বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

কবিতা - কাজরী তিথি জামান

চিরকূটে
কাজরী তিথি জামান



ভালোবাসা’ জমা রেখেছি
ছোট্ট এক চিরকূটে ৷
...

এখনও জমা আছে আলপনা,
আমপাতা,পেতলের কলস—
মেঘ-বৃষ্টি-জল ৷
সানাই কেঁদেছিল জানি;
কেঁদেছিল ‘লাল বেনারসী’….
চন্দন মুছে যাবে জেনে
আমার চোখেই জল আসেনি ৷
ঐ জলটুকু সেই চিরকূটে;
মেঘ’ডেকেছিল গভীর রাতে
যতনে আমার গোপন কথা’
বিনি সূতোয় গাঁথা আছে
ছোট্ট এক চিরকূটে ৷
জলের বুকে জল যেমন
রঙে রঙে যায় মিশে,
তেমনই আমার ‘ভালোবাসা’
তুমি হয়ে সেই চিরকূটে’
রইলে ‘জমা’
‘খরচ’ আমি!বৈধ নিলাম
বাকী স্রোতের চেনা হাটে ৷
ভা-লো-বা-সি….লিখেছিলে’
বিদায় বেলার চিরকূটে’
‎#
অন্ধচোখে ভালো আছি দয়াল'
মনের আলোতে...
চোখে আমার সোনার পিদিম
তাতে রূপোর সলতে'.....
ও দয়ালরে.......ও..ও....দয়াল'........
...

#
খেলাও তুমি'..খেলি আমি
এই ধুলোমাটিতে
ঘুড়ি নাটাই তোমার হাতে'
আমি বাঁধা সুতোতে
দয়ার সাগর,দয়ার সাগর...
আমার গিঁটের ফিতে'
ও দয়ালরে.......ও..ও....দয়াল'........
#
দিয়েছো যে পরাণে সুর'
তোমার কথায় কয়...
তুমি বিনা এ ধরাতে
কে পারাণির ঠাঁই...?
দয়ার সাগর,দয়ার সাগর...
আমার পারাণির বৈঠে'
ও দয়ালরে.......ও..ও....দয়াল'.....
#
মনের ঘরে মানুষ এলো--
মানুষ'আমার দু'আনা ;
বাকী যে রয় চৌদ্দ আনা,
ষোল পোরে না;মানুষ.....
ষোল পোরে না..........
...

#
কাঁচা মাটি মানুষের ঘর'
তাতে রয় 'আঠারো অন্তর'
ফুটছে গোলাপ দিবানিশি;
ছুটছে ভ্রমর কালোশশী---
একে একে দু'জনেতে
পুরলো দু'আনা......
বাকী সেই চৌদ্দ আনা'
ষোল পোরে না;মানুষ.....
#
মানুষের এই ঘর-বসতি
বসত নামের' বসুমতী'
হিসেবের নিত্তি ঘোরে'
'নাগর দোলা' চায় যে কারে?
পক্ষে পক্ষে দুই কালে
পনের দিন হাঁটে-চলে...
বাকী সবই এক আনাতে
ষোল পোরে না;মানুষ.....