বুধবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১২

প্রলয় মুখার্জী

সেই ছেলেটা


সেই ছেলেটা অন্য রকম

অঙ্ক জ্বেলে ভাত করে
ভুগোল বইয়ের একশ পাতায়
অক্ষাংশে মাছ ধরে
সন্ধেবেলা বকযন্ত্রে
আজগুবি তার ইচ্ছেগুলো
ফোটোন কণার দরজা খুলে
চিলেকোঠায় হাঁক মারে!!

ওই খানেতেই হিউয়েন সাঙ

বিচ্ছিরি হাঁ মুখকরে
খামার ঘরের টালি ভেঙে
তেঁতুল গাছে ঢিল ছোঁড়ে
কাছেই ছিলেন আর্কিমিডিস
ভয় পেয়েছেন দারুণ জোর
মেগাস্থিনিস শুয়ে ছিলেন
খ্যান্ত পিসির খামার ঘরে।

ওই ছেলেটা ওই রকমই

ডিরজিওর আপন ঘর
কেশিনাগের হাত পা খুলে
পুতুল মাটির নাক গড়ে।

এই তো যেমন কাল বিকেলে

ওই ছেলেটা বলল সোজা
বীজগণিতের বিষূব রেখা
রমাপিসির বেগুণ ভাজা

তার পরেতেই গপ-গপা-গপ

সূত্রগুলো গোল করে
ভুগোল থেকে দিঘির জল
এক ঘোঁটে খায় কাল ভোরে

হঠাৎ দেখি ঘাসের ডগায়

নড়ে চরে কী ওটা?
ওই ছেলেটা গিলছিল যে
ট্যান-থিটা বাই কস-থিটা।

সেই থেকে হায় অঙ্ক খাতা

উল বোনে আর গান করে
ওই ছেলেটা ওই রকমই
যোগ বিয়োগে ভুল করে।


খ্যাপা

আয়রে খ্যাপা
হৃদয় পোকা
আয়রে ভোলা
...
বুকে আয়

মিছড়ি দানা
খুব খাওয়াব
নক্ষী ছেলে
বিষম খায়

ক্ষেপলে ভোলা
নাগর দোলায়
চড়বে পিয়ুষ
আচমকায়

তুইরে ভোলা
হৃদয় জ্বালা
জ্বলব আমি
তোদের দায়

বলল কে কি
ছড়িয়ে দিল
কিসের কাঁটা
পথের ধুলায়

দলিয়ে দেনা
নিজের স্রোতে
বাঁশির মত
ফুঁয়ের ঘায়

দেখবি ভোলা
বাক্য নবীশ
ফুলের তোরে
মূর্ছা যায়।