শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

কবিতা - ঊষসী ভট্টাচার্য

উদ্বাস্তু
ঊষসী ভট্টাচার্য


নিমগ্ন পারমিতা,
রেললাইন থেকে উঠে এসেছ রাজপথে,
নামতে নামতে আর কত গর্তে ঢুকবে বলো?
চৌকাঠ তো কবেই পেরলে।
সিঁদুর গলিতে আর হাঁটনি কখনো।
টুপুর যেদিন এল,
সেদিন আকাশ চিরে হঠাৎ প্লাবন,
ক্ষয়ে আসা জীবনে সোনা চমকে উঠলো যেন।
রাগে জেদে সম্পর্কের টুটি ছিঁড়বে ভেবেও,
একটা সুতোই কিছুদিন আরও বাঁধল তোমায়।
তবে,সুতোই তো , দড়ি হবার সাধ্য কোথায়?
টুপুর কে ফেলে হঠাৎ পালালে,
আমি তথৈবচ ।
যাকে ছুঁড়েছো আগেই ,
তাকে আর ফেলবে কোথায়?
মাস খানেক যেতে না যেতেই,
পলাতক, টুপুর ও।
পালানো রক্তে,
আটকাবে কে ? বিধাতা?
সীমাবদ্ধতা তাঁর ও।

আমি সেই হেঁটে চলা দিগন্তে,
আর একটা নোনা ঢেউ ,
কিংবা কিছু নুড়ি পাথর
সরাতে সরাতে, রাত ফুরনোর অপেক্ষা।

এক বেলোয়ারি মাদলে ভেসে এল নতুন ঢেউ-
কঙ্কনা,

‘কঙ্কণ তাঁর নিক্কন নয়,
চোখ ছলছলে নদী,
ঠোঁটের কোনায় আলতো সে মেঘ
আমায় ডোবালো যদি’

ঢেউ আসে যাবে বলেই,
স্থির কিছুই তো নয়।
তবু, ফের এই দিগন্তে।
টুপুর আসেনি, তুমিও না।
কঙ্কনা ভেসেছে,
যেমন কথা ছিল,
আমিও ফের তথৈবচ,
মুখে লেগে আছে দিনান্ত আভা,
এই দিগন্তে রোদ্দুর ঝলমলো।

কবির কলমে উঠে আসে বুক -
‘মুখ দেখে বোঝা যায়না
পাঁজরে কত ফুটো’ ।।