সম্পাদকীয়
ঠ্যালা
অতি বিষম বস্তু । এর পাল্লায় পড়লে বেড়াল নির্দ্বিধায়
গাছে চড়ে। দিব্যি ছিলাম গায়ে হাওয়া
লাগিয়ে, চোঁয়া ঢেঁকুর নিয়ে । দুর্গাঘাট থেকে পাণ্ডবপুর
- কিছুই সেভাবে না এড়িয়ে যেমন থাকা আরকি !
হঠাৎ শুনলুম ঢাকের আওয়াজ । বাড়ির পাশেই কুমোরপাড়ায় কারা যেন ঠাকুর নিয়ে
যাচ্ছে । বৃষ্টিও কমে গিয়ে আকাশও
কেমন একটা মন কেমন করা রোদ ছড়িয়ে দিল । খবরের কাগজের হকার, বিনুমামা বাড়িতে দিয়ে গেল আনন্দমেলা । ব্যস্, মনে হল পুজো এসে গেছে । চারদিকের হাজার ডামাডোল, কুৎসা,
লবিবাজি, মহার্ঘভাতার ক্যাঁচক্যাঁচানি; এক নিমেষে পাল্টে গেল এক অসামান্য সুন্দরী, গর্জনতেল মাখা, আয়তাক্ষীর আবাহনে। এই সেই সময়, যখন বাঙালি সব ভুলে ভালোবাসায় মেতে ওঠে। আর পুজো মানেই পুজোসংখ্যা। নড়ে উঠলো পোকা, আর তার ঠ্যালায় পাক্কা একবছর বাদে আবার
চেষ্টা করলাম সব্বাইকে নিয়ে একটা সংখ্যা করার। অতি অল্প সময় পেয়েছি, তবুও প্রায় সকলেই ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। ব্যস্ততার মধ্যেও লেখা দিয়েছেন। তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাবো
না, সবাই আমার প্রিয়জন । শুধু বলি, ভালোবাসার বিকল্প নেই ।
পুজো
খুব ভালো কাটুক । ভালোবাসার মানুষকে আঘাত
না করে সময় দিন । মেরুদণ্ড সোজা রেখে ভালো
থাকুন সকলে ।
ক্ষেপচুরিয়াসের পক্ষে
মিলন চট্টোপাধ্যায়