সম্পাদকীয়
খাতায়-কলমে এখন ‘মৃদুল মধুর বংশী বাজা’র সময়। যদিও আমাদের চারপাশে সারাবছরই পাতাঝরার মরশুম ,তবু তার মধ্যে থেকেই একটু আবীর আর একটু কোকিলের ক্যানভাস জানান দেয়,সে এসেছে। ভোরের শীত আর ছাড়তে না-চাওয়া স্বপ্ন তাকে ধরে রাখে,সন্ধেবেলা ছাদে দাঁড়ালে বোঝা যায় - ‘দক্ষিণ দিক’ বলে একটা কিছু আছে। এমন অদ্ভূত সময়ে কবিতার ছোঁয়া পেলে আড়াইফুট বাই দশ ইঞ্চি আকাশটাও নীল হয়ে ওঠে,যেন প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে আয়নায় একবার দেখে নিচ্ছে নিজেকে। কারো জানলা রোদ ঝলমলে তো কারো জানলা মেঘমুখর। তবু,খোলা থাকেই। নইলে চাদরমুড়ি দুর্গ একসময় অন্ধকূপে বদলে যাবে!
আমাদের বেঁচে থাকার বড্ডো প্রয়োজন। আরো বেশি প্রয়োজন তাদের জন্য,যারা কোনো এক সকালে কালো-কালো খবরের পাশেই দেখতে পাবে হাসিমুখ বাংলাভাষা ঠাকুরমার ঝুলি থেকে উঠে আসছে জিয়নকাঠি হাতে। এবং হেডলাইন হবে – ‘বসন্ত’। সেই আনন্দেই সাড়ে-সাতটার রোদে নিয়ে এলাম সবাইকে। সূর্য উঠে গেছে, ফুল তোলাও শেষ, বাজারের থলি নিয়ে বেরিয়ে পড়ার আগে বারান্দার মেঝেটা আরেকটু নতুন করে দেখার সুযোগই দিলাম না হয়! ভালো থাকবেন।
- তন্ময় ভট্টাচার্য
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন