শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

কবিতা - বেবী সাউ

সমান সমান
বেবী সাউ


সকাল থেকে ছোলা ভেজা চিবোচ্ছি আর গাধার সাথে তুলনা করছি । কাজ নেই কর্ম নেই ইচ্ছে নেই । মাঝখানে থেকে তোর সাথে ঝগড়া । জীবনটাই হেল হয়ে গেল হে ! ভ্যাপসা দুপুর ঘামে ভিজে শরীরে নারীর গন্ধ আর আলোছায়া কম্বিশন মিশিয়ে হতাশা ও প্রতিশ্রুতি ছড়িয়ে , রুমার নাম্বার ডায়াল করি । দু বার ,পাঁচবার ছাড়িয়ে যখন একুশবারে পৌঁছালো রিংটোন , মহারানী ফোন তুললেন । ক্লান্ত গলায় শুনলাম , 'কিরে , কি বলছিস ? '

গা-পিত্তি উদোর ঘাড়ে চাপিয়ে , ঝাঁকুনি ব্রেক মেরে , নর্মাল স্বরে বললাম , 'এমনি , কোথায় ?'

'মধুমিতা দির সাথে , চলে আয় ' ।

কাল তোর ফুটবল ম্যাচ ছিল । হিসেব কষে দেখেছি , প্রেমালাপের চেয়ে বিরহটাই বেশি জীবন্ত তোর কাছে । তোর হাত থেকে দু চারটে কবিতা , মুক্তগদ্য কিম্বা ছোটগল্পের পোস্টমর্ডান রূপের জন্যই এই সম্পর্কে ঝগড়াটাই একান্ত প্রয়োজনীয় । সেরকমই , ফুটবলের ম্যাচের সাথে পার্কের হাওয়া খাওয়ার কোন তুলনা না থাকলেও , রুমার সাথে কাল বিকেলে দেবদারু পাতা তুলেছি , গোপনে গোলাপ ছিড়েছি সর্বোপরি সুইচড অফ করেছি ফোনের । আর শুনেছি , রুমার নাকি মধুমিতাদিকে ডালিং বলতে ভালো লাগে ।

মধুমিতাদি ঘর পৌঁছে দেখি , পূজা ড্রেসেস থেকে কেনা মধু- টপ রুমার গায় । মধুমিতাদির গায় ঢোলাঢোলা নাইটি ।রুমার চোখে মুখে তৃপ্তির ঝলকানি আর এক গোপন ইশারার লুপ্ত ফসিল । নিউটনের র্থাড ল কিম্বা ল অফ সেগ্রেজশান জানা স্টুন্ডেট সূত্র মেলাতে না পারলেও , ইচ্ছে হয় , তোকে ছেড়ে মধুমিতাদিকেই বিয়ে করি ।