ক্যালিফোর্নিয়ার ডিজনিল্যান্ড
ইন্দ্রাণী সরকার
ওয়াল্ট ডিজনি ছিলেন বিখ্যাত এক মার্কিন চিত্রপরিচালক ও প্রযোজক। তাঁর বহুদিনের স্বপ্ন ছিল আমোদ-প্রমোদের জন্য একটি পার্ক বানাবেন। সেই ইচ্ছাকে বাস্তবে রূপ দিতে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যানাহেইমে ১৬০ একর জায়গার ডিজনিল্যান্ড গড়ে তোলেন। ১৯৫৫ সালে ১৮ জুলাই এই পার্ক সবার জন্য খুলে দেয়া হয়।
সারা পৃথিবীর সবাই এতে প্রবেশ করতে পারে, শিশুরা তো বটেই। শিশুদের জন্য ডিজনিল্যান্ডের কিছু কিছু অংশ চমৎকারভাবে সাজানো রয়েছে। শিশুরা পার্কটিতে উপভোগ করতে পারে চমৎকার সব দৃশ্য।
মেইনল্যান্ড, অ্যাডভেঞ্চারল্যান্ড, ফ্যান্টাসিল্যান্ড, মিকিস টুনটাউন_এমন কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে গোটা ডিজনিল্যান্ডকে। প্রতিটিতেই দুর্দান্ত সব রাইড আছে।
মেইনল্যান্ডের রেলগাড়িতে পুরো ডিজনিল্যান্ডে চক্কর দেওয়া যায়। বিভিন্ন রাইডে ঢোকার জন্য রেলে টানা বিভিন্ন রকমের গাড়ি আছে। হন্টেড হাউসে ঢোকার পরই ভৌতিক এক এলাকা যেখানে দর্শকদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে আশ্চর্য সব সমাধিলিপি আর ভৌতিক একটা শববাহী ঘোড়ায় টানা সাদা গাড়ি সামনে আসে আর তারপর হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যায়। আরো সামনে এগোলে 'মৃত্যুকেন্দ্র', যেখানে ঢোকার পর পেছনের দরজা বন্ধ হয়ে যায় আর তারপরই একের পর এক রুদ্ধশ্বাস সব কাণ্ডকারখানা হতে থাকে।
ডিজনিল্যান্ডের মজার রাইডগুলোর মধ্যে রয়েছে- মাইন ট্রেন রাইড, রিভারবোট রাইড, কালিসন রাইড। রিভারবোট রাইডে চড়ে টম সয়ার আইল্যান্ডের চারপাশ ঘুরে দেখা যায়। টম সয়ার আইল্যান্ডে বেড়াতে এলে প্রতিটি শিশুই এর প্রেমে পড়ে যায়। ঝুলন্ত ব্রিজের ওপর দিয়ে হাঁটা, কী দারুন এক অভিজ্ঞতা। কলিসন রাইডে চড়ে অনেক উপর থেকে একদম সোজা জলে পড়ে যাওয়া। বাচ্ছারা খুশিতে আর উত্তেজনায় লাফিয়ে চেঁচিয়ে ওঠে। এটা অনেকটা রোলার কোস্টারের মতো। এমন সব রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।
পিটারপ্যানের সঙ্গে লন্ডন শহরের ওপর দিয়ে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পাওয়া যায় একটি রাইডে। এতে লন্ডনের বিখ্যাত সব জায়গা, যেমন লন্ডন ব্রিজ, বিগ বেন ঘড়ি, টেমস নদীর খুদে খুদে সংস্করণের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া যায়। নেভারল্যান্ডে পৌঁছে দেখা যায় পিটারপ্যানের বিখ্যাত সব চরিত্র।
ডিজনিল্যান্ডে যারা যায়, তারা ভুলেও বিগ থান্ডার মাউনটেন রেল রোডে চড়ার সুযোগ হাতছাড়া করে না। এতে দুর্গম পাহাড়ি এলাকা দিয়ে চলে ট্রেন। শুরুতে অন্ধকার সুড়ঙ্গে ঢোকার সময়ই কেঁপে উঠবে শরীর। তারপর প্রথম পাহাড়ে চড়ার আগেই বাদুড়ের দলের শব্দ শোনা যায়। তারপর ঘটে যায় আরো কত ঘটনা। ডিনামাইট ফাটিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় চলন্ত ট্রেনকে। কিন্তু কিছুই হই না শেষ পর্য্যন্ত।
অকুতোভয় প্রত্নতত্ত্ববিদ ইন্ডিয়ানা জোনসের যারা ভক্ত, তাদেরও হতাশ করবে না ডিজনিল্যান্ড। ইন্ডিয়ানা জোনসের সঙ্গে ক্ষমতার রত্ন উদ্ধারে দুর্গম এক মন্দিরে অভিযান চলে। টারজানস ট্রি হাউসে বিশাল একটা গাছ আছে। গাছে ওঠার জন্য আবার আছে ঝুলন্ত সেতু। জঙ্গল ক্রুইজে পাওয়া যায় উত্তেজনায় ভরা জঙ্গল অভিযানের স্বাদ। একটা জাহাজে চেপে কৃত্রিমভাবে বানানো এশিয়া, আফ্রিকার বিখ্যাত নদীগুলোর ভেতর দিয়ে অভিযানে বের হতে হয়। দুই পাশে গভীর জঙ্গলে দেখা পাওয়া যায় নানা ধরনের প্রাণী।
মিকিস টুন হাউসে দেখা হয়ে যাবে মিকি মাউস, মিনি মাউস, গুফিসহ কার্টুনের অনেক চরিত্রের। পাইরেটস লেয়ার অন টম সয়্যার আইল্যান্ডে কৃত্রিম একটি দ্বীপ আছে। এখানে পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান ছবিতে উল্লেখ করা গুহা, মার্ক টোয়েনের অ্যাডভেঞ্চার অব টম সয়্যার বইয়ের চরিত্রগুলোকে ঘুরতে ফিরতে দেখা যায় । বাচ্ছাদের কাছে এই চরিত্রগুলির সঙ্গে হাত মেলানো, ছবি তোলা যে কী ভীষণ আনন্দের খোরাক তা বলার নয়।
ডিজনিল্যান্ডের অন্যতম আকর্ষণ ইল্যুমিনেশন এবং ফায়ার ওয়ার্ক। ইল্যুমিনেশনে রয়েছে লেসার রশ্মির অলৌকিক আলোর খেলা। লেসার নাইটের সাথে গ্যাস মলিকিউলের সংমিশ্রণে প্রতি মুহূর্তে অদ্ভুত অদ্ভুত সব আলোর রোশনাই তৈরি হয়ে চলেছে। আর ফায়ার ওয়ার্ক এলাকায় সারাক্ষণ ফুটে চলেছে নানা রকম বাজি। সেই সাথে সৃষ্টি হয়ে চলেছে আশ্চর্য সব আলোর ফুলঝুরি।
ডিজনিল্যান্ডে রয়েছে স্পেকট্রোম্যাজিক ফাইবার অপটিক্স, অডিও-অ্যানিম্যাট্রোনিস্কের মজা। প্রথমটি হলো কাঁচ এবং প্লাস্টিক ফাইবার দিয়ে তৈরি এক মনোহর জগৎ। এ জগতে শুধু আলোর ছড়াছড়ি। ঢুকলে মনে হয় রূপকথার এক ভুবনে প্রবেশ করেছি যে পৃথিবী সবগুলো রঙের ছটা দিয়ে উদ্ভাসিত। আর অডিও-অ্যানিম্যাট্রোনিক্সে রয়েছে কতগুলো রোবট। এরা মানুষের মত কথা বলতে পারে, নড়াচড়া করে দেখায় অ্যানি ম্যাট্রোনিক্সের রোবটরা। তাদের অনুকরণের ঢং দেখে বাচ্ছারা হেসে কুটিপাটি খায়।
ব্লিজার্ড বীচ এক অবিশ্বাস্য সুন্দর ওয়াটার পার্ক। ১২০ ফুট উঁচু থেকে সাঁ সাঁ করে নিচে নেমে যাবার অদ্ভুত এক শিহরণ জাগানো রাইড রয়েছে ব্লিজার্ড বীচে।
প্লেজার আইল্যান্ডে ছড়িয়ে আছে শুধু মজা আর মজা। সাতটা ক্লাব, লাইভ কনসার্ট, দারুণ দরুণ রেস্টুলেন্ট, চমৎকার সাজানো দোকান-কি নেই এখানে? আর বিশ্বখ্যাত মুভি তারকাদের দেখতে হলে প্লেজার আইল্যান্ডের পাশেই প্ল্যানেট হলিউডে চলে যাও। প্ল্যানেট হলিউড একটি রেস্টুরেন্ট। পৃথিবীর বড় বড় শহরে এর শাখা ছড়িয়ে রয়েছে। এই রেস্টুরেন্টের মালিক আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার, সিলভেস্টার স্ট্যালোন, ব্রুস উইলিস এবং ডেমি মূর। এঁদের দেখা মিলবে প্ল্যানেট হলিউডে গেলে।
ডিজনিল্যান্ডে সম্প্রতি একটি ‘ডিজনি ভিলেজ মার্কেট’ প্লেসও তৈরি করা হয়েছে। এখানে ডিজনির বিখ্যাত সব কার্টুন চরিত্রগুলোর দেখা মেলে। মিকি’স ক্যারেক্টার শপ-এ ঢুঁ মারলেই পেয়ে যাবে সবগুলোকে। এ ছাড়া এখানে ফাও মজা হিসেবে থাকছে নৌকো চড়ার আনন্দ, খেলার মাঠ এবং নতুন ফাউন্টেন ফান এরিয়া।
বাচ্ছারা, মজার এই স্বপ্নপুরীতে কখনো যদি যাওয়ার সুযোগ পাও হাতছাড়া করো না। আমি নিশ্চিত তোমাদের কেউ না কেউ ঘুরে এসেছো ডিজনিল্যান্ড থেকে। নিশ্চয়ই সেটা তোমাদের এক বিরল অভিজ্ঞতা।
ইন্দ্রাণী সরকার
ওয়াল্ট ডিজনি ছিলেন বিখ্যাত এক মার্কিন চিত্রপরিচালক ও প্রযোজক। তাঁর বহুদিনের স্বপ্ন ছিল আমোদ-প্রমোদের জন্য একটি পার্ক বানাবেন। সেই ইচ্ছাকে বাস্তবে রূপ দিতে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যানাহেইমে ১৬০ একর জায়গার ডিজনিল্যান্ড গড়ে তোলেন। ১৯৫৫ সালে ১৮ জুলাই এই পার্ক সবার জন্য খুলে দেয়া হয়।
সারা পৃথিবীর সবাই এতে প্রবেশ করতে পারে, শিশুরা তো বটেই। শিশুদের জন্য ডিজনিল্যান্ডের কিছু কিছু অংশ চমৎকারভাবে সাজানো রয়েছে। শিশুরা পার্কটিতে উপভোগ করতে পারে চমৎকার সব দৃশ্য।
মেইনল্যান্ড, অ্যাডভেঞ্চারল্যান্ড, ফ্যান্টাসিল্যান্ড, মিকিস টুনটাউন_এমন কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে গোটা ডিজনিল্যান্ডকে। প্রতিটিতেই দুর্দান্ত সব রাইড আছে।
মেইনল্যান্ডের রেলগাড়িতে পুরো ডিজনিল্যান্ডে চক্কর দেওয়া যায়। বিভিন্ন রাইডে ঢোকার জন্য রেলে টানা বিভিন্ন রকমের গাড়ি আছে। হন্টেড হাউসে ঢোকার পরই ভৌতিক এক এলাকা যেখানে দর্শকদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে আশ্চর্য সব সমাধিলিপি আর ভৌতিক একটা শববাহী ঘোড়ায় টানা সাদা গাড়ি সামনে আসে আর তারপর হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যায়। আরো সামনে এগোলে 'মৃত্যুকেন্দ্র', যেখানে ঢোকার পর পেছনের দরজা বন্ধ হয়ে যায় আর তারপরই একের পর এক রুদ্ধশ্বাস সব কাণ্ডকারখানা হতে থাকে।
ডিজনিল্যান্ডের মজার রাইডগুলোর মধ্যে রয়েছে- মাইন ট্রেন রাইড, রিভারবোট রাইড, কালিসন রাইড। রিভারবোট রাইডে চড়ে টম সয়ার আইল্যান্ডের চারপাশ ঘুরে দেখা যায়। টম সয়ার আইল্যান্ডে বেড়াতে এলে প্রতিটি শিশুই এর প্রেমে পড়ে যায়। ঝুলন্ত ব্রিজের ওপর দিয়ে হাঁটা, কী দারুন এক অভিজ্ঞতা। কলিসন রাইডে চড়ে অনেক উপর থেকে একদম সোজা জলে পড়ে যাওয়া। বাচ্ছারা খুশিতে আর উত্তেজনায় লাফিয়ে চেঁচিয়ে ওঠে। এটা অনেকটা রোলার কোস্টারের মতো। এমন সব রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।
পিটারপ্যানের সঙ্গে লন্ডন শহরের ওপর দিয়ে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পাওয়া যায় একটি রাইডে। এতে লন্ডনের বিখ্যাত সব জায়গা, যেমন লন্ডন ব্রিজ, বিগ বেন ঘড়ি, টেমস নদীর খুদে খুদে সংস্করণের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া যায়। নেভারল্যান্ডে পৌঁছে দেখা যায় পিটারপ্যানের বিখ্যাত সব চরিত্র।
ডিজনিল্যান্ডে যারা যায়, তারা ভুলেও বিগ থান্ডার মাউনটেন রেল রোডে চড়ার সুযোগ হাতছাড়া করে না। এতে দুর্গম পাহাড়ি এলাকা দিয়ে চলে ট্রেন। শুরুতে অন্ধকার সুড়ঙ্গে ঢোকার সময়ই কেঁপে উঠবে শরীর। তারপর প্রথম পাহাড়ে চড়ার আগেই বাদুড়ের দলের শব্দ শোনা যায়। তারপর ঘটে যায় আরো কত ঘটনা। ডিনামাইট ফাটিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় চলন্ত ট্রেনকে। কিন্তু কিছুই হই না শেষ পর্য্যন্ত।
অকুতোভয় প্রত্নতত্ত্ববিদ ইন্ডিয়ানা জোনসের যারা ভক্ত, তাদেরও হতাশ করবে না ডিজনিল্যান্ড। ইন্ডিয়ানা জোনসের সঙ্গে ক্ষমতার রত্ন উদ্ধারে দুর্গম এক মন্দিরে অভিযান চলে। টারজানস ট্রি হাউসে বিশাল একটা গাছ আছে। গাছে ওঠার জন্য আবার আছে ঝুলন্ত সেতু। জঙ্গল ক্রুইজে পাওয়া যায় উত্তেজনায় ভরা জঙ্গল অভিযানের স্বাদ। একটা জাহাজে চেপে কৃত্রিমভাবে বানানো এশিয়া, আফ্রিকার বিখ্যাত নদীগুলোর ভেতর দিয়ে অভিযানে বের হতে হয়। দুই পাশে গভীর জঙ্গলে দেখা পাওয়া যায় নানা ধরনের প্রাণী।
মিকিস টুন হাউসে দেখা হয়ে যাবে মিকি মাউস, মিনি মাউস, গুফিসহ কার্টুনের অনেক চরিত্রের। পাইরেটস লেয়ার অন টম সয়্যার আইল্যান্ডে কৃত্রিম একটি দ্বীপ আছে। এখানে পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান ছবিতে উল্লেখ করা গুহা, মার্ক টোয়েনের অ্যাডভেঞ্চার অব টম সয়্যার বইয়ের চরিত্রগুলোকে ঘুরতে ফিরতে দেখা যায় । বাচ্ছাদের কাছে এই চরিত্রগুলির সঙ্গে হাত মেলানো, ছবি তোলা যে কী ভীষণ আনন্দের খোরাক তা বলার নয়।
ডিজনিল্যান্ডের অন্যতম আকর্ষণ ইল্যুমিনেশন এবং ফায়ার ওয়ার্ক। ইল্যুমিনেশনে রয়েছে লেসার রশ্মির অলৌকিক আলোর খেলা। লেসার নাইটের সাথে গ্যাস মলিকিউলের সংমিশ্রণে প্রতি মুহূর্তে অদ্ভুত অদ্ভুত সব আলোর রোশনাই তৈরি হয়ে চলেছে। আর ফায়ার ওয়ার্ক এলাকায় সারাক্ষণ ফুটে চলেছে নানা রকম বাজি। সেই সাথে সৃষ্টি হয়ে চলেছে আশ্চর্য সব আলোর ফুলঝুরি।
ডিজনিল্যান্ডে রয়েছে স্পেকট্রোম্যাজিক ফাইবার অপটিক্স, অডিও-অ্যানিম্যাট্রোনিস্কের মজা। প্রথমটি হলো কাঁচ এবং প্লাস্টিক ফাইবার দিয়ে তৈরি এক মনোহর জগৎ। এ জগতে শুধু আলোর ছড়াছড়ি। ঢুকলে মনে হয় রূপকথার এক ভুবনে প্রবেশ করেছি যে পৃথিবী সবগুলো রঙের ছটা দিয়ে উদ্ভাসিত। আর অডিও-অ্যানিম্যাট্রোনিক্সে রয়েছে কতগুলো রোবট। এরা মানুষের মত কথা বলতে পারে, নড়াচড়া করে দেখায় অ্যানি ম্যাট্রোনিক্সের রোবটরা। তাদের অনুকরণের ঢং দেখে বাচ্ছারা হেসে কুটিপাটি খায়।
ব্লিজার্ড বীচ এক অবিশ্বাস্য সুন্দর ওয়াটার পার্ক। ১২০ ফুট উঁচু থেকে সাঁ সাঁ করে নিচে নেমে যাবার অদ্ভুত এক শিহরণ জাগানো রাইড রয়েছে ব্লিজার্ড বীচে।
প্লেজার আইল্যান্ডে ছড়িয়ে আছে শুধু মজা আর মজা। সাতটা ক্লাব, লাইভ কনসার্ট, দারুণ দরুণ রেস্টুলেন্ট, চমৎকার সাজানো দোকান-কি নেই এখানে? আর বিশ্বখ্যাত মুভি তারকাদের দেখতে হলে প্লেজার আইল্যান্ডের পাশেই প্ল্যানেট হলিউডে চলে যাও। প্ল্যানেট হলিউড একটি রেস্টুরেন্ট। পৃথিবীর বড় বড় শহরে এর শাখা ছড়িয়ে রয়েছে। এই রেস্টুরেন্টের মালিক আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার, সিলভেস্টার স্ট্যালোন, ব্রুস উইলিস এবং ডেমি মূর। এঁদের দেখা মিলবে প্ল্যানেট হলিউডে গেলে।
ডিজনিল্যান্ডে সম্প্রতি একটি ‘ডিজনি ভিলেজ মার্কেট’ প্লেসও তৈরি করা হয়েছে। এখানে ডিজনির বিখ্যাত সব কার্টুন চরিত্রগুলোর দেখা মেলে। মিকি’স ক্যারেক্টার শপ-এ ঢুঁ মারলেই পেয়ে যাবে সবগুলোকে। এ ছাড়া এখানে ফাও মজা হিসেবে থাকছে নৌকো চড়ার আনন্দ, খেলার মাঠ এবং নতুন ফাউন্টেন ফান এরিয়া।
বাচ্ছারা, মজার এই স্বপ্নপুরীতে কখনো যদি যাওয়ার সুযোগ পাও হাতছাড়া করো না। আমি নিশ্চিত তোমাদের কেউ না কেউ ঘুরে এসেছো ডিজনিল্যান্ড থেকে। নিশ্চয়ই সেটা তোমাদের এক বিরল অভিজ্ঞতা।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন