মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৪

উত্তর সম্পাদকীয় - চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্য

খাচ্ছে কিন্তু গিলছে না

অবিশ্বাসযোগ্য যৌনহেনস্থার অভিযোগে ক্ষতি মেয়েদেরই
চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্য



“ঠোঙ্গা ভরা বাদাম ভাজা, খাচ্ছে কিন্তু গিলছে না।” কি অনবদ্য লাইনটাই না লিখেছিলেন সুকুমার রায়! এতদিন পরও দেখা যাচ্ছে তাঁর বলা লাইনটা এক্কেবারে চুল-টু-পা ট্রু। আমাদের মাথার উপরে স্ব-মনোনীত অবিভাবকের মত বসে থাকা মিডিয়া-মনোহরেদের সম্পর্কে সুকুমার রায় কত বছর আগেও বিন্দাস আজকের হাল মানসচক্ষে দেখে আকাশবাণীর মত বলে রেখে গেলেন, ভাবতেই গা শিউরে উঠছে। ইদানিং মিডিয়াই কেবল খাওয়ায়, আরে সুকুমার রায় কতদিন আগে এদেরকেও খাইয়ে গেছেন, ভাবা যায়!

কিছুদিন আগে শতবর্ষে পা দেওয়া এক সাংবাদিকের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে কলকাতার এক সিনিয়ার সাংবাদিক বলছিলেন, “মিডিয়ার এখন নতুন নতুন বিট হয়েছে, যার মধ্যে পড়ে ফেসবুক, টুইটার, ব্লগ। কোথায় কে কি মন্তব্য করল, তাঁর জন্যেও সতর্ক থাকতে হয়।” তারি সর্বশেষ এক মনহারক নিদর্শণ দেখা গেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আশোক গাঙ্গুলীর বিরুদ্ধে এক ল’ইন্টার্নিকে যৌনহেনস্থার অভিযোগে। অভিযোগ সত্যি না মিথ্যে, তা প্রমাণের অপেক্ষা না রেখেই মিডীয়াবাগীশরা ঝাঁপিয়ে পড়লেন বিচার করতে। বিচার বলে বিচার, এক্কেবারে পঞ্চায়েতী রাজ। গাঁয়ের খবর পত্রিকা পেলে লুফে নিত! অভিযুক্তের মতামত শোনার দরকারই নেই। “অহম গাঁয়ের পঞ্চজন, মনে করিয়াছি, অভিযোগ সিত্য এবং অভিযুক্তই অপরাধী। ব্যস” হয়ে গেল পঞ্চায়েতের রায়। রায় মানলে সম্পত্তি ছেরে পালা, না মানলে গাঁয়ের বার করে দেব। অর্থাৎ, সোজাই যাও আর বাঁকা, তুমি যাও ঢাকা কিংবা মক্কা।

মামলাটার পূর্বাপর একটু ভেবে দেখুন, বেশ মজা পাবেন। ঐ মহিলা ইন্টার্নি ঘটনার এক বছর পর এ-বছর নভেম্বরে নিজের ব্লগে এঁকে লিখলেন ‘সম্প্রতি’ ঘটা এক কাহিনী বলে। সুপ্রিম কোর্টের এক বিচারপতি ২০১২-র ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নিজের হোটেলের রুমে তাঁকে ওয়াইন অফার করেছিলেন, মাথায় ও পিঠে হাত দিয়েছিলেন, হাতে চুমু খেয়েছিলেন। মহিলার মনে হয়েছিল এগুলি “আনওয়েলকাম বিহেভিয়ার’। তাই চলে আসতে চেয়েও ঐ বিচারপতির সঙ্গেই সে রাতে ডিনার  খেয়ে তারপর ফেরেন। বিচারপতিই তাঁকে বাড়ি ফেরার গাড়ির ব্যবস্থা করে দেন এবং গাড়ি পর্যন্ত তাঁকে ছেড়ে যান। সেখানেই তাঁর মনে হল, বিচারপতির আচরণ ‘অনওয়েলকাম বিহেভিয়ার, কিন্তু তিনি সেটা ব্লগেও প্রকাশ করলেন ২০১৩-র নভেম্বরে’, ১১ মাস বাদে।

এবার সূত্রগুলি মেলান। ঐ মহিলা খ্রিস্টান, তাই ২৫ ডিসেম্বর তাঁর উৎসবের রাত। উচ্চশিক্ষিতা ঐ মহিলা অন্য পার্টিতে যাওয়ার কথা ছিল। সে-রাতে খ্রিস্টান্দের ওয়াইন খাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। কেউ তা অফার করলে তা বরং তাঁদের রীতি মানার ভদ্রতা বলে গণ্য হওয়ার কথা। কোনও খ্রিস্টান বাড়িতে পৌষ সংক্রান্তির দিন যদি আপনাকে পিঠে খেতে দেয়, আপনি কি ভাবতেন? আনয়েলকাম বিহেভিয়ার হলে তো তাঁর তখনই চলে আসার কথা! তিনি সেখানে বসে ২৫-৩০পাতা টাইপ করার পর ডিনার খেয়ে বিচারপতিরই আনা গাড়িতে বাড়ি ফিরতেন না। এবং এ-সবই যদি মেনে নেয়া হয় যে মহিলাটিও ভদ্রতার খাতিরেি তৎক্ষণাৎ রিঅ্যাক্ট করেন নি, তাহলেও সেই অভিযোগ জানানোর জন্যে ১১ মাস! বিশ্বাস্য? এক জন আইনজীবির আচরণ কি বলছে?

আইনের ছাত্রী হিসাবে তিনি ভালই জানেন, যে কোনও ফৌজদারী অপরাধের অভিযোগ তখনই গ্রাহ্য হয়, যখন পুলিশে অভিযোগ এফআইআর বা জেনারেল ডায়েরি হিসাবে দায়ের করা হয়। পুলিশ তাঁর তদন্ত করে, মামলা হয়য় নিম্ন আদালতে। সেখান থেকে ধীরে ধীরে জেলা আদালত, হাই কোর্ট তারপর সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে যায়। নদীর জল যেমন পাহাড় থেকে গড়িয়ে এসে সমুদ্রে এসে মেশাই তাঁর স্বাভাবিক পথ, উল্টোটা নয়; মামলার ক্ষেত্রেও ওটাই তাঁর স্বাভাবিক নিয়ম, উল্টোটা নয়। কিন্তু, বিচারপতির গাঙ্গুলীর বিরুদ্ধে অভিযোগের ঘটনায় দেখা গেল সমুদ্রের জল নদী বেয়ে পাহাড়ে যাচ্ছে।

বলার কারণ, মামলাটা নিম্ন আদালতে এলই না। কারণ, পুলিশে আজও কোনও অভিযোগই দায়ের হয় নি। ফলে জেলা আদালত, হাইকোর্ট ইত্যাদি সব ফালতু হয়ে গেল। সোজা গেল সুপ্রিম কোর্টে… না সেখানেও কোনও মামলা হয়য় নি, কেউ করেনি। প্রধান বিচারপতি স্বতপ্রণোদিত হয়ে তিন সদস্যের একটি কমিটি করলেন অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে। সেই কমিটি আসলে প্রশাসনিক তদন্তের, বিচারবিভাগীয় নয়। রিপোর্টে সেই মহিলা ‘আনওয়েলকাম বিহেভিয়ার এর কথাই পুণরুক্তি করে প্রাথমিকভাবে তারাও অভিযোগের খানিকটা সত্যতা পেয়েছেন, যদিও বিচারপতি গাঙ্গুলী তা অস্বীকার করেছেন। কিন্তু সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের কমিটি বলে দিন, “যেহেতু ঘটনার সময় বিচারপতি গাঙ্গুলী সুপ্রিম কোর্ট থেকে অবসর নিয়েছেন, তাই এই অভিযোগের বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার এক্তিয়ার সুপ্রিম কোর্টের নেই।” তা ছাড়া ‘এই ল’ইন্টার্নি স্টেলা জেমসও সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে যুক্ত নন’ বলে সর্বোচ্চ আদালত এ নিয়ে কিছুই করতে পারে না। দেখুন, একথা বলছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বের কমিটি, যিনি নিজেই বিচারপতির গাঙ্গুলীর অবসর উপলক্ষে প্রদত্ত পার্টিতে ছিলেন। তিনি কি এই কমিটি গড়ার আগে জানতেন না যে উনি ঘটনার আগেই অবসর নিয়ে নিয়েছেন? জানতেন না যে অভিযোগকারিনী সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাক্টিশ করেন না? সে অজ্ঞানতার দায় কার? অজ্ঞানতাপ্রসূত একটি মন্তব্য যে গোটা ঘটনায় একজন বিচারপতির মর্যাদায় কালি ছেটাল, তাঁর কি হবে? সুপ্রিম কোর্ট এমন মন্তব্য করার ফলে মামলাটি আর নিম্ন আদালতে গেলেও সুবিচার দূর অস্ত। ফলে, গোটা বিষয়টাই কেচিয়ে এল। যদি, সত্যি বিচারপতি গাঙ্গুলী অপরাধীও হন, তাও তো তাঁর ন্যায্য বিচার সম্ভন নয়!

তাহলে এমনটা হল কেন? এর উদ্দেশ্যই বা কি? এর পিছনে কি কোনও কোট-আনকোট ষড়যন্ত্র আছে বা ছিল?

এগুলিই এখন জরুরি প্রসঙ্গ। এই লেখা লেখার সময়েই জানা গেল, এত দেরিতে অভিযোগ জনসমক্ষে আনায় সুপ্রিম কোর্টও বিরক্তি প্রকাশ করেছে। কিন্তু, সত্যি বললে, মেয়েটি কিন্তু কোনও অভিযোগই জানায় নি। সে ব্লগে লিখেছিল তাঁর কথা – তা সে ঠিক বা বেঠিক – যাই হোক। তাকে মুখোরোচক করে খবরে এনেছে নির্দিষ্ট একটি সংবাদপত্র। তারপর অন্য মাধ্যমগুলি ঝাঁপিয়ে পড়ে। কি ছিল সেই সংবাদ মাধ্যমের উদ্দেশ্য? প্রাপ্ত অভিযোগের সত্যাসত্য যাচাই না করে ব্লগের ভিত্তিতে খবর কতটা যুক্তিসংগত? এ সব নানা প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। তারপরই দেখা গেল, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিচারপতি গাঙ্গুলীর অপসারণ চাইলেন। তিনি অবশ্য এক বচর আগে থেকেই বিচারপতি গাঙ্গুলীর উপর ক্ষুব্ধ। রাজ্যের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান হিসাবে তিনি পার্ক স্ট্রিট ধর্ষোণ থেকে অম্বিকেশ মহাপাত্র মামলা, শীলাদিত্যকে মাওবাদী বলে অন্যায় গ্রেফতারের মত ঘটনা সহ বহু ক্ষেত্রে সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর মনোভাব গোপন রাখেন নি, বরং বলেছিলেন, ““মানবাধিকার কমিশনে একজনকে আমরা বসালাম, তিনি এসে আমাদের বিরুদ্ধে রায় দিচ্ছেন।” যেন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নিয়োগে সুপারিশ করেছেন বলে তাঁকে রায় দেওয়ার সময় ধামাধরা হতে হবে! এ কেবল হাস্যকর দাবীই নয়, বিপজ্জনকও। কোনও রাজ্যের বা দেশের প্রধান যদি এই দাবী করেন, তাহলে ধরে নিতে হবে সে রাজ্যে বা দেশে গণতন্ত্রের অপমৃত্যু ঘটেছে। যে বিচারপতি শ্রীমতী গান্ধীর নির্বাচনকে অবৈধ রায় দিয়েছিলেন, তাঁর নিয়োগও কিন্তু শ্রীমতী গান্ধীর সরকারি দিয়েছিল। তিনি কিন্তু এমন উদ্ভট তর্ক তোলার কথা স্বপ্নেও ভাবেন নি।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পদত্যাগ চেয়েছিলেন। এছাড়া কলকাতার আইন বিশ্ববিদ্যালয় এনইউজেএস-এর একদল অধ্যাপক সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর পদ থেকে বিচারপতি গাঙ্গুলীকে সরাতে কর্তৃপক্ষকে চাপ দিয়েছেন। এতেও আশ্চর্যের কিছু নেই। আইনজীবি কল্যাণবাবু তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ এবং দুর্মুখ, এটা সকলেই জানেন। মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা চাইলে সভাসদেরা যে ‘বলে তাঁর শতগুণ’, তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। ইস্তফা চেয়েছিলেন মোহনবাগান ক্লাবের শীর্ষকর্তারাও, কারণ বিচারপতির সেদিনকার রিপোর্টে ক্লাবের বিপুল টাকা জরিমানা হয়েছিল। এই শীর্ষকর্তা আবার একই দলের রাজ্যসভা সাংসদ, অর্থাৎ সভাসদ। তাঁরা যে অপসারণ চাইবেন, এতে বিষ্ময়ের কি আছে!

বিষ্ময়ের বিষয় এল কেন্দ্রীয় সরকারের অতিরিক্ত সলসিটার জেনারেল (এএসজি) ইন্দিরা জয়সিংহ কলকাতায় এসে অভিযোগকারিণীর লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করে এবং দিল্লিতে সংসদে বিরোধী নেত্রী বিজেপির সুষমা স্বরাজ বিচারপতির ইস্তফা চাওয়ায়। অভিযোগকারিনী সুপ্রিম কোর্টের তিন-সদস্যক কমিটিকে যে মৌখিক বিবৃতি (কেন মৌখিক, তাও প্রশ্নবোধক) দিয়েছিল, তাঁর কপি অভিযুক্ত বিচারপতি গাঙ্গুলীও পান নি, কারণ সেটি ছিল আদালতের সম্পত্তি। আদালতের সম্পত্তি কিন্তু সরকারের নয়। দি-তিন দিন পর সেটাই মুখ্যমন্ত্রীর প্রসাদধন্য কলকাতার এক বাণিজ্যিক কাগজে ছাপা হয়ে গেল! তাতে লেখা হল, কেন্দ্রীয় সরকারের আইন মন্ত্রকের মাধ্যমে তাঁরা ঐ বিবৃতি পেয়েছে। কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক এমন কাজ করতে পারে কি? আইন মন্ত্রক বেআইনি কাজ করে বসে নি তো? সেখানেই জানা গেল, অভিযোগকারিনী ম্যেটির নাম স্টেলা জেমস। নাম তো প্রকাশ তো বেআইনি! হল কেন? কারা করল? এএসজি ইন্দিরা জয় সিং কি করে সেই বিবৃতি প্রেস কনফারেন্সে প্রকাশ করলেন, যা সুপ্রিম কোর্টের ভাষায় ছিল গোপনীয়’?

এমন বহু প্রশ্নের জবাব খুঁজতে হবে সত্য উদ্ঘাটনের জন্য। ইতিমধ্যে আরেকজন বিচারপতির বিরুদ্ধেও অভিযোগ এসেছে, এবং এ-ক্ষেত্রেও অভিযোগকারিনী কলকাতার আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ল’ইন্টার্নি। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আবার কেন্দ্রীয় গ্রিন ট্রাইবুনালের প্রধান বিচারপতি, যিনি পূর্বাঞ্চলের পরিবেশ আদালতটি কলকাতায় খোলার জন্যে নির্দেশ দিয়েছেন। তা ছাড়া, তাঁর দফতরে গিয়ে আটকে আছে এমন বহু বিনিয়োগের প্রকল্প, যেগুলি আদতে পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে। এমনই এক প্রকল্পে বাঁধা দেওয়ার ফলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে জয়ন্তী নটরাজনের মত স্পষ্টবক্তা মন্ত্রীকে সরে যেতে হয়েছে।

ফলে প্রশ্ন উঠেছে, যৌনহেনস্থার এ-সব অভিযোগ কি আসলে বিচারপতিদের বিচার প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার একটি কৌশল হিসাবে ব্যবহৃত হওয়া শুরু হল? এখনই এই নিয়ে চূড়ান্ত মতামত না দিলেও এমন প্রশ্ন ওঠাকে কিন্তু আটকানো যাচ্ছে না। নিম্ন আদালত থেকে সুপ্রিম কোর্টের অনেক আইনজীবিই, যঅধিকাংশই মহিলা, এখন এই নিয়ে আলোচনা করতে শুরু করেছেন। তাঁরা চিন্তিত, এর পর বিচারপতিরা মহিলা ইন্টার্নদের আর সুযোগ দেবেন তো? এমনকি চেম্বার অ্যাডভোকেট হিসাবেও মহিলা আইনজীবিদের সুযোগ সত্যিই কমে গেল কি না! যদি একটি ঘটনাতেও প্রমাণিত হয় যে, অভিযোগটি কেবল মিথ্যাই নয়, ষড়যন্ত্রমূলক; সে ক্ষেত্রে অভিযোগকারিনীর পরিচয় গোপন রাখা যাবে তো? অভিযোগকারিনী যদি বয়ান বদল করে থাকেন, তাহলে আইনের চোখে তিনিই হয়ে যাবেন ‘কন্ডেমন্ড লায়ার’, বা স্বঘোষিত মিথ্যাবাদী। গুজরাত দাঙ্গার বেস্ট বেকারী মামলায় এই কারণে শাস্তি পেয়েছেন তিনি, যার পরিবারের প্রায় সবাই দাঙ্গায় নিহত হয়েছিলেন। এমন হলে কিন্তু সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হবে মহিলাদেরই। স্বার্থের ষড়যন্ত্রে আর কেউ জড়িয়ে পড়ার আগে, এই পরিণতিটাও মনে রাখা ভাল।



(বাকিটা পরের সংখ্যায়)