নৃ+ঈ=নারী, প্রয়োজন পারস্পরিক
শুধু নারী সংখ্যা কেন? কি প্রয়োজন? এখানেও সংরক্ষণের ভাঁওতা? অনেক বিতর্ক সার বেঁধে দাঁড়িয়ে রয়েছে মঞ্চের পর্দার ওপারে। কতগুলো ট্রান্সপারেন্ট মাথা তার মধ্যে চেনা বুদ্ধিপাক যন্ত্র কিন্তু তার ঘূর্ণন অচেনা। টাইফুন-সুনামি না হ্যারিকেন? না এসব কিছুই নয় পুরনো থ্রিডিগুলোকে টুডি ফ্রেমে গিলতে গিলতে ইদানীং বুদ্ধিপাক যন্ত্রটা ঘেঁটে গেছে। সেটাকে সাইজ করে নিতে চলুন সবাই মিলে নারী পুরুষ নির্বিশেষে টান দিই পর্দার দড়িতে।
উইকিপিডিয়া ঘাঁটলে গুরুগম্ভীর টাইপের কিছু একটা বেরিয়ে আসবে যেমন “নারী বলতে পৃথিবীর অন্যতম প্রাণী মানুষের স্ত্রী-বাচকতা নির্দেশক রূপটিকে বোঝানো হয়। এর বিপরীত পুরুষ, নর প্রভৃতি। সংস্কৃত নৃ শব্দটি থেকে নারী শব্দটির উৎপত্তি (নৃ+ঈ=নারী)। বিভিন্ন আসমানী কিতাব যেমন বাইবেল, কুরআন ইত্যাদি অনুসারে ‘হাওয়া’ পৃথিবীর প্রথম নারী বা মানবী। ‘নারী’ শব্দটি সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী-মানুষের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেখানে ‘মেয়ে’ শব্দটি ব্যবহৃত হয় স্ত্রী-শিশু বা কিশোরীর ক্ষেত্রে। তাছাড়া বয়সের বাধা ডিঙিয়েও ‘নারী’ শব্দটি সমগ্র স্ত্রী-জাতিকে নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হতে পারে।” কিন্তু কীভাবে নারীর পা পড়ল মাটিতে? না আমি কোনো বিজ্ঞানের ফাণ্ডা দিয়ে চ্যাপচ্যাপে কাদা মাখাবো না। তারচেয়ে বাইবেল ওল্ড টেস্টামেন্টের দিকে তাকানো যাক। ঈশ্বর পৃথিবী বানালেন। এক বালতি আলো হাওয়া প্রকৃতি প্রান ঢেলে দিয়ে অবাক হয়ে তাকালেন তার বানানো সব থেকে সুন্দর সৃষ্টির দিকে। কিন্তু না কোথাও যেন কিছু বাকি রয়েছে। অনেক মাথা চুলকানোর পর নিজের হাতে তিনি মাটি দিয়ে বানালেন পুরুষ-প্রাণ প্রতিষ্ঠা করলেন। তাতেও ঝামেলা পুরুষটি বড্ড একা তাই প্রয়োজন হোল তার যোগ্য সঙ্গীর। ঘুম পাড়ালেন তিনি পুরুষকে এবং তার বুকের পাঁজর থেকে তুলে নিলেন একটি হাড়। তৈরি করলেন নারী, ‘ইভ’, যে হোল পুরুষটির "bone of my bones, flesh of my flesh,"। টেস্ট বোন বেবি থুরি নারী। পুরুষ জন্ম দিল এক নারীর!
আবার একজন নারীই কিন্তু পুরুষের মায়ের স্থান নেন। ১০ মাস গর্ভে ধারণ করার পর জন্ম দেন। সেদিন প্রয়োজন ছিল নিসঙ্গতা কাটানোর আর আজ প্রয়োজন বহুমাত্রিক হয়ে উঠেছে...আবার আসি মহিষাসুরমর্দিনী কাণ্ডে। সেখানে অসুর নিধনের জন্য সাধারণ নারীকে দেবী দুর্গা বানিয়ে দশ হাতে দশটা অস্ত্র গুঁজে দেবতারা ঠেলে দিলেন রণক্ষেত্রে। ‘শক্তি রূপেন সংস্থিতা...’এখানেও প্রয়োজনে একলা নারী।
এবারে এসব ছেড়ে একটু অন্য দিকে যাই। আমাদের দেশ আমাদের কাছে মাতৃভূমি। বঙ্কিমচন্দ্র বলেছেন ‘বন্দেমাতরম্’ আবার দিজেন্দ্রলাল রায় বলেছেন “সকল দেশের রানি সে যে আমার জন্মভূমি”। কবি মনস্কতা প্রয়োজনে দেশকে মা বলতে বাধ্য করল। আবার রাশিয়া পর্তুগাল গ্রিস পাকিস্তান থাইল্যান্ড ইতালি ফ্রান্স ইত্যাদি গর্বিত পিতৃভূমি পরিচয় দিতে। এদিক সেদিক তাকালে হয়ত আরও বেরিয়ে পড়বে প্রয়োজনে নারী তথ্য। এক রকম নিজের পায়ে কুড়ুল মনে করতে পারেন কেউ কেউ। প্রতি জায়গায় বিশেষ উৎপত্তি বিশেষ বহিঃপ্রকাশ।
এই সংখ্যা কোনো ডিসপ্লে বস্তু বানিয়ে ফেলার জন্য আসেনি । এখানে ভাবনা নারীতান্ত্রিকতা বা পুরুষতান্ত্রিকতা হিসেবে ফুটে ওঠেনি। বরং ভাবনা প্রসনের জন্য স্পেস দেওয়া হলো নারী পুরুষ নির্বিশেষে । এটা পুরুষ সমাজ নাকি নারী সমাজ – প্রভৃতি লিঙ্গ পার্থক্যে কন্ট্রাস্ট থাকুক লেখক ও পাঠকদের পরস্পরের ভিন্ন ভিন্ন মতে । কে কী ভাবছেন সেটাই বরং এই সংখ্যার বিষয় হোক। আমরা শুধু এই ভাবনাটে একটু ভাসিয়ে দিলাম সঙ্গে দিয়ে দিলাম কিছু চাপা পরা নারী ও পুরুষ উভয়ের কথাই । মহিলা সমিতিগুলির প্রয়োজন মুছে যাক মুছে যাক বিহাইন্ড দ্য বার ৪৯৮ ধারা। সকলেই মানুষ তাই মানবিকতা জেগে উঠুক লিঙ্গ নির্বিশেষে। তাই এই সংখ্যায় ‘নারী’ পুরুষের সৃষ্টি, পুরুষের সমান, পুরুষের সঙ্গী। তাই নারীকে স্বতন্ত্র নাকি স্বতন্ত্রকে নারী ভাবনায় বুঝে নিতে চোখ রাখুন ক্ষেপুর এবারের সংখ্যায়। আশাকরি খুঁজে পাবেন নিঃস্বার্থ প্রয়োজনীয়তার তাৎপর্য।
সংযোজন - এবারের সম্পাদনা সহযোগিতায় বিশেষভাবে ছিলেন – রত্নাদীপা দে ঘোষ, উল্কা, পৃথা রায়চৌধুরী ও অপরাজিতা । প্রতিবারের মতোই এবারেও আমাদের অলংকরণ করে দিয়েছেন মেঘ অদিতি এবং কৌশিক বিশ্বাস । সাহিত্যপত্রটির সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনায় সব বারের মতোই এবারেও ছিলেন কবি সুমিতরঞ্জন দাস । সমস্ত লেখক কবি ও পাঠকদের বিজয়ার ও ঈদের শুভেচ্ছা ।
শুধু নারী সংখ্যা কেন? কি প্রয়োজন? এখানেও সংরক্ষণের ভাঁওতা? অনেক বিতর্ক সার বেঁধে দাঁড়িয়ে রয়েছে মঞ্চের পর্দার ওপারে। কতগুলো ট্রান্সপারেন্ট মাথা তার মধ্যে চেনা বুদ্ধিপাক যন্ত্র কিন্তু তার ঘূর্ণন অচেনা। টাইফুন-সুনামি না হ্যারিকেন? না এসব কিছুই নয় পুরনো থ্রিডিগুলোকে টুডি ফ্রেমে গিলতে গিলতে ইদানীং বুদ্ধিপাক যন্ত্রটা ঘেঁটে গেছে। সেটাকে সাইজ করে নিতে চলুন সবাই মিলে নারী পুরুষ নির্বিশেষে টান দিই পর্দার দড়িতে।
উইকিপিডিয়া ঘাঁটলে গুরুগম্ভীর টাইপের কিছু একটা বেরিয়ে আসবে যেমন “নারী বলতে পৃথিবীর অন্যতম প্রাণী মানুষের স্ত্রী-বাচকতা নির্দেশক রূপটিকে বোঝানো হয়। এর বিপরীত পুরুষ, নর প্রভৃতি। সংস্কৃত নৃ শব্দটি থেকে নারী শব্দটির উৎপত্তি (নৃ+ঈ=নারী)। বিভিন্ন আসমানী কিতাব যেমন বাইবেল, কুরআন ইত্যাদি অনুসারে ‘হাওয়া’ পৃথিবীর প্রথম নারী বা মানবী। ‘নারী’ শব্দটি সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী-মানুষের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেখানে ‘মেয়ে’ শব্দটি ব্যবহৃত হয় স্ত্রী-শিশু বা কিশোরীর ক্ষেত্রে। তাছাড়া বয়সের বাধা ডিঙিয়েও ‘নারী’ শব্দটি সমগ্র স্ত্রী-জাতিকে নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হতে পারে।” কিন্তু কীভাবে নারীর পা পড়ল মাটিতে? না আমি কোনো বিজ্ঞানের ফাণ্ডা দিয়ে চ্যাপচ্যাপে কাদা মাখাবো না। তারচেয়ে বাইবেল ওল্ড টেস্টামেন্টের দিকে তাকানো যাক। ঈশ্বর পৃথিবী বানালেন। এক বালতি আলো হাওয়া প্রকৃতি প্রান ঢেলে দিয়ে অবাক হয়ে তাকালেন তার বানানো সব থেকে সুন্দর সৃষ্টির দিকে। কিন্তু না কোথাও যেন কিছু বাকি রয়েছে। অনেক মাথা চুলকানোর পর নিজের হাতে তিনি মাটি দিয়ে বানালেন পুরুষ-প্রাণ প্রতিষ্ঠা করলেন। তাতেও ঝামেলা পুরুষটি বড্ড একা তাই প্রয়োজন হোল তার যোগ্য সঙ্গীর। ঘুম পাড়ালেন তিনি পুরুষকে এবং তার বুকের পাঁজর থেকে তুলে নিলেন একটি হাড়। তৈরি করলেন নারী, ‘ইভ’, যে হোল পুরুষটির "bone of my bones, flesh of my flesh,"। টেস্ট বোন বেবি থুরি নারী। পুরুষ জন্ম দিল এক নারীর!
আবার একজন নারীই কিন্তু পুরুষের মায়ের স্থান নেন। ১০ মাস গর্ভে ধারণ করার পর জন্ম দেন। সেদিন প্রয়োজন ছিল নিসঙ্গতা কাটানোর আর আজ প্রয়োজন বহুমাত্রিক হয়ে উঠেছে...আবার আসি মহিষাসুরমর্দিনী কাণ্ডে। সেখানে অসুর নিধনের জন্য সাধারণ নারীকে দেবী দুর্গা বানিয়ে দশ হাতে দশটা অস্ত্র গুঁজে দেবতারা ঠেলে দিলেন রণক্ষেত্রে। ‘শক্তি রূপেন সংস্থিতা...’এখানেও প্রয়োজনে একলা নারী।
এবারে এসব ছেড়ে একটু অন্য দিকে যাই। আমাদের দেশ আমাদের কাছে মাতৃভূমি। বঙ্কিমচন্দ্র বলেছেন ‘বন্দেমাতরম্’ আবার দিজেন্দ্রলাল রায় বলেছেন “সকল দেশের রানি সে যে আমার জন্মভূমি”। কবি মনস্কতা প্রয়োজনে দেশকে মা বলতে বাধ্য করল। আবার রাশিয়া পর্তুগাল গ্রিস পাকিস্তান থাইল্যান্ড ইতালি ফ্রান্স ইত্যাদি গর্বিত পিতৃভূমি পরিচয় দিতে। এদিক সেদিক তাকালে হয়ত আরও বেরিয়ে পড়বে প্রয়োজনে নারী তথ্য। এক রকম নিজের পায়ে কুড়ুল মনে করতে পারেন কেউ কেউ। প্রতি জায়গায় বিশেষ উৎপত্তি বিশেষ বহিঃপ্রকাশ।
এই সংখ্যা কোনো ডিসপ্লে বস্তু বানিয়ে ফেলার জন্য আসেনি । এখানে ভাবনা নারীতান্ত্রিকতা বা পুরুষতান্ত্রিকতা হিসেবে ফুটে ওঠেনি। বরং ভাবনা প্রসনের জন্য স্পেস দেওয়া হলো নারী পুরুষ নির্বিশেষে । এটা পুরুষ সমাজ নাকি নারী সমাজ – প্রভৃতি লিঙ্গ পার্থক্যে কন্ট্রাস্ট থাকুক লেখক ও পাঠকদের পরস্পরের ভিন্ন ভিন্ন মতে । কে কী ভাবছেন সেটাই বরং এই সংখ্যার বিষয় হোক। আমরা শুধু এই ভাবনাটে একটু ভাসিয়ে দিলাম সঙ্গে দিয়ে দিলাম কিছু চাপা পরা নারী ও পুরুষ উভয়ের কথাই । মহিলা সমিতিগুলির প্রয়োজন মুছে যাক মুছে যাক বিহাইন্ড দ্য বার ৪৯৮ ধারা। সকলেই মানুষ তাই মানবিকতা জেগে উঠুক লিঙ্গ নির্বিশেষে। তাই এই সংখ্যায় ‘নারী’ পুরুষের সৃষ্টি, পুরুষের সমান, পুরুষের সঙ্গী। তাই নারীকে স্বতন্ত্র নাকি স্বতন্ত্রকে নারী ভাবনায় বুঝে নিতে চোখ রাখুন ক্ষেপুর এবারের সংখ্যায়। আশাকরি খুঁজে পাবেন নিঃস্বার্থ প্রয়োজনীয়তার তাৎপর্য।
ক্ষেপচুরিয়াসের পক্ষে উল্কা
সংযোজন - এবারের সম্পাদনা সহযোগিতায় বিশেষভাবে ছিলেন – রত্নাদীপা দে ঘোষ, উল্কা, পৃথা রায়চৌধুরী ও অপরাজিতা । প্রতিবারের মতোই এবারেও আমাদের অলংকরণ করে দিয়েছেন মেঘ অদিতি এবং কৌশিক বিশ্বাস । সাহিত্যপত্রটির সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনায় সব বারের মতোই এবারেও ছিলেন কবি সুমিতরঞ্জন দাস । সমস্ত লেখক কবি ও পাঠকদের বিজয়ার ও ঈদের শুভেচ্ছা ।
- জুবিন ঘোষ
1 comments:
ভালোবাসার টানে
মনোরঞ্জন বম'ন
নারীর পরশে পুরুষের মন গলে যায়,এটা একটা অদ্ভুত ব্যপার।জানিনা আজগের সন্ধ্যা কেন এত রোমাঞ্চকর।আমার এক বান্ধবী আমার মনের দ্বারে কড়া নাড়ছে।সে দুর থেকে দরজার ফাক দিয়ে শুধু আমায় উকি দিচ্ছে।আমিও মাঝে মাঝে দেখছি।আমার মনও ভেতর থেকে যেন কেমন করছে?কিন্তু আমি নিরুপায় ,আমি যে কাউকে ভালো বাসতে পারিনা।আমার মনের দরজায় যে তালা দেওয়া।কারণ আমি একজন সমাজ সেবোক হতে চাই।আমাদের মন থেকে প্রেম-ভালোবাসা নয় ,থাকবে সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা।যেটা থাকবে সবার জন্য ,সবাই পাবার ,চাওয়ার আধিকারি।কিন্তু আমি পাসান নই,তাকে ভালোবাসার আধিকার না থাকলেও তাকে আমি বন্ধু হিসেবে দেখবো।তবুও সে কাজ সহজ নয়।যে আমাকে প্রেমিক চোখে দেখে ,তাকে বন্ধু তে আনা অত সোজা কাজ বলে আমার মনে হয়না।তবু আমি চেষ্টা করবো,তাকে বন্ধু চোখ দেখবো।সে না বুঝলেও আমি বুঝি।আমি তাকে বোঝাবো,যত দিন না বোঝে............................
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন