উত্তর সম্পাদকীয়
অরিন্দম চন্দ্র
শুভ বিজয়া দশমীর নমস্কার।এই ওয়েবজিনের স্ক্রীনটাকে আপনাদের পা ভেবে পেন্নাম ঠুকলাম,আশির্বাদটাও সেভাবেই পাঠান।আসলে চ্যানেলে চ্যানেলে সারাদিন সারারাত ধরে মা দুগগার প্রচার,বিলিব্যবস্থাটা তেমনই কেমন যেন যুৎসই বলে মনে হল।
আজ্ঞে হ্যাঁ, বাংলার টিভি চ্যানেলগুলোর আদিখ্যেতা দেখেই বলছি।চারদিন কাগজ বন্ধ,না থাকলেও উলটপুরান হত,মনে হয় না।মরুক গে,বাংলার তাবড় তাবড় চ্যানেলগুলো যখন গোপালপুরের দিকে যাচ্ছে তখন সমুদ্রঝড় “ফাইলিন” প্রায় ফুরিয়ে যায় যায় আর কি।অথচ এরা না কি বড় বড় কর্পোরেট মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত।মানে দুনিয়া জোড়া খবরের সাম্রাজ্যে এদের অবাধ বিচরণ।প্রায় সব কটা চ্যানেলেই দেশ দুনিয়ার খবরের অনুষ্ঠান থাকে,নিয়মিত।আর যে চ্যানেলের কেষ্টবিষ্টুরা লন্ডন,সুইৎজারল্যান্ড বা সিঙ্গাপুরের দুগগাপুজো কভার করতে ব্যস্ত তাঁদের তথাকথিত নেটওয়ার্ক ওড়িশা বা অন্ধ্রে ঠিক সময়ে না পৌঁছলে গালাগালটা কি সাধে আসে।
পাশাপাশি,ন্যাশনাল চ্যানেলগুলোর কথা বাদ দিন,স্থানীয় ওড়িয়া বা তেলুগু চ্যানেল,নিদেনপক্ষে লোকাল কেবলওয়ালাদেরকে দেখলাম----“হ্যাটস অফ” খুব কম দামী বিশেষণ হতে বাধ্য।স্থানীয় কেবলের নাম না জানা ছেলে মেয়েরা যে বিপদ মাথায় নিয়ে পড়ে রইল মাটি কামড়ে,সাথে সাথে জাতীয় চ্যানেলের অঞ্চল ভোরা,অরুনিমা,কানওয়াল বা সম্বিত,মিডিয়ার সামাজিক দায়বদ্ধতার কথাটা আবার সামনে এল।বিপনন-বিজ্ঞাপন সর্বস্বতার পাশেও কমিটমেন্ট আর পেশাদারীত্বের মুনশিয়ানা—প্রত্যক্ষ করেছেন সকলেই।
এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই যে বাংলার চ্যানেলের উপরোক্ত গূণগুলো নেই।পঞ্চায়েত এ দেখেছি,লোকসভায়,বিধানসভায়,রোজকার আলোচনার নামে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি---সব কি অনায়াস দক্ষতার সাথে সামলে নেয় এই ভূমিপুত্র সাংবাদিককূল বা তাদের নিয়োগকর্তা চ্যানেলগণ,এ সবই প্রত্যক্ষ।এহ বাহ্য,ইস্কুলের ভোটে পুলিশকে গুলি করে খুনের লাইভ টেলিকাস্ট কে ভুলবে?
তবে গোলটা বাধছে কোথায়??সাবালকত্বের অভাব,তা তো নয়।আজকের কর্পোরেট শাসিত মিডিয়াকুল ভীষণ ভীষণ ডিসিপ্লিন্ড।এখানে প্রতি পদক্ষেপে দায় বা দায়িত্ব এক চুলও এ-দিক ও-দিক হয় না।ওপর থেকে নীচে বা নীচে থেকে উপরে—সর্বত্র নিক্তি মেপে চলা।
আসলে এখানেই সেই গ্র্যান্ড ডিজাইনটা সামনে চলে আসে।দুগগাপুজো আমাদের সামাজিক উৎসব আর গোটা রাজ্য জুড়ে এই সময়ে কয়েক হাজার কোটি টাকার হাতবদল হয়।সত্যি বলতে কি আজ এই পূজার বাজার দুনিয়া জুড়ে।তাই কাউকে নিজের কাজ ফেলে ২৭৩ টা পূজার উদবোধন সারতে হয়,তার পেছনে ছোটে বুম হাতে চ্যানেলের দল,লাখ লাখ টাকার পুরস্কার,স্পনসরস---বিপনন,বিপনন,বিপনন।সব দায় আর দায়িত্ব ভাগ করা আছে।আমার ছেলেপুলেরা কেউ পুরী,কেউ গোপালপুর কেউবা কলিংগপতনম ছুটবে,তুমি ভিসার ব্যবস্থা কর জুরিখের। আমি নয় লাখ লোকের গৃহহীন অবস্থাটা দেখাব,তুমি ঢাক পিটিয়ে ধুনুচি নাচো।গোটা পূর্ব উপকূলের একটা বিশাল এলাকা যখন ধ্বংসস্তুপ তখন সব কটা বাঙ্গালীর এন্টারটেনমেন্টের দায়িত্ব তোমার।আহা বেচারাদের সোমবচ্ছর কত কিছু নিয়ে ভাবতে হয়-দাদা থেকে দিদি,পাহাড় থেকে সাগর---চেটেপুটে খাক এই চারটে দিন,মেতে থাক উৎসবে।কেউ যদি শুধু ল্যাদই খেতে চায় তার জন্যও আয়োজনের কমতি না থাকে,সেটার খেয়ালও রেখ।
কেউ একজন বলেছিলেন আমরা সেই কথাই ভাবি যা আমাদের খবরের কাগজ ভাবতে বাধ্য করে।কাল ভেদে এখন কুশীলব বদলেছে,ভাবনাটা অবিকৃতই আছে।
শুভ বিজয়া দশমীর নমস্কার।এই ওয়েবজিনের স্ক্রীনটাকে আপনাদের পা ভেবে পেন্নাম ঠুকলাম,আশির্বাদটাও সেভাবেই পাঠান।আসলে চ্যানেলে চ্যানেলে সারাদিন সারারাত ধরে মা দুগগার প্রচার,বিলিব্যবস্থাটা তেমনই কেমন যেন যুৎসই বলে মনে হল।
আজ্ঞে হ্যাঁ, বাংলার টিভি চ্যানেলগুলোর আদিখ্যেতা দেখেই বলছি।চারদিন কাগজ বন্ধ,না থাকলেও উলটপুরান হত,মনে হয় না।মরুক গে,বাংলার তাবড় তাবড় চ্যানেলগুলো যখন গোপালপুরের দিকে যাচ্ছে তখন সমুদ্রঝড় “ফাইলিন” প্রায় ফুরিয়ে যায় যায় আর কি।অথচ এরা না কি বড় বড় কর্পোরেট মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত।মানে দুনিয়া জোড়া খবরের সাম্রাজ্যে এদের অবাধ বিচরণ।প্রায় সব কটা চ্যানেলেই দেশ দুনিয়ার খবরের অনুষ্ঠান থাকে,নিয়মিত।আর যে চ্যানেলের কেষ্টবিষ্টুরা লন্ডন,সুইৎজারল্যান্ড বা সিঙ্গাপুরের দুগগাপুজো কভার করতে ব্যস্ত তাঁদের তথাকথিত নেটওয়ার্ক ওড়িশা বা অন্ধ্রে ঠিক সময়ে না পৌঁছলে গালাগালটা কি সাধে আসে।
পাশাপাশি,ন্যাশনাল চ্যানেলগুলোর কথা বাদ দিন,স্থানীয় ওড়িয়া বা তেলুগু চ্যানেল,নিদেনপক্ষে লোকাল কেবলওয়ালাদেরকে দেখলাম----“হ্যাটস অফ” খুব কম দামী বিশেষণ হতে বাধ্য।স্থানীয় কেবলের নাম না জানা ছেলে মেয়েরা যে বিপদ মাথায় নিয়ে পড়ে রইল মাটি কামড়ে,সাথে সাথে জাতীয় চ্যানেলের অঞ্চল ভোরা,অরুনিমা,কানওয়াল বা সম্বিত,মিডিয়ার সামাজিক দায়বদ্ধতার কথাটা আবার সামনে এল।বিপনন-বিজ্ঞাপন সর্বস্বতার পাশেও কমিটমেন্ট আর পেশাদারীত্বের মুনশিয়ানা—প্রত্যক্ষ করেছেন সকলেই।
এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই যে বাংলার চ্যানেলের উপরোক্ত গূণগুলো নেই।পঞ্চায়েত এ দেখেছি,লোকসভায়,বিধানসভায়,রোজকার আলোচনার নামে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি---সব কি অনায়াস দক্ষতার সাথে সামলে নেয় এই ভূমিপুত্র সাংবাদিককূল বা তাদের নিয়োগকর্তা চ্যানেলগণ,এ সবই প্রত্যক্ষ।এহ বাহ্য,ইস্কুলের ভোটে পুলিশকে গুলি করে খুনের লাইভ টেলিকাস্ট কে ভুলবে?
তবে গোলটা বাধছে কোথায়??সাবালকত্বের অভাব,তা তো নয়।আজকের কর্পোরেট শাসিত মিডিয়াকুল ভীষণ ভীষণ ডিসিপ্লিন্ড।এখানে প্রতি পদক্ষেপে দায় বা দায়িত্ব এক চুলও এ-দিক ও-দিক হয় না।ওপর থেকে নীচে বা নীচে থেকে উপরে—সর্বত্র নিক্তি মেপে চলা।
আসলে এখানেই সেই গ্র্যান্ড ডিজাইনটা সামনে চলে আসে।দুগগাপুজো আমাদের সামাজিক উৎসব আর গোটা রাজ্য জুড়ে এই সময়ে কয়েক হাজার কোটি টাকার হাতবদল হয়।সত্যি বলতে কি আজ এই পূজার বাজার দুনিয়া জুড়ে।তাই কাউকে নিজের কাজ ফেলে ২৭৩ টা পূজার উদবোধন সারতে হয়,তার পেছনে ছোটে বুম হাতে চ্যানেলের দল,লাখ লাখ টাকার পুরস্কার,স্পনসরস---বিপনন,বিপনন,বিপনন।সব দায় আর দায়িত্ব ভাগ করা আছে।আমার ছেলেপুলেরা কেউ পুরী,কেউ গোপালপুর কেউবা কলিংগপতনম ছুটবে,তুমি ভিসার ব্যবস্থা কর জুরিখের। আমি নয় লাখ লোকের গৃহহীন অবস্থাটা দেখাব,তুমি ঢাক পিটিয়ে ধুনুচি নাচো।গোটা পূর্ব উপকূলের একটা বিশাল এলাকা যখন ধ্বংসস্তুপ তখন সব কটা বাঙ্গালীর এন্টারটেনমেন্টের দায়িত্ব তোমার।আহা বেচারাদের সোমবচ্ছর কত কিছু নিয়ে ভাবতে হয়-দাদা থেকে দিদি,পাহাড় থেকে সাগর---চেটেপুটে খাক এই চারটে দিন,মেতে থাক উৎসবে।কেউ যদি শুধু ল্যাদই খেতে চায় তার জন্যও আয়োজনের কমতি না থাকে,সেটার খেয়ালও রেখ।
কেউ একজন বলেছিলেন আমরা সেই কথাই ভাবি যা আমাদের খবরের কাগজ ভাবতে বাধ্য করে।কাল ভেদে এখন কুশীলব বদলেছে,ভাবনাটা অবিকৃতই আছে।