প্রেতিনী
চারটে বাড়ি পরে,
বন্ধ গেঞ্জিকলটায় ওরা থাকে
রাতবিরেতে ওদের নাম করতে নেই
ওদিকে দিনে দুপুরেও যাওয়া বারণ
বাবা আঙ্গুল তুলে বলেছে;
একেক সময় ভাবি,
ওরা কেমন হয় কে জানে !
কাল রাত্তিরে এক হাড় হিম করা
চিঁৎকার ভেসে এসেছিল
সবাই হতবুদ্ধি হয়ে হ্যারিকেনের আলোয়
চুপচাপ রাতের খাবার চিবোচ্ছিলাম ;
চেল্লানিটার কেউ গলা টিপে ধরেছিল বলে
আবার সব বোবা হয়ে গিয়েছিল,
তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়েছিলাম ।
সকালবেলা কি লোক, কি লোক
কত গাড়ি, কত বড় বড় ক্যামেরা দাদারা
কত ভয় পুলিশ গো
কারখানার দিকে ছুটছে সব ;
পাশের বাড়ির জোনাকি দিদি জানাল ,
সেখানে রক্তের মধ্যে একটা মেয়ে ঘুমোচ্ছে
মুখ লাল করে বলল ,
অসভ্যের মতো নাকি ।
বুঝলাম ওখানে ওরকম পেত্নিরা
মাঝেমাঝে চেঁচিয়ে ওঠে , ঘুমোয় ;
পরের দিন অনেক লোক আসে
ছবি তুলে টিভিতে গল্প বলার জন্য ।
যাব না মা কখনও ওইদিকে
পেত্নি হতে চাইনা আমি ।
6 comments:
অপূর্ব লাগলো...... পৃথা
ভীষণ ভালো লাগলো কবি ।
ভালো লেগেছে পৃথা । পেত্নী হতে হবেনা :)
আমি জাস্ট বাকরুদ্ধ হলাম!!!
অসাধারণ লাগলো।
এমন অতিগভীর বিষয়কে কি অনায়াসে যে আপনি শিশুসুলভ ভঙ্গিমায় ব্যক্ত করেছেন - তা প্রশংশাতীত। ভাবনার এই অভিনব প্রকাশভঙ্গিমাই কবিকে আমজনতার থেকে পৃথক করে তোলে।
"বুঝলাম ওখানে ওরকম পেত্নিরা
মাঝেমাঝে চেঁচিয়ে ওঠে , ঘুমোয় ;
পরের দিন অনেক লোক আসে
ছবি তুলে টিভিতে গল্প বলার জন্য ।
যাব না মা কখনও ওইদিকে
পেত্নি হতে চাইনা আমি।" __খুব ভালো লাগলো। কী অসাধারণ লিখেছো তুমি সারাত্সার।।
অসংখ্য ধন্যবাদ ও ভালবাসা জানাই সকলকে ...
কবিতাকে উঁচু স্তরে নিয়ে যাওয়াটা পৃথার এখন নিয়মিত অভ্যেস ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন