অবভাস রাজর্ষি চট্টোপাধ্যায়
১।
আসলে হাইওয়েটাই সবকিছু গুলিয়ে দিচ্ছে...
সে তাকিয়ে থাকে আর দেখে তার ছোট্ট ঘরের দেওয়ালগুলো শুয়ে, জানলাগুলো নুয়ে আর ছাদ ভুঁয়ে এসে পড়েছে। বাইরে আকাশের দিকে একটা তোরণ, হতে পারে কোন মণ্ডপ আর নহবতখানা। তার আগে মেঘে মেঘে কিছু রঙ হয়েছিল। পৃথিবীর কন্যাদের বিদায়। এই সময়, যে, কন্যে নয়, হাইওয়ের দিকে উঠছিল। পেট্রোল ভ্যানের আলো মাপমত তার পেছনে এসে পড়েছিল। তারপর আর কিছু জানা নেই।
বিষাদ জ্বর নিয়ে গাছগুলো, মনে হয়, দেখেছিল। প্রলাপমারীর মধ্যে ছিল তারা। তাই সে ভাষা পাতায় পাতায় বোনা আছে। কোনদিন পাঠোদ্ধার হতে পারে। এদিকে তোলাবাজরা আকছার দানা ব্যবহার করছে। সন্ধের পর থেকেই শোনা যাচ্ছে সেসব অনিপুণ হাতের কারবার। ভারী ভারী মোটরবাইক সব শহরে ঢুকে পড়ছে। যেসব দোকানীরা ফ্লাইওভার, মেট্রো, মল শুঁকে শুঁকে এসেছিল, তারা হাতের সাথে সাথে ল্যাজও গোটাচ্ছে। হয়েছে বেশ। খচ্চর ছোকরারা যা যা মারাচ্ছিল, তার সাথে সংস্কৃতি মিশিয়ে দিচ্ছে। দেদার। লুটছেও ভাল।
সে শুধু লক্ষ্য রাখছে। হিপ পকেটে একটা ছোট নোটবুক, আর পেন্সিলারদের হাতে যেরকম থাকে ঠিক সেরকম একটা পেন্সিল। সুযোগ পেলেই আঁকিবুঁকি কাটছে। আর এমন ভাবে লেখাগুলো আওড়াচ্ছে যে মনে হচ্ছে বাপের না হলেও তার নিজের শ্রাদ্ধের খরচপত্রাদি। একাজে স্টেশানটা তাকে সাহায্য করছে খুব। স্টেশানের নিচে বাজারচত্বর। সব কটা নেশার ঠেক। মদ্দামাগি। শনিমন্দির লাগোয়া মাদুলির দোকান। গেল শনিবারের শালপাতা যেখানে একটা বাছুর চাটছে, ঠিক তার পাশ দিয়েই হাইওয়েটাতে উঠে যাওয়া যায়। এখন একটা ছেলে আর দুটো মেয়ে উঠছে। আসলে হাইওয়েটাই সবকিছু গুলিয়ে দিচ্ছে।
২।
তার ঘুরন্ত স্কার্টের নিচে অনেকটা টানা শাদা মোজা, যেন পৃথিবীর সমস্ত স্থিতিস্থাপকতাকে স্তব্ধ করে শালীন হয়ে রয়েছে…
বাজারী পত্রিকার শারদীয় সংখ্যায় যেসব মফঃস্বলের কবিদের লেখা ছাপানোর আমন্ত্রণ জানানো হয় নি, তারা স্টেশান পেরিয়ে, এই প্রাচীন রাস্তাটার মোড় পেরিয়ে, বহু জন্মের নার্সিংহোমটার ঠিক নিচে, অফ্-সপটার সামনে, বাওয়াল দেয়। আর নক্কা ছক্কা নেশার পর যাদের লেখা ছাপা হয়েছে তাদের মা-মাসি করে। এরকমই একটা চাপের সন্ধ্যায় সে সেই নার্স-দিদিমণিকে নার্সিংহোমের সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসতে দেখে ও দেখতে থাকে। তার ঘুরন্ত স্কার্টের নিচে অনেকটা টানা শাদা মোজা, যেন পৃথিবীর সমস্ত স্থিতিস্থাপকতাকে স্তব্ধ করে শালীন হয়ে রয়েছে।
আর ঠিক তেমনই তার শাদা জুতো।
নার্সদের প্রতি পক্ষপাতিত্বের কারণেই সে বাওয়াল দৃশ্য ত্যাগ করে তাকে অনুসরণ করে। ফোর পয়েন্ট ক্রসিঙে যে একটা নিদারুণ শাদা গাড়ি যে একটা নিদারুণ লাল আলো জ্বালিয়ে অপেক্ষা করছিল, দিদিমণি এসে সে-টাতে উঠে পড়ে। গাড়িটা শান্ত ও স্নিগ্ধ ভাবে গড়াতে শুরু করে, যেন তার অ্যাক্সিলিয়েটরে চাপ পড়তেই সন্ধ্যে হেলে যায়। আর ঠিক সে সময়েই, ভারী মোটরবাইকটা, এই দৃশ্য-কাব্যের মধ্যে জোর করে ঢুকে পড়বে বলে, সাইলেন্সর পাইপ ফাটিয়ে, গর্জনরত অবস্থায় গাড়িটার পিছু নেয়। এরপর আর কিছু জানা নেই। কারণ, জানা যায় না।
সে আবার অন্যমনস্ক হয়ে পড়ে। গুনে গুনে দুটো হোঁচট খায়। কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্টকে সময় জিজ্ঞাসা করে। কাঠিকাবাব রোলের দোকানটা বন্ধ দেখে মনঃক্ষুণ্ণ হয়। তারপর তার ডেরায় ঢুকে পড়ে।সেদিনের যা যা অনুসন্ধান নোটবুকে লিখে ফেলে। পেন্সিলটাকে ভাঁজে যত্ন করে রাখে।
এ সময়ে মোবাইলটা দুলে দুলে ওঠে। শব্দ তার কাছে বিভীষিকা বলে সে ওটাকে নিথর করে, ঠিক সেই নির্দেশে, যেভাবে ভাষ্যময় গলায় থিয়েটার শুরুর আগে রেকর্ডেড বাজানো হয়। সে অজান্তে হেসে উঠে। নিজেকে হেসে উঠতে শুনে একটু লজ্জিতও হয়। কারণ, তার বুকশেলফের পেছনে আর একটুও তলানি স্কচ নেই। যে কলটা ইনকামিং, সেটা তাকে আরও কিছু সময় বিব্রত করবে। তার আগে গলায় ঢেলে দিতে পারলে হত। কান দুটো গরম আর ভারী পড়ত। সে বাদ দিতে দিতে শুনত। তারপর না হয় বাদানুবাদে যেত।
৩।
... তখন ঠিক কী কারণে আকাশে একটা তারাবাজি ফুটেছিল...
ফ্লাইওভারের ঠিক নিচে তাকে যখন ফেলে যাওয়া হচ্ছিল, তখন ঠিক কী কারণে আকাশে একটা তারাবাজি ফুটেছিল, তা অন্যান্য অনেক কিছুর মতই জানা যায় না। ট্রাকের খালাসিরা, এক-দুজন করে, এক্সপ্রেসওয়ের ওধার থেকে প্রাতঃক্রিত্য সেরে নেমে আসার সময়ে তাকে দেখে। তবে, তাকে দেখার মত শুধু যা ছিল, তা তার অনিন্দসুন্দর গোড়ালি। এই একটা ভাবেই তাকে শনাক্ত করা যেত। আর সেটা একজনই পারত। বাকি কিছুর জন্য ফরেন্সিক রিপোর্টের অপেক্ষা করতে হবে।
প্রথম রাতটায় সে বিশেষ একটা ঘুমোয় নি। তবে একটা ঘোর ছিল। বেশ কিছু ছায়া ও ছবিরা তার ঘরের উত্তরমুখো দেওয়ালে হেঁটে বেড়াচ্ছিল। ওই দেওয়ালের জানলা থেকেই এক্সপ্রেসওয়েটা দেখা যায়।
সে ভোরবেলা ঘুমিয়ে পড়েছিল। যখন সে ওঠে, বেলা গড়িয়ে গেছে। সমস্ত প্রামাণ্য সাক্ষ্য-চিহ্ন সহ। জটলারা আরও দূরে দূরে ছড়িয়ে পড়েছে। কথারাও কান থেকে কানে ছড়াতে ছড়াতে হাওয়াকথা হয়ে গেছে।
৪।
শালা হিজড়ের দল। সব কটার এক রা…
--খুব বেশি বাওয়ালি হচ্ছে...
লেখালেখির গাঁড় মেরে রেখে দেব
--হুঁ
-- হুঁ কি রে, বে? শ্লা...
--মাদারচোদ, সামনে এসে বল...
--দাদা হয়ে গেছ, সম্পাদকের দপ্তর পর্যন্ত এখন নাক গলাচ্ছ...
--মা,বউ, বউদিমণি সবার কোল ফাঁকা করে দেব
সে মনে করতে চাইছিল ঠিক কী ঘটেছিল, বাওয়ালটা কী নিয়ে কারা দিচ্ছিল...
এরপর কিছু মনে পড়ছিল না। আর কী নিয়ে দিতে পারত! দু আনার আবগারি। অল্প দাড়ি, পাঞ্জাবি গায়ে হাফ নেতা গোছের ছেলেটার চাকরিটা পর্যন্ত বদান্যাতায় পাওয়া। পাশেরটা রেহ্যাব থেকে সবে ফিরেছে। রেগ্যুলার উইথড্রয়াল।
শালা হিজড়ের দল। সব কটার এক রা।
তারপর সে রিপোর্টের দাগানো অংশগুলো আর এক বার দেখতে লাগলঃ
On December 14, 2012 Investigator Mr. Y of Kolkata Police, Law Enforcement Department sent me a sample to determine if the odor present in the sample was indicative of a decompositional human event.
… … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … …
However, a Secret Service agent asserted that a hair found on the white car window proved that Ms. X was sitting by the back passenger window, not out of range of the gun.
… … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … … …
I’m willing to testify this fact in a court of law and I will prove to the court that my opinion is correct. My Curriculum Vitae is attached and incorporated herein by reference.
Respectfully submitted,
Z
পি. এইচডি. রিসার্চ সাইন্টিস্ট তার প্রিলিমিনারি রিপোর্টে যে তথ্যাদি জানিয়েছিলেন।
৫।
পেন্সিল বললেই ছোটবেলা নটরাজ হয়ে যায়...
সেদিন সকালবেলা সে যথারীতি হাঁটতে বেরিয়েছে। ব্যারাকপুর কমিশনারেট ফর য়্যু আলো ফোটার আগে থেকেই কর্তব্যরত। ফোর-পয়েন্ট ক্রসিঙের গোলচাক্কিটাতে রং ঝলমল করছে। টুনিও জ্বলছে। নিবছেও। সে এক হয়েছে মজার। কী, কেন, কবে, কোথায় অপ্রয়োজনীয়। একটা কিছু লাগিয়ে দাও। গোটা শহরটাই একটা চাঁদমারি। লাগাতে পারলেই হবে। দাউ দাউ হবে। হচ্ছেও।
নিজের মনে বকতে বকতে এক সময় বকা ছেড়ে সে গতি বাড়াল। ঘামে ভিজতে হবে। কেউ রক্তে। সে সব পরে ভাবা যাবে। মানিকের ‘সমুদ্রের স্বাদ’ গল্পটা তার মনে পড়ল। সে পড়াত। না, দম বাড়িয়ে নাও। চোখের ওপর আর জুলপিটাতে ঘাম সামান্য চিকচিক করছে। রাজরোগ বলে কথা। নিয়ন্ত্রণে রাখ। নাহলে তারিয়ে তারিয়ে ফুটে যাও। অবশ্য কাউকে হিসেব দাখিল করার নেই। কিন্তু প্রত্যেকেরই তো নিজের কাছে নিজের একটা লেনা দেনা থাকে। তার মাপের নিজস্ব একটা হিসেবের খাতাও থাকে। তার ভাঁজে একটা টুকরো পেন্সিল।
পেন্সিল বললেই ছোটবেলা নটরাজ হয়ে যায়।
সেই পরাগ না কেশরে স্মৃতি লেখায় সে পেন্সিলটাই মনে করতে পারে নি। আবার একটা মেমরি-গেম খেললে কেমন হয়!
হাঁটতে গিয়ে উল্লেখযোগ্য সে যা যা দেখেছেঃ
১। শারদীয়া ও দীপাবলীর শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। বুড়ীমার শব্দবিহীন আতসবাজী। বেলুড়, হাওড়া।
(সব কটা বানান নির্ভুল ছিল)
২। Xpert Tutorial, WB Board, ICSE & ISC, CBSE, VII- XII, NEET, JEE
Also Home Tutors Available for All Subjects.
৩। উত্তর ২৪ পরগণা জেলা কমিটির ডাকে, ১লা এপ্রিল, প্রগতি সংঘের মাঠে বিশিষ্ট মার্ক্সবাদী
কমিউনিস্ট নেতার স্মরণ সভা।
ঠিক তার পাশেই-
৪। সাম্রাজ্যবাদ অনুসৃত কর্মসংকোচনের নীতির বিরুদ্ধে কর্মসংস্থান ও শিল্পায়নের দাবীতে যুব সমাজ
এক হও। (পাশে চে ও তারার ছবি)
৫। MAGMA GOLD LOAN (ম্যাগমা গোল্ড লোন) টোল-ফ্রী নম্বর 1800 3002 3200
৬। Entertainment, Real Estate & Food Hungama…
সে খুব মনে করতে চাইল ইভেন্টটা কোথায় ছিল। বাল, এগুলো তার কাজ!
৬।
অক্কা আর ফক্কার মিল মিশেলে কানাঘুষো ছড়াটা কেমন হত, সে যখন ভাবছে তখনই ফোনটা কাঁপুনি দিয়ে উঠল।
জমে গেছে। শচীন কত্তার গানের মত। বাঁশি শুনে আর কাজ নেই। এখন খালি হুটার শোন আর লাল বাতি থেকে আলো ছিটকে পড়া দেখ। কানাঘুষো একটা ছড়াও শোনা যাচ্ছে, শোন সেটাঃ
ফকিরের কানা চোখে
রাতফুল ফোটে
চাতকেরা উড়ে উড়ে
চাঁদমারি লোটে
কানা ফকিরটাকে তাকে রক্ষা করতে হবে। চানা দিতে হবে আর পানি। সে অক্কা পেলে চলবে না। তাহলে সব ফক্কা। অক্কা আর ফক্কার মিল মিশেলে কানাঘুষো ছড়াটা কেমন হত, সে যখন ভাবছে তখনই ফোনটা কাঁপুনি দিয়ে উঠল। আধার কার্ডের নিচে ফোনটা ছিল। কাঁপতে কাঁপতে মুখ বাড়াল। মুখে অস্বস্তির রেখা। তারও মুখে চোখে জুড়ে বসল।
যে আলালের পো ফোনটা করেছে, সে তাকে চেনে। স্রিফ ছেনালি।
কিন্তু সে ততক্ষণে মাইন্ড গেম শুরু করে দিয়েছে।
অ্য্যপোলোতে সে যখন বসেছিল, খুব মনে করতে চাইল, কী দেখেছিল সে!
1st Floor (দ্বিতীয় তল)
Echocardiography (ইকো)
Ultrasound (ইউ এস জি)
Pulmonary Function Test (PFT)
Tread Mill Test (TMT)
Breathe Easy Clinic
Electro Cardio Graphy (ECG)
আর একটা সতর্কীকরণ ছিলঃ
Please Switch off Your Mobile Phone inside Consultation Suit
আবার ফোনটা দুলুনি দিয়ে উঠল...
৭।
ওর মনস্তাপ। জন্মের। জন্মান্তরের…
খুব ছোটবেলা থেকে লাল আকাশ তার বড় প্রিয়। আকাশের রং লাল। কবে কবে আকাশ লাল হত, তার একটা গোপন নথি, প্রায় দশ বছরের, তার কাছে আছে।
সেদিনও আকাশ লাল হয়েছিল। যখন লাল আকাশের দিকে সে মাথা তুলে, চোখ নিচে নামিয়ে রেখে খানিকটা ক্লান্ত শুয়েছিল। যেন নাইট ডিউটি ছিল তার, আর ভোর রাতের তন্দ্রা তাকে যেভাবে পেয়ে বসত। তার অনিন্দসুন্দর গোড়ালিতে সেই লাল রং মাখা ছিল।
সে এটা ভাবছে, ভাবতে থাকছে। আর গোপন নথি থেকে মিলিয়ে নিচ্ছে দিন-মাস-বছরের হিসেব। যদি কোন যোগসূত্র টানা যায়।
চাঁদমারি লুটতে চাইছে কারা?
সে তখন তার বুক শেল্ফের পেছন থেকে ’১০ সালের একটা ডায়েরি বের করে আনল। খবরের কাগজে মোড়া। তুলটে নেত্রীর মুখ, জ্বালাময়ী। এর পরের ইতিহাস ক্রমশ লেখা হবে।
১৩/০৩/১০
মধ্যরাত্রি
একটা আত্মরতির পর কই আর নিজেকে অসহ্য লাগে না তো। বরং, মনে হয় নিজের ভেতর নিজেই ফেঁপে ফুলে উঠছি। আত্মজার মত। নিজের শ্রোণিদেশ নারীর মনে হয়। নিজের দু হাত! এক হাত পুরুষের মর্দনের মতই তো, অন্য হাতে অনামিকার আংটি পর্যন্ত যোনির নম্র নরম ছুঁয়ে ছেনে যায়। তারপর তার সাথে যোগ হয় মধ্যমা। বুকের ওপর সরু সোনার চেইনটা সবচেয়ে বেশি আন্দোলিত হয়, তারপর পায়ের মল। চোখদুটো ছাদের দিকে আটকে থাকে, যেখানে লাল রং সবচেয়ে বেশি পুরু আর ঘন। পায়ের দিকে তাকাতে ভয় হয়। এক কোণে চেয়ারে ও বসে আছে। কোলে নোট বুক। হাতে ধরা পেন্সিল। যতক্ষণ না উঠে এসে আমার পাদুটো কাঁধের ওপর তুলে নিচ্ছে। মুখের মধ্যে পুরে নিচ্ছে বুড়ো আঙুল। ওর মনস্তাপ। জন্মের। জন্মান্তরের।
মাদারচোদ, আলালের পো-কে হাতের সামনে পেলে হত। বুকের দানা ফোটানোর সেই সব দিন থেকে সে অযত্নে বেরিয়ে এসে এখনি গুহ্যের ভেতর দানা ফোটাত। দেখত আর দেখাত হোলির কারবার।