মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০১৩

কবিতা- বাবুল হোসেইন

সেইসব অরণ্যবাস এবং জোনাকজ্বলা দুপুরগুলো
বাবুল হোসেইন



জোনাকজ্বলা দুপুরগুলো

আমাদের দেহের ভাঁজে চাষ নেই নিবিড় যন্ত্রণা। আমাদের বুকের খাঁজে বহে না সোনালি দুখের নদী। আমরা আমাদের অস্তিত্বের পরমার্থ খুঁজে এক পৃথিবীর কাছে বারবার নতজানু। শিখেছি মন আর দেহ খাঁচার ভিতর অচিন পাখি নয়। খাঁচা ছিঁড়ে পাখি উড়ে যায়না দিগন্তের অপার। আমরা বিশ্বপারাপার। আমরা বেদনার আধার।



সোনামুখি দিন

ফিরে এসো রোদেলাগগন, ফিরে এসো বর্ষাদুপুর। আমাদের অন্যভুবনে যাওয়ার কথা। আমাদের মাঝনদীতে সাঁতরাবার কথা। আমাদের কথা ভুলে গেছে মহাকাল। আমাদের দিন শেষ। আমাদের রাত শেষ। আমরা এখন হাওয়ার ভিতর অদৃশ্যফণা, আমরা এখন ইথারে ভেসে চলা না দেখা তরঙ্গকণা।



সুতোছেঁড়া ঘুড়ি

রেলগাড়ি নেই, নৌকো নেই। নেই মামাবাড়ি, নেই আমকুড়োনো। আমাদের ভুল শৈশব। নদীরা ভুলে গেছে প্রাগৈতিহাসিক ঢেউ, কৈশোর মনে রাখে না কেউ। কদাচিৎ

ভেবে নেই আমাদের সোনালি দুঃখকথা, এইসব ছিলো বলেই আমাদের এখনো পরাণের গহীনে বাজে মিহিন মাহিন সুর, তাল কেটে কেটে নিয়ে আসা পুরনো দুপুর।



সেইসব অরণ্যবাস

দিনরাত আমাদের বাতাসের বেগে ধাবমান। সহস্র সহস্র মাইল মাইল আমাদের দূরত্ব। আমরা পরস্পরকে ছোঁয়ার আগে নিজেকে ছুঁইয়ে নিতাম। আমরা প্রেম শিখার আগেই শরীর শিখিনি। আমরা ভালোবাসা শেখার আগে শিখেছি যন্ত্রণার নিবিড়পাঠ। রাতকে ভালোবেসে দিনের কাছে নতজানু। আমরা তমসা কাটিয়ে আকাশের কাছে চাইনি নক্ষত্রলোক। বস্তুত আমাদের চাওয়া পাওয়া কিছুই নেই। আমরা কেউ না, কেউ ছিলাম না।