মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৪

কবিতা - রুদ্রশংকর

দুটি কবিতা রুদ্রশংকর



তালা ও চাবি

ছোটবেলায় তালা ও চাবির সঙ্গে
আমার তোলপাড় সম্পর্কের কথা কাউকে বলিনি
এমনকি রূপকথাকেও নয়
রূপকথা এও জানতোনা জীবনে অঙ্ক মেলানোর থেকে
যৌনসাহিত্যে আমার বেশী আকর্ষণ ছিল
তাই অঙ্কের মাস্টারমশাইরা এখনো
আমার ফোকলা অস্তিত্বের কাছে ফিসফাস করে


অনেক পরে যখন পথিক রায়ের সঙ্গে পরিচয় হল
আমার শোবার ঘরে তখন জঙ্গলের গাঢ় অন্ধকার
অরুনিমার চলে যাওয়া
তলাপাত্র দিদিমনির বস্তুরূপ
শল্যচিকিৎসকের মতো আতঙ্কের ছুরি কাঁচি নিয়ে
টুকরো টুকরো করত মুখ-থোবড়ানো ভবিষ্যৎ


ধীরে ধীরে সবুজ ইজ্জতের জন্য হাঁটতে শিখলাম
যেখানে আমার মাত্রাহীন মৌনতার শক্তি ছিল
ঠিক সেখানেই ঘর্ষণে ও সংঘর্ষে এখন বুঝতে পারি
এক নির্জন তালার জন্য মসৃণ চাবির প্রয়োজন হয় ।


রাস্তা 

জন্ম থেকে যোনির সঙ্গে আমার দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক।
যেভাবে প্রাণী বেঁচে থাকে
ঠিক সেভাবেই আমার নিয়মমাফিক প্রেম, প্রীতি
নিয়ম করে সঙ্গমের প্রতিযোগিতা।
ইদানীং উপবাসের চরিত্রগুলো
আমার শরীরের ভিতর ও বাইরের মহলে
আপাদমস্তক টিটকারিতে ফেটে পড়ে।
আমার দু’চোখ নির্জন ভোরবেলা হয়
অসতর্ক মুহূর্তে খুলে ফেলি সমস্ত রাস্তার জট
আমি এখনও রাস্তায় নরম সম্পর্ক খুঁজে বেড়াই।