রবিবার, ২ মার্চ, ২০১৪

হারানো কবিতা – বাসুদেব দেব



চাউনি


শরীরের থেকে চোখ উড়ে গেল
প্রজপতি হয়ে কোন বসন্ত বাগানে
এখানে রয়েছে দৃশ্য, ব্যাভিচার
এখানে শ্মশানঘাটে জ্বলন্ত
অঙ্গারেরা দুটি
মিশে যেতে চায় জলে মাছেদের দলে
নারীর গলিত শব খুঁটে খেতে
অতৃপ্ত অশান্তি থেকে দূরে তোমার বাগানে
সাংবাদিকহীন এক পবিত্রতা
অপার্থিব আলোকে ও রঙে
ক্রমশ স্বর্গীয় হয়ে ওঠে ,
অথচ কি অবাস্তব
আজকের কবিরা তা জানে
আজকাল ঘোর কালো রোদ চশমার
চল খুব বেশি , আর
অন্ধকার মনে হয় বান্ধবের মতো



ঘুম

ইন্টারনেটের জটিল বুনন থেকে
উঠে এসেছে অনিশ্চয়
ছুঁচলো ঠোঁট অবিশ্বাসী চোখ
খুঁটে খায় সম্পর্ক , কবিতা, অভ্যাস
ভাষা বিনিময়ের মধ্যে রহস্যময় কুয়াশা
ভেসে বেড়ায়
সংখ্যা সংকেতের মধ্যে জ্বলে ওঠে অনন্তের
হৃদস্পন্দন

সেই মোহময় ঘোর নীল বিপর্যয় থেকে
সদ্য উঠে আসা কিশোরী
পালিশ করা নখে টুকে নিচ্ছে মহাকাশ
ভেসে যাচ্ছে গায়ত্রীগান অপরিপূর্ণ মেঘমন্ত্র...

অংক আর অক্ষরের মধ্যে কখন ঘুমিয়ে পড়েছে
আমার রাই কিশোরী, আহা

শব্দের মধ্যে অর্থ

(কবি বাসুদেব দেবের ( ১৯৩৬ – ২০১২) , ১৯৯৭ – ১৯৯৯ সালের ডায়রি থেকে এই কবিতা গুলিকে বেছে দিয়েছেন বাসুদেব দেব সংসদের স্বত্বাধিকারী , কবিপুত্র পূষন দেব । পূষন জানাচ্ছেন যে , বাসুদেব দেব তাঁর প্রকাশিত কবিতা গুলি সাল – তারিখ এবং প্রকাশিত সাহিত্য পত্রের নাম দিয়ে লিখে রাখতেন । এই ধারা বজায় আছে শেষ পর্যন্ত । উপরের কবিতা গুলিতে প্রকাশিত সাহিত্য পত্রের নাম পাওয়া যাচ্ছেনা , শুধু জানা যাচ্ছে ১৯৯৭ সালে এগুলি লিখিত এবং কোন কবিতা সঙ্কলনে মুদ্রিত নয় । এর ভিত্তিতেই ক্ষেপচুরিয়াসের অনুরোধে , পাঠকের কাছে নিবেদন।)