সম্পাদকীয়
আজ বৃষ্টি আসুক বা না আসুক জানি তুমি আমি দূর শহরের বাসিন্দা। দাঁড়িয়ে আছি কাঁটাতারের বেড়ার মাঝে। যেখানে আমরা আসতে পারি অথবা নাও আসতে পারি। তোমার আমার পরস্পরের প্রতি কারোরই কোনো দাবী খাটবে না আর কোনোদিন। তবু কবিতা ছিল আছে থাকবে। কাঁটাতারের কাঁটায় কাঁটায় ফুটিয়ে তুলবে রসকলি। এখন বৃষ্টিঋতু। বৃষ্টি আসুক বা না আসুক জানি তুমি আর আসবে না কোনোদিন। তবু যে কটাদিন কাটিয়ে গেছ আবিশ্ব বাংলায়, ভিজিয়ে দিয়েছ সম্পর্কের ইতিহাস, জারিত করেছ বিরহ রঙ আগুনে আগুনে। ফাগুনে ফাগুনে। আজ বৃষ্টিঋতু। বৃষ্টি আসুক বা না আসুক জানি তুমি ছিলে, তুমি আছো, থাকবে। ফিরে ফিরে আসবে ষড়্ঋতুর সমস্ত রঙ্গ নিয়ে।
বৃষ্টির ঝাটে এলোমেলো মন। সূচিপত্রের পাতাটিও ভিজে গিয়ে ঝুপ মেরে বসে আছে একঘর মনখারাপের ভিতর। বর্ষায় সব বন্ধুদের না পাওয়ায়। খালি খালি লাগছে মনের মধ্যে। ধূ ধূ ফাঁকা মাঠের মতোই আকাশও আজ বিষণ্ণতা ঢেলে দিয়েছে আমাদের অন্তপুরে। জানালার কাঁচ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে বৃষ্টিরেখা। তার পিছু ধরে বহু বহুদূর চলে যায় মন ও মানুষ। তবু যখন বৃষ্টি নামে মনে পড়ে যায় বৃষ্টিতে হেঁটে যাওয়া মানুষের কথা।
আর মনে পড়ে, যাঁরা এখন শুধুই বৃষ্টি দেখে। ঘষা কাঁচের আড়াল থেকে দেখে এক জানলা ভেজা আয়ত পুরুষ-প্রকৃতি, দেখে কাকভেজা বারান্দাটার গায়ে লেগে থাকা এলোমেলো আকাশের প্রতিচ্ছবি। যাঁরা ভিজে যাওয়া পাখিটার আর ভেজা মাটির সোঁদা গন্ধ আকণ্ঠ পান করে মন ভরে... অথচ তাঁরাই বৃষ্টিতে হেঁটেছিল কোনো এক বৃষ্টিকালে। এবং যাঁরা বৃষ্টিভিজে হাঁটতে চায় আরো আরো আরো বৃষ্টিপথ। এগিয়ে যেতে চায় পরশমণির আনন্দে। হয়তো একদিন যাঁরা স্থান করে নেবে মেঘ-বৃষ্টি-আকাশের অন্তরাত্মায়। এই সব নিয়েই তো আমাদের সক্কলের “ক্ষেপচুরিয়াস”। যে জানে সেই বৃষ্টিভেজা মানুষগুলোকে আবার ‘মেঘ-বৃষ্টি-আকাশ’এর নীচে দাঁড় করাতে। জানে, বৃষ্টিপথে নবীনদের এগিয়ে যাওয়ার সাহস জোগাতে। আর এভাবেই, বৃষ্টি আসুক বা না আসুক “ক্ষেপচুরিয়াস” হেঁটে যাবে অনন্ত বৃষ্টিপথ ধরেই...
“ক্ষেপচুরিয়াস”এর পক্ষে -
ইন্দ্রনীল তেওয়ারী এবং বাণীব্রত কুণ্ডু
আজ বৃষ্টি আসুক বা না আসুক জানি তুমি আমি দূর শহরের বাসিন্দা। দাঁড়িয়ে আছি কাঁটাতারের বেড়ার মাঝে। যেখানে আমরা আসতে পারি অথবা নাও আসতে পারি। তোমার আমার পরস্পরের প্রতি কারোরই কোনো দাবী খাটবে না আর কোনোদিন। তবু কবিতা ছিল আছে থাকবে। কাঁটাতারের কাঁটায় কাঁটায় ফুটিয়ে তুলবে রসকলি। এখন বৃষ্টিঋতু। বৃষ্টি আসুক বা না আসুক জানি তুমি আর আসবে না কোনোদিন। তবু যে কটাদিন কাটিয়ে গেছ আবিশ্ব বাংলায়, ভিজিয়ে দিয়েছ সম্পর্কের ইতিহাস, জারিত করেছ বিরহ রঙ আগুনে আগুনে। ফাগুনে ফাগুনে। আজ বৃষ্টিঋতু। বৃষ্টি আসুক বা না আসুক জানি তুমি ছিলে, তুমি আছো, থাকবে। ফিরে ফিরে আসবে ষড়্ঋতুর সমস্ত রঙ্গ নিয়ে।
বৃষ্টির ঝাটে এলোমেলো মন। সূচিপত্রের পাতাটিও ভিজে গিয়ে ঝুপ মেরে বসে আছে একঘর মনখারাপের ভিতর। বর্ষায় সব বন্ধুদের না পাওয়ায়। খালি খালি লাগছে মনের মধ্যে। ধূ ধূ ফাঁকা মাঠের মতোই আকাশও আজ বিষণ্ণতা ঢেলে দিয়েছে আমাদের অন্তপুরে। জানালার কাঁচ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে বৃষ্টিরেখা। তার পিছু ধরে বহু বহুদূর চলে যায় মন ও মানুষ। তবু যখন বৃষ্টি নামে মনে পড়ে যায় বৃষ্টিতে হেঁটে যাওয়া মানুষের কথা।
আর মনে পড়ে, যাঁরা এখন শুধুই বৃষ্টি দেখে। ঘষা কাঁচের আড়াল থেকে দেখে এক জানলা ভেজা আয়ত পুরুষ-প্রকৃতি, দেখে কাকভেজা বারান্দাটার গায়ে লেগে থাকা এলোমেলো আকাশের প্রতিচ্ছবি। যাঁরা ভিজে যাওয়া পাখিটার আর ভেজা মাটির সোঁদা গন্ধ আকণ্ঠ পান করে মন ভরে... অথচ তাঁরাই বৃষ্টিতে হেঁটেছিল কোনো এক বৃষ্টিকালে। এবং যাঁরা বৃষ্টিভিজে হাঁটতে চায় আরো আরো আরো বৃষ্টিপথ। এগিয়ে যেতে চায় পরশমণির আনন্দে। হয়তো একদিন যাঁরা স্থান করে নেবে মেঘ-বৃষ্টি-আকাশের অন্তরাত্মায়। এই সব নিয়েই তো আমাদের সক্কলের “ক্ষেপচুরিয়াস”। যে জানে সেই বৃষ্টিভেজা মানুষগুলোকে আবার ‘মেঘ-বৃষ্টি-আকাশ’এর নীচে দাঁড় করাতে। জানে, বৃষ্টিপথে নবীনদের এগিয়ে যাওয়ার সাহস জোগাতে। আর এভাবেই, বৃষ্টি আসুক বা না আসুক “ক্ষেপচুরিয়াস” হেঁটে যাবে অনন্ত বৃষ্টিপথ ধরেই...
“ক্ষেপচুরিয়াস”এর পক্ষে -
ইন্দ্রনীল তেওয়ারী এবং বাণীব্রত কুণ্ডু