শুক্রবার, ৩১ মে, ২০১৩

মুক্তগদ্য - তন্ময় গোস্বামী

আমাদের কথা
তন্ময় গোস্বামী


তারপর আর কোন কাজ রইলো না। সারে চার হাত মাটি আর তোমার মুখ- কীর্তনের মতো করুণ। তবু হেঁটে যাওয়া থেমে থাকেনি। দুই বন্ধু আর ভালুকের গল্প মনে রেখে আমাদের পথ এগিয়েছে আরও দূরের পথে। আমরা মাঝে মাঝে পিছনে ফিরে দেখেছি প্রিয় আয়না। মুখ আর মুখোশের অভিমান ঝরে পড়ে শীতসন্ধ্যায়। কালিমাতা কোল্ড ষ্টোরের মালিকের ছেলে আমারও বন্ধু-এ কথা সারা জীবনে আরও কতবার বলতে হবে তারই একটা অঙ্ক নিয়ে সেই থেকে বসে আছি । সিঁড়িভাঙ্গা সকাল পেরিয়ে দুপুর। পুকুরের পাড়ে একটা কুনো ব্যাঙ ডেকে চলেছে একটানা। আহাঃ। আজ এই সুর আমার খুব প্রিয়।

আমি কি লিখব তোমার কথা, এবং কথকথায় তুলসির সন্ধ্যা মঞ্চে আজ এতো মানুষ একসাথে। নাম সংকীর্তন। আমি একটা সিগারেট ধরাই ডান হাতে। বাঁ হাত পকেটের ভিতর খুঁজি দেশলাই। আমার যৌনতা। একটা মরে যাওয়া কি এতই সহজ।

চারপাশে মাঠে ছাগল চড়ে বেড়ায় আমার গ্রামে। আমি একটারও নাম জানি না ওরাও আমাকে ভিনদেশী মনে করে দূরে দূরে হেঁটে বাড়ি ফিরে যায় রাখালির সাথে। আমি কাল জেনেছি পৃথিবীর সবথেকে দামী ও সুস্বাদু চীজ তৈরি হয় গাধার দুধ থেকে। আর এই ছিল ক্লিওপেট্রার সৌন্দর্যের রহস্য। আমাদের দেখা হয়নি কখনও কেবল এই চলে যাওয়ার আগে বাঁ হাত দিয়ে পকেটের ভিতর খুঁজি দেশলাই। আমার যৌনতা। একটা মরে যাওয়া কি এতই সহজ।

এখন দ্যাখো জানলায় এসে দাঁড়িয়েছে বেদুইন রাত। আমার একটা লাল ছিল আমি হারিয়েছি জ্যোৎস্নায়। ২ বছর আগে একদিন যেভাবে হারিয়েছিলাম আমার এটিএম কার্ড আর পাসপোর্ট।

মেট্রোর ভিড় ঠেলে যে মেয়েটি কাজে যায় প্রতিদিন। পরদিন যখন রাখালি ছাগল চড়াতে আসে ঠাকুরবাড়ির মাঠে। আমার কেবল বসে থাকতে ইচ্ছে করে তখন তোমার মূর্তির সামনে।মায়ের মতো একা একা ভয় চোখে।

একটা চলে যাওয়া কি এতই সহজ।