বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১২

সেই আদিম যুগে - মনোরঞ্জন বর্মন

উদভ্রান্ত সেই আদিম যুগের স্রষ্টা যখন নিজের প্রতি অসন্তোষ
মনোরঞ্জন বর্মন

(প্রথম অংশ)

সৠষ্ঠির প্রতিটি বস্তু ধ্বংসে অবলুপ্তি-একথা সবারই বিশ্বাসযোগ্য।আমাদের ধরা একটি গ্রহ।আমরা এর সৠষ্ঠির ইতিহাস দেখলে দেখতে পাই কি ভাবে এর তৈরি হয়েছে।সেই পাঁচশ কোটি বছর আগের গোলাকার অগ্নি পিন্ড আজ সবুজের সমারোহ।প্রতিটি প্রাণী-উদ্ভিদ আজ তার বুকে শান্তিতে বিরাজ মান।হয়তো পাঁচশ কোটি বছর আগে তাদের কথা ভাবাই যেত না।তবুও আমরা দেখছি এই ধাত্রির বুকে কত প্রাণীর উদ্ভব হয়েছে,আর তারা কালের নিয়মে তাদের ছাপ রেখে ধাত্রির বুক থেকে বিদায় নিয়েছে।তাই আমাদের বিশ্ব একদিন যে ধ্বংস হবে এই কথা যথা যথ বিশ্বাস যোগ্য।যদিও তার ঠিক ঠিকানা সঠিক ভাবে জানা নেই বা তার জন্য কোন সঠিক বিচা'য আজো অজানা।বিজ্ঞানিরা তাই আজো সক্রিয় এই বিশ্বের প্রতিটি মুহূর্তে কি হতে চলেছে বা ভবিষ্যতে কি হতে পারে।

22 ডিসেম্বর বিশ্বের শেষ দিন-এটা আমারা শুনেছি।দেখেছি নানান পত্র পত্রিকায় ও স্বয়ং টেলিভিশনে।বিজ্ঞানের কথায় এই দিনটিতে মহাকাশ থেকে একটি নক্ষত্র এসে আমাদের গ্রহকে আঘাত করবে।যার ফলে আমাদের গ্রহ ধ্বংস হবে বা তার গঠন বিকৃত হবে।  ফলে বিশ্বের প্রতিটি প্রাণী আর বাঁচতে পারবে না।তাই ধ্বংস অবশ্যই। এই দিনটি যদি বিশ্বের শেষ দিন হয় তবে আমরা তার শেষ জেনারেশন হিসাবে আমাদের কিছু কত'ব্য আছে।আমি আমার প্রকৃতি মাকে হারানোর বেদনাকে মোছার জন্য প্রকৃতিকে আরো গভীর ভাবে ভালো বাসবো।শেষ নিঃশ্বাস ত্যগ করার আগ পয'ন্ত আমাদের পরিপারশিক প্রতিটি প্রাণী ও মানুষের সঙ্গে সৎ ব্যবহার ও সৎ নিষ্ঠা আচার করবো।তাদের ভালোবাসবো আর ভালোবাসার গভীর আল্লাদে নিজেকে বিলয়ে দেব।যাতে 22 ডিসেম্বরে কথা আমার মনের মধ্যে গ্রন্থিত না থাকে।তাছাড়া আমার অনেক প্রিয় লেখক লেখিকার কিছু বই যেগুলি আমার এখনো পড়া হয়নি,সেগুলো পড়বো।আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব সকলের সঙ্গে আলাপ করব।তাদের মধ্যে দিয়ে যাবো আমার ভালোবাসার শেষ সত্ত্বা।যা হয়তো উক্ত দিন শেষে আর থাকবে না।

মায়া সভ্যতার ক্যালেন্ডার আধুনিক বিজ্ঞান সভ্যতার এক গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীনতম নিদর্শন।সম্ভবত এই ক্যালেন্ডারই বিশ্বের প্রাচীনতম ক্যালেন্ডার।সেই সভ্যতার মানুষ যে ভাবে তাদের ভবিষ্যৎ বাণী পাথরের মধ্যে খোদিত রেখে গেছে তা বিস্ময়কর।তারা তাদের ক্যালেন্ডারের এই দিনটি কেই যে বিশ্বের শেষ দিন বলেছে তা খুবই অবাক।তাদের বক্তব্যের সঙ্গে বিজ্ঞানের আলোচনা কিছুটা হলেও মিল আছে।তাইমায়া সভ্যতার ক্যালেন্ডার কে কিছুতেই অবিশ্বাস করা যায় নাএই ক্যালেন্ডারেবলা আছে যে এই দিনটি তে বিশ্বের বাইরে থেকে একটি ধাক্কায় বিশ্ব ধ্বংসহবে।তাই তাদের কথা কাল্পনিক হলেও আজ বিজ্ঞান কল্পনায় তা কিছুটা বাস্তব।

যদি এই দিন বিশ্ব ধ্বংস হয় আর আমি বেঁচে থাকি তবে তা হবে আমার সব থেকে আনন্দের দিন।আমি বিশ্ব কে আবার নতুন করে গড়ে তুলব।ধাত্রিকে গড়ে তুলব সবুজে।যাতে এই বিশ্বে আর সাম্রাজ্যবাদ না গড়ে ওঠে ও তার জন্য বিশ্ব আবার কিছুটা বিঘ্নিত না হয় তার জন্য সুরহ কিছু কার্য করে যাবো।বিশ্বকে আরএকমেরু কেন্দীক হতে দেব না।অনু শক্তির কেরামতিতে এক দেশকে অন্য দেশের উপরশ্বাসিত হতে দেব না।আমি ভবিষ্যৎ বিশ্বকে গড়ে তুলব সাম্য-মৈত্রের বেড়াজালে,যেখানে থাকবে ভাত্রি-ভাত্রিত্বর সমন্ধ।আমার ভবিষ্যৎ বিশ্ব হবেশান্তি,সুখ,স্বস্নেহ,ভালোবাসার গভীর বন্ধনে।

যেদিন সেই দিন আসবে তার আগ মুহূর্ত পয'ন্ত আমি থাকবো আমার পরিবার,বন্ধু-বান্ধব ও পারাপরশি সঙ্গে।তাদের বোঝাবো এই বিশ্ব পত্তনেরখেয়ালে ধ্বংস আবশ্যক।তাই আমাদের আপছোস করার কিছুই নেই।আমাদের যেমন জন্মহয়েছে মরতে হবে।সুতরাং এর জন্য কোন দুঃখের কারণ নেই।আমরা সব সময় আনন্দেরগান গাইবো।যতক্ষণ না বিশ্ব ধ্বংস হয়।

আর আমি যদি সুপার ম্যান হতাম তবে আমি ধাত্রিকে ধ্বংস হতে দিতাম না।আমি আমার সর্ব শক্তি দিয়ে মহাকাশ থেকে আসা নক্ষত্রটাকে দুরেসরিয়ে দিতাম বা তাকে ধ্বংস করে দিতাম।বিশ্বের প্রতিটি প্রানীতে আমিআত্মরক্ষার কাজে নিয়গ হতাম।তাদের সুখকে ছিনিয়ে নিতে দিতাম না।বিশ্বধ্বংসের হাত থেকে তাদের রক্ষা করে আমি আমার সব থেকে পূর্ণএর কাজ বলে মনে করতাম।

এই সংখ্যা কোনো মতে আজগুপি নয়।চারি দিকে 22শে ডিসেম্বরেরসমালোচনাই সম্পাদক কে উদ্বিপনা করেছে এই সংখ্যা প্রকাশ করতে।ধ্বংসের আগেআমাদের লেখনি সমালোচনা করাই সম্পাদকের মূল কাজ।সুতরাং আমি সম্পাদকে শাপ-শাপান্তর করতে চাই না।

যদি ধ্বংসের আগ মুহূতে মাটির তলায় একটু স্থান পাই তাহবে খুবই সুখের উষ্ণ ছোঁয়া।বাঁচার জন্য এই টুকু চেষ্টা করে যাবো।সঙ্গে রাখব আমার প্রিয়লেখক লেখিকার কিছু বই।তার সঙ্গে আমার বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় রসদ ওরামায়ন,মহাভারত।সেই সময় আমার ভাবনা গুলোকে বাস্তব করার জন্য সাদা পাতা ও কলম অবশ্যক।ধারাপাতের প্রতিটি পাতার মত সূক্ষ ভাবে লিখে যাবো সব কথা। স্রষ্টা আমাদের তৈরি করেছেন।তার আদাতে যদি আজ আমরা বিশ্বকেদেখতে পাই তবে স্রষ্টা কে পার্থনা করে যাই তিনি যেন তার শক্তির দ্বারা এই ধ্বংসের লীলাকে সমারহ করেন।আমরা যেন তার প্রতি অসন্তোষ না হয়ে পরি।তিনিই সর্ব শক্তিমান,বীরবল্লব এই কথা যেন আমাদের মন থেকে মুছে না যায়।