আমি যা পারিনি
মৃতের পাহাড় ঠেলে বেরিয়ে আসছে
রাস্তা ,
একটি রথ !
কবিতার পাতায় ধুম জ্বর।
সাদা ডানার নার্স
আমাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখে
মর্গের ভেতর
জঠরে শুধু কাগজ ঠাসা।
এতো কবিতা খেয়েছিলাম যুদ্ধের রাতগুলোতে !
অসহায় রাতগুলোতে !
রাস্তা ধরে ঈশ্বর হেঁটে যাচ্ছেন ,
পৌরসভার সাফাইকর্মিরা সব গেলো কোথায় ! এতো যন্ত্রণা সাফ হওয়া চাই ।
তোমাদের চাঁদ বেনে
ফুল্লরার গল্প জানত ?
আমি জানতাম ।
দুটো সময় । দুদিকে হাঁটে ।
ট্রাম লাইনের ধারে ঝুলন্ত শব
ফিটন গাড়ি ধরে নব দম্পতি
খলখল হাসিতে চাঁদ ঝরে পড়ার দৃশ্য ।সিটি সেন্টারে জঙ্গল-মহল ।হাউস-ফুল ।
মৃত্যুর আগে আমি অনেকক্ষণ দাঁড়িয়েছিলাম গ্যাসের লাইনে
মূল্যবান সময়গুলো নষ্ট হয়ে গেছে অপেক্ষায়!
রাস্তা শেষ ।
আয়রন স্যাফে গোপন কুঠুরিতে রাখা দুটো ডানা ।
পারলে নিও ।
আমি যা পারিনি ...
মালিক
রক্ত চুইয়ে পড়ছে ইটের ভেতর থেকে
কেউ দেখছে না ,
একটা মানুষ যার অনেকগুলো হাত ।
নৃশংস ভাবে হত্যা করছে আমাদের ।
হৃৎপিণ্ড থেকে খুবলে নিচ্ছে সোনালী ফসল ।
অর্থের প্রাচুর্যের ওপর ডান পা রেখে
ঈশ্বর হয়ে উঠছে ক্রমশ!
কেউ দেখছে না ।
যানজট ধোঁওয়া আর শেয়ার বাজার ...
নিজেকে ব্যক্তিগত করে ফেলছি ।
নিফটির কাঁটা উঠলে ওপর দিকে
চুমু খাই শব্দ করে ।
ঈশ্বর বুকের ওপর পা দিয়ে
আরও ওপরে উঠতে যাচ্ছেন ।
তাঁর গা দিয়ে আলো নামছে ।
আমরা খোল করতালের সাথে সাথে পা মেলাচ্ছি ।
একটা বৃষ্টির অপেক্ষায়
বৃদ্ধ হচ্ছে আমাদের পাঁজর ,
বিচ্ছিন্ন আঙ্গুলগুলো ।
তারপর কেঁচোর মতন একদিন মাটিতে মুখ লুকিয়ে মরে যাব ।
ঈশ্বর আরও বড় ঈশ্বর হয়ে উঠবেন ক্রমশ
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন