রসঙ্গ এলে খুনসুটি রস অচেনা সুঘ্রাণ
মেনু কার্ড জুড়ে ঈশপ ঈশপ উট চলে গেছে জাহান্নামে
ক্রমশ নিজের কবিতারা যেন একটি জগৎ সুদূর অতীত
ইচ্ছেমতো বিবৃতি দেবো না বিবরণী নেই বিষণ্নতায়
অলিভ অয়েলে স্থূলকায় চুল খুঁটিনাটি লিখি প্রেমিকা যা চায়
বাগানে বসেছি রিনির বাগান লয়লামজনু সারল্য খাই
খুঁজে না পেলে কি ঈশ্বর দেবে দেয়ালঘড়িতে প্রেমের ম্যাপ
আমার রিনিকে বহুশতাব্দী-ব্যাপ্ত রেখেছি ভালোবাসায়
কথাকার নই নির্যাস রাখি ব্যতিক্রমী শব্দের রং
এখন শৈলী লেখার কফিতে দাও গো উগ্র পেয়ালা্র ওম
মজা দিয়ে লিখি তোমার জাদুতে তাজ্জব কিছু মৃগয়া লাফ

এপিসোডের পর এপিসোড আমি লিখে চলেছি, অহো
আমার রিনির আগুন জানো কি অগ্নিবর্ণ বিবিধ দৃশ্য!
মাখো মাখো প্রেম ফ্ল্যাশব্যাক নেই এই তো সেদিন
গালিব গালিব কাফকা চামচা,প্লেটনিক বলে হয় না কিছুই

খুলে দিলাম নতুন জগৎ এই নাও কল্পস্বর্গ আধুনিক ব্লু
গভীর চোখের কাছে আমি শান্ত আমি ছিন্ন হারিয়ে ফেলেছি মায়াজাল
ও তুলে বিন্যাস দিলো জীবনের অনিবার্য গোপন রূপ তার তৃতীয়-ইমেজ
তুলে দিলো আনন্দজীবন
খারাপ বা ভালো সে সব গুলি মারো


-৩-
মসলিনের বাজার এসেছে ঘুম জড়ানো প্রেম এসেছে স্বর্ণমুদ্রা খোশমেজাজ
আরাম করে নিচ্ছি ঘরে রুমাল উড়াই মকাইবাড়ি পিকোফিনিংস
রিনি রোমের রসিকবিলে অতলান্ত নিঃসঙ্গতা আমার অনুষঙ্গে শিরায়
আরবি ঘোড়া আমিই ছিলাম এক কোটি চার বছ্রর আগে দৃশ্য আছে
অতিপ্রাকৃত জ্যোৎস্নাখন্ড স্তরে স্তরে রূপক ছিলো নিজস্বতায়
লায়লা অতি সরল এবং মজনু লেখে তর্কগুচ্ছ,নিউরোলজি
প্রেমের কলসি উদ্ভ্রান্ত মতো কোন দিকে যায় কোন পাহাড়ে ফুটলো অরেঞ্জ
ভুট্টাক্ষেতের মাথার উপর জীবন আমার জ্যোৎস্না আঁকে অস্ফুট রঙ চার ভঙ্গিমা
হঠাৎ হঠাৎ ডুব মারে লাল-রঙ্এর পাখি রিনি তাদের সুপুষ্ট ফল লম্বা-লাটাই
হায় জানালা প্রেমের বাহুযুগল তুমি গলি-ঘুপচি ক্যান-ওপেনার ফান্টা-সিরাপ
উত্তরণের প্রত্যাশা তাই নতুন স্মারক, রিনি আমার নিবিড়-পাঠ মধ্যে আছে
রিনি আমার আখ্যানে ঢেউ কথক-তোরণ, রেশম-সুতোয় অধুনান্তিক প্রমাণ মেলে


-৪-


আমি বুঝলাম কল্পনার চেয়েও অদ্ভুত প্রেমিকার আভ্যন্তর
অধৈর্যে নিস্তব্ধ থাকলাম ৩প্রহর,ভ্রূ কুঁচকে লিখে ফেললাম
অদম্য ঠোঁট,চুমো খেলাম অনেক তুখোড় শরবতে
রিনি কোথায় রিনি কোথায় পোর্টিকো নেই দরজা খোলা
ভুল রাস্তায় যাচ্ছে না তো! পৃষ্ঠাগুলো ভীষণ খালি
এক ওয়াগান ফুলের পোশাক আকাশপ্রমাণ আয়না নীরব
পাত্রভরা অলংকরণ আনুগত্যে ভাসছে মেঘের কোঁকড়ানো চুল
খুঁটিনাটি ব্রোঞ্জ-সেরামিক,কলমকাটা ছুরির হাতল,
গোপন কিছুই থাকলো না আর তৈরি হলো একটি কোলাজ
গোপনকথার ঝলমলে ঝাড় জ্বলছে নিভছে আমার মুখে
রিনি কোথায় রিনি কোথায় যুদ্ধ থেকে ফিরবে কখন?
ঘোর লাগা ঘুম অভিজ্ঞতা চিরকালীন পদ্যে আছি।
শ্লোকের মন্ত্র হায় বেচারা, ঘুমপাড়ানি গানের মাছি।
স্মারক তবে এই যথার্থ রক্ষণশীল হোক না শয়ন
সুন্দরী সে আত্মমুগ্ধ প্রেমে পড়েছে মিনিয়েচারে
কাব্যবন্দি থাকুক না সে উসকে দিলেন গালিব শ্লোকে
লাজুক নম্র ইচ্ছেমতো ফুলের কুশন কফির ফুর্তি সামলাবে কে!
অন্বেষণের আর কি বাকি রোমান্সভরা কাব্যে আছি।