বুধবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১২

রঙ্গীত মিত্রের কবিতা

আট ঘন্টার কাজ

১।
এইবার আমি বলে দেবো।এইবার আমি যত ভুল
এইবার বাছাই শুরু হয়ে গেলে
বড় বড় বাড়ির স্তন ধরে ঝুলে আসবো ।
যেভাবে একটি মেয়ের হাত ধরে চুমু খাচ্ছিলেন আপনি
আমি সেই রকম হিংসুটে পুরুষ ;
অনন্ত আপনার সব নারীদের কাছে না হলেও

আয়ুর্বেদ আমি গোপনে শিখে নিয়েছি।

২।
মাঝ রাতের রাস্তা
আমার আন্দাজ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
পাগলামি আড়ি করে যায়।
মেশিনের শব্দে ঘুম ভাঙে,
গাড়ির শব্দকে প্রেতাত্মা ভাবে কুকুরেরা।
সাদা রঙ লাগা ছবি, লিপিতে আবদ্ধ হয়।

৩।
অনুভব ফিরে পাওয়ার জিরো আওয়ার চাই,
নিজেকে মাপার স্বর্গ চাই।
পাহারাদারেরা আওয়াজ করছে।
অনিশ্চয়তা কেড়ে নিচ্ছে গুরুত্ব,
কে যেন আড়ালে থেকে করছে এগুলো ।
তাও ফাঁকা রাস্তা, নারীহীন নেশারু।
তবু আকৃতিহীন এটা কি?
নিজে কে না বুঝতে দেওয়া?

৪।
পায়ের নীচটা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।বমি পাচ্ছে।শরীর ও বেশ খারাপ।মাথা ধরে আছে।ঘুম পাচ্ছে খুব।কিন্তু আমাকে কেউ বিশ্বাস করছে না।দুর্বল হয়ে যাচ্ছি সিদ্ধান্তের দিকে

৫।
ভালো কি মন্দ আমি নিজেই জানি না।তবে বন্ধুদের আলাদা আলাদা ভাবে হেঁটে যেতে দেখেছি।

৬।
নতুন কিছু একটা করার সুযোগের স্টেশানে ট্রেনহীন বসে থাকা

৭।
অপমান বার বার ফিরে ফিরে আসে

৮।
নিয়মের কাছে যেতে না ইচ্ছে করলেও যেতে তো হয়!

৯।
খুব ক্লান্ত লাগছে।মন খারাপ।কিন্তু যা জানতাম তা কি ভুল?

১০।
যুদ্ধক্ষেত্র ক্রমশো বড় হচ্ছে ।আমাদের ইমোসানগুলো বেলুনের মত।বিক্রির খেলা চলছে।যোগ্যতা একটা প্রশ্নচিহ্ন বিশেষ।পুড়তে দেখেছি নিজস্বতাকে।আর @আন্তর্জাতিকতা ??

১১।
মেয়েরা লাইন দিয়ে খাবার কিনছে।আমাদের খ ই খ ই আনন্দ।জ্যামেটম সিমেট্রি ইত্যাদি...