শনিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১২

পুণ্যশ্লোক দাশগুপ্ত


আইসক্রিমের বাটি অথবা কথোপকথন কাজরি গোলাপের সঙ্গে


একটু একটু করে এনে দেবো মেঘকণা, একটু একটু করে গান
খরিত রসের ধারায় উড়ে আসবে কার্নিভালের পরী, রসজ্ঞানবান
কাব্যপাঠ মাঝে মাঝে পদাবলিকার উপন্যাসিকা
অলঙ্কৃতির দায় মন্দাক্রান্তায়, বসন্ততিলকে
ছন্দঃপতনের, যতিভঙ্গের এনে দেবো চমৎকার বাগান
হালকা উড়ে আসবেন রসকলাবিৎ রাত্রির খোঁপায়


কথোপকথনের দিকে ঝুঁকে পড়লাম আমি
যে রাস্তায় হাঁটতে শুরু করলাম
হবে হয়তো অলীক, কিন্তু আমার রঙপুর, ইয়া আল্লা ওই তো
দেখা যায়, কলেজের অভিজাত চাঁদের পুকুর
রোমাঞ্চকর কেনো-না আমার আব্বার বন্দনা নিশ্চিত
এখানেই আছে, আর কেউ না জানলেও আল মাহামুদ জানতেন
অপরিসীম
মনখারাপের হতে পারে
কাজরি ঘন ছায়াময়, ঝিরঝির বৃষ্টি
অথৈ, আমি বললাম
আমার শেষ যাওনের জায়গা ঐ তো বাংলাদেশ
জিরো পয়েন্ট ঐ যে দাঁড়িয়ে আছেন বি এস এফ
পোয়েটিকস্ থেকে দেখা যায় আমার আব্বা্র নিঃশ্বাস

কাজরি প্রাণের নিঃশেষ
বিষয়ের চারপাশে নতুন সম্পর্ক এঁকে দিলো
রঞ্জিত সচেতন


পুণ্যপ্রবাহের গান, অনন্তের দিকে
আমি সারাদিন বসে থাকি আর জলঢাকা ঘূর্ণি এঁকে দেয়
আমি ভাবি অপ্রয়োজন মুছে যাক,
সংসার চমৎকার শব্দে আর বাক্যবন্ধে নতুন কার্নিভালো
নাচগান শোভাযাত্রায় মেতে উঠুক
হায় আমার চৈত্রসংক্রান্তির মহোত্তম মেলা জিলিপিস্ফুরণ
হায় কেন বলছি? বর্ষবরণ হবে অবধারিত এ দেহে কার্নিভাল হবে
রচনা পাঠের ডাক আসবে ঢাকা থেকে
একটার পর একটা গান লিখছে কাজরি, বসন্তের বাউল গাইছে সেই গান
হোমার গাইছে দস্তয়ভস্কি গাইছে আব্বাসের সোল্লাস লালিত্য গাইছে,
কেন গাইবে না? সুপ্ত যা তেলরং প্যাস্টেল ফুটে উঠবে না বিমূর্তে
সশরীরে আমার আব্বার হাত লিখে চলে বাংলাভাষায়
নিসর্গ চুপি চুপি ডাকল আমাকে, এই নে আব্বার প্রথম স্মারক
মৃত্যু থেকে আর মাত্র পাঁচটি বছর দূরে আছি